ইমাম রেজার মাজার শরীফ

1186

ইমাম রেজার মাজার ইরানের মাশহাদে অবস্থিত ইসলাম ধর্মের বার ইমামের অন্তর্ভুক্ত অষ্টম ইমাম ইমাম রেজার মাজার শরীফ। হযরত শাহ ইরানী (রহ:) সম্পর্কে সঠিক সন্ধান না পেলেও এটা নিশ্চিত ভাবে বিশ্বাস যোগ্য যে, ইরান, তেহরান, পারস্য, ইয়েমান, কান্দাহার, কাবুল, মিশর, তুর্কি প্রভৃতি  এলাকার সাধকগন হযরত শাহজালালের সঙ্গী হিসেবে ধর্ম প্রচারে পূর্বাঞ্চলে এসেছেন। তিনি ইরান রাজ পরিবারের তখন সদস্য তার বয়স প্রায় ৪০ উর্ধ্ব ছিলেন। তাঁর প্রকৃত নাম জানা যায় নাই। তবে শাহ ইরান অর্থাৎ ইরানের অধিবাসী এবং ধর্মীয় সম্রাট হিসেবেই এনামের সৃষ্টি। স্থানীয় লোকেরা শাহ ইরানী বলে ডাকেন।

মাজারটির অবস্থান স্থলের চারিদিকে স্থানীয় মাপে ৬৩ কানি জমি ওয়াকফে এষ্টেট, বাংলাদেশ সরকারের নামে বর্তমানে তালিকাভুক্ত। মাজারটির সাথেই পূর্ব পাশে সুবিশাল এক দিঘী রয়েছে। ইহা বৃহত্তর ঢাকার পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় দিঘী বলে খ্যাত। ইহা ১৯৭৮-৭৯ সালে পুন: খনন করা হয়। এই দিঘীর রয়েছে বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনাবী।

দিঘী থেকে জনগণ নাকি আগে চাওয়া মাত্র তাদের ব্যবহারের বিভিন্ন তৈজসপত্রাদি পেত। এক কুচক্রি মহলের কারণে এখন নাকি বন্দ। এগুলো সবই লোকজ কাহিনী। মাজারের দিঘীতে ছিল বিভিন্ন বড় বড় জাতের গজার মাছ ও কাছিম। এগুলো নাকি পীর সাহেবের কেরামতিরই ফল। ১৯৭৯ সালে দিঘীটি পূন:খননের সময় একটি কাছিম পাওয়া গিয়াছিল যা সত্যিই বর্তমান যুগের সবচেয়ে বড় বলে দাবী রাখে। কাছিমটি উপরে উঠিয়ে সাত/আট হাত গর্ত করে চারিদিকে বেড়া দিয়ে রাখা হয়েছিল এটি। দিঘী খনন কাজ সমাপ্তির পর এর বেড়া খুলে দিয়ে কাছিমটি ইচ্ছা করেই পশ্চিম দিকের খালে চলে যায়।

যেভাবে যাবেনঃ-

ঢাকা থেকে বাস যোগে (বিআরটিসি, অন্যন্যা সুপার, যাতায়াত, হাওর বিলাশ অথবা সিলেট কিশোরগঞ্জ ব্রাহ্মনবাড়িয়ার যে কোন বাসে) ঢাকা সিলেট মহা সড়ক এর মরজাল অথবা বারৈচা বাসস্ট্যান্ড নেমে সিএনজি যোগে পোড়াদিয়া বাজার হয়ে রিক্সায় শাহ ইরানী অথবা মরজাল/বারৈচা থেকে সরাসরি সিএনজি যোগে শাহ ইরানী (রহ:) মাজার শরীফে য়াওয়া য়ায়।