আমেরিকায় উচ্চশিক্ষ্যা| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

910

বিশ্বে আমেরিকান শিক্ষা ব্যবস্থা সবচেয়ে শক্তিশালী। দেশটির জিডিপির ৭.৬% খরচ করে থাকে শিক্ষা ব্যবস্থার পেছনে। দেশটি বেস্ট এডুকেশন কান্ট্রি হিসাবে ৮০টি দেশের মধ্যে ৭ নম্বরে অবস্থান করছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বিশ্বে প্রথম নম্বরে অবস্থান করছে।পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও প্রতি বছর বেশ কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে আমেরিকায় পাড়ি জমান। আমেরিকায় উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনের সময় আমেরিকার সকল নিয়মকানুন ভালভাবে জেনে নেয়া উচিত।

আমেরিকান স্বনামধন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম

১. ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)

২.স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

৩.হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

৪. ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (ক্যালটেক)

৫. শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়

৬.প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের

৭.কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়

স্টাডি সিস্টেমঃ-

  • আন্ডার গ্রাজুয়েশন

১. বাংলাদেশে আপনার ১২ বছরের পড়াশোনা থাকতে হবে। অর্থাৎ এইচএসসি পাস করতে হবে।

২. টোফেল আই.বিটি (ইন্টারনেট বেসড টেস্ট) থাকতে হবে। টোফেলের সর্বোচ্চ স্কোর ১২০। ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি ভর্তির জন্য স্কোর ৬৮-৮০ এর মধ্যে থাকতে হবে। অনেক ইউনিভার্সিটি টোফেলের পরিবর্তে আইইএলটিএস গ্রহণ করে থাকে। যদি আপনি কোনোটাই না করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ইএসএল (ইংলিশ অ্যাজ সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ) প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।

৩. একাডেমিক ভালো রেজাল্ট থাকতে হবে। যাতে ওই ইউনিভার্সিটি বা প্রতিষ্ঠান খুব

  • গ্রাজুয়েশন

১.লাদেশে আপনার ১৬ বছরের পড়াশোনা থাকতে হবে। অর্থাৎ আন্ডার গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন হতে হবে। এক্ষেত্রে যদি বাংলাদেশে আপনার পড়াশোনা ১৫ বছর হয়। অর্থাৎ এইচএসসির পর ৩ বছর মেয়াদী কোন ডিপ্লোমা করে থাকেন, তাহলে আমেরিকায় আপনি প্রি-মাস্টার প্রোগ্রামের আবেদন করতে পারেন।

২. টোফেল আই.বিটি (ইন্টারনেট বেসড টেস্ট) থাকতে হবে। টোফেলের সর্বোচ্চ স্কোর ১২০। ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি ভর্তির জন্য স্কোর ৭৯-৯৫ এর মধ্যে থাকতে হবে। অনেক ইউনিভার্সিটি টোফেলের পরিবর্তে আইইএলটিএস গ্রহণ করে থাকে। যদি আপনি কোনোটাই না করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনাকে ইএসএল (ইংলিশ অ্যাজ সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ) প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।

৩. ইউনিভার্সিটিতে সরাসরি অফিসিয়াল ট্রান্সকিপ্টস পাঠাতে হবে।

৪. ২ জন ডিপার্টমেন্টাল শিক্ষকের কাছ থেকে রিকমেন্ডশন বা সুপারিশনামা লেটার নিতে হবে।

৫. ইন্টারেস্ট লেটার বা কভার লেটার দিতে হবে।

৬. আমেরিকার অনেক ইউনিভার্সিটিতে জিম্যাট (গ্রাজুয়েশন ম্যানেজমেন্ট এডমিশন টেস্ট) ও জিআরই (গ্রাজুয়েশন রেকর্ড এক্সামিনেশন) অথবা স্যাট (স্কলাস্টিক অ্যাপটিটিউট টেস্ট) চাওয়া হয়।

ভর্তীর সময়:-

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রতি বছরে একটি শিক্ষার্থীকে তিনটি সেমিস্টার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এই দুইটি সেমিস্টার শুরূর আগে আগে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তীর সুযোগ দেয়া হয়।

১.স্প্রিং (মার্চ, এপ্রিল, মে)

