কক্সবাজারের রামু উপজেলা প্রাকৃতিক প্রান সুন্দর এবং বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানের জন্য বিখ্যাত। তাদের মধ্যে অন্যতম একটি নারিকেল বাগান। কক্সবাজারের রামু উপজেলায় অবস্থিত এই আইসোলেটেড নারিকেল বাগানটি এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ। জানা গেছে, দেশব্যাপী নারিকেলচাষাবাদ বৃদ্ধির জন্য ১৯৮২ সালে এফএও এবং সরকারের যৌথ অর্থায়নে রামু উপজেলাসদর থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে রাজারকুল ইউনিয়নে প্রতিষ্ঠিত হয় দেশেরসর্ববৃহৎ নারিকেল বাগান।
প্রায় আড়াইশ একর আয়তনের এ নারিকেল বাগানাটিতে তখনরোপন করা হয়েছিল ৬০০ শ্রীলংকার কিংটন এবং মালেশিয়ার ডোয়ারব জাতের উচ্চফলনশীল চারা। এসব চারা রোপনের উদ্দেশ্যে ছিল দেশের উপকূলীয় এলাকায় উন্নত ওউচ্চ ফলনশীল জাতের নারিকেল চাষাবাদ জোরদার করা। এতে একই সাথে নদী ও সাগরেরভাঙ্গন রোধ করা যাবে। চাষাবাদ শুরুর ১ দশকে রামুর নারিকেল বাগানটি পরিপূর্ণরূপ পায়। চারদিকে সবুজ আর সবুজ যেন প্রকৃতির অফুরন্ত সমাহার। সরকারীপৃষ্টপোষকতা ও উন্নয়নে যথাযথ উদ্যোগ নিলে রামুর নারিকেল বাগান দেশেরপর্যটন শিল্পের বিকাশ সহ অর্থনৈতিক দ্বার উম্মোচনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
যেভাবে যাবেনঃ-
রামু চৌমুহনী ষ্টেশন থেকে পাঁচ কিলোমটিার দক্ষিনে চট্টগ্রাম-টেকনাফ আরাকান সড়কের পাশে এ বাগানের অবস্থান। এতে রিক্সা, টমটম, টেক্সী বা অন্যান্য যানবাহন নিয়ে যাওয়া যাবে।