২.উইন্টার (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর)।

ভর্তি ফিঃ-

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিবর্তীত হয়। তাছাড়া অঞ্চল এবং প্রোগ্রাম এর উপর নির্ভর করেও টিউশন ফি বেশি হয়। সাধারণতই আমেরিকান স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের খরচ একটু বেশিই থাকে। এক জরিপের হিসেব অনুয়ায়ী আমেরিকার উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে।

  • পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এই টিউশন ফি ১১০০০ থেকে ২০০০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১০,০০,০০০ থেকে ১৬,০০,০০০।
  • প্রাইভেট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই খরচ প্রায় ৩০০০০ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৪,০০,০০০।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাসস্থান ও অন্যান্য খরচ বাবদ বার্ষিক প্রায় ৪০০০ থেকে ১০০০০ মার্কিন ডলার প্রয়োজন হয়।
  • মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা-সংক্রান্ত ব্যয় বার্ষিক ৫০০ থেকে ১০০০ মার্কিন ডলার।
  • স্নাতক পর্যায়ে গবেষণার জন্য কোনো আর্থিক সহায়তা সাধারণত দেওয়া হয় না। মাস্টার্স ও ডক্টরেট পর্যায়ে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা রয়েছে।

স্কলারশীপ:-

প্রতিবছর প্রচুর পরিমান শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকাতে আসে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করার জন্য। আমেরিকার সরকার সেই দিক বিবেচনয়া রেখে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মেধা এবং  বিগত ফলাফলের নির্ভর করে টিউশন ফি মউকুফ সব আর্থিক সহায়তা প্রদানের সুবিধা রেখেছে। একেই বলা হয় স্কলারশীপ। শিক্ষার্থীরা যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীর সুযোগ পেয়েছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর স্বলারশীপের জন্য আবেদন করতে পারেন।

ক্রেডিট ট্রার্স্নফার সুবিধা:-

আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অন্য দেশ থেকে ক্রেডিট ট্রাস্নফার করে ভর্তী হবার সুযোগ থাকে। সেক্ষেত্রে ক্রেডিটের উপর হিসাব করে টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। তবে আমেরিকার খুব বেশি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা পাওয়া যায় নাহ। প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বাদ রেখে বাকি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা বিদ্যমান থাকে।

স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করুন

আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসা নামে কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। মূলত, স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়, যেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়। এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি আমেরিকায় বসবাস করতে পারবেন না। আমেরিকায় ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা অথবা ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) নামক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

আবেদনের জন্য আপনাকে যা যা সংযুক্ত করতে হবে

১. আমেরিকায় সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার।

২.আমেরিকায় থাকাকালীন আপনার থাকা, খাওয়া ও পড়ার খরচ বহন করার মতো পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে, তার প্রমাণপত্র।

৩. আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত নেই তার প্রমাণপত্র।

৪. আপনি পুরোপুরি সুস্থ তার প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল রিপোর্ট।

৫. আমেরিকায় থাকাকালীন আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হবেন না, তার অঙ্গীকারনামা।

আমেরিকায় থাকাকালীন আপনার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে তার প্রমাণপত্র হিসেবে যুক্ত করুন

১. আমেরিকায় ব্যাংকে আপনার নিজের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।

২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট।

৩. ব্যাংক ড্রাফট।

৪. এক বছরের থাকা ও পড়ার খরচ পরিশোধ হয়েছে, তার প্রমাণপত্র।

৫. যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফান্ডিং দিবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত চিঠি।

৬. আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তবে তার প্রমানপত্র।

দেশের বাহিরের উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় কাজগ পত্রের যথার্থতা যাচাই করতে। তাছাড়া ভিসা, পাসপোর্ট সহ অন্য সকল সমস্যা তো আছেই। এই সক সমস্যার জন্য একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন অপরিপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু যদি শিক্ষার্থীগন কোন বিশেষগ্যের সাহায্য আগন পরামর্শ গ্রহন করে তাহলে তারা এই সমস্যার সমধান খুজে পেতে পারে।

ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান যারা সাধারন শিক্ষার্থীদের এই সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থেকে বিশেষগ্যের মতো। বাজারে এর সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘’ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক” শীর্ষ স্থানীয়। ভিসা সহায়তা,পাসপোর্ট, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার সহ অন্য সকল ধরনের সহায়তা পেতে যোগাযোগ করুন আমদের সাথে।

ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড  বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড

রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,

হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,

ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।

মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯৬– ৯৭