মালয়শিয়ার টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন

6260

মালয়শিয়ার টুরিস্ট ভিসা কিভাবে পাবেন

বাংলাদেশি সহ অন্যান্য দেশের ভ্রমণ পিয়াসুদের জন্য বিশেষ পছন্দের দেশ মালয়েশিয়া। ভ্রমন পিপাসুদের জন্য এই লেখায় থাকছে মালয়েশিয়া ভ্রমণের খুঁটিনাটি। আশা করছি এসব তথ্য আপনাকে মালয়েশিয়া ভ্রমণের ক্ষেত্রে নানান ভাবে সহায়তা করবে।

ভিন্ন দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে প্রথম জটলা এবং বিড়ম্বনার কারন হয়ে দাড়ায় ভিসা প্রাপ্তি। তাই আমরা ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা প্রথমেই সেরে নিতে চাই। চলুন তবে……

বিভিন্ন দেশে অবস্থিত মালয়েশিয়ান দুতাবাস সমুহ থেকে মালয়েশিয়ার ভিসা ইস্যু করা হয়। বাংলাদেশি টুরিস্টদের জন্য সাধারণত ৩০ দিন মেয়াদী ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে। ক্ষেত্র বিশেষে মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাবস্থাও রয়েছে। মালয়েশিয়া সরকার দুই ধরনের টুরিস্ট ভিসার ব্যবস্থা করে থাকে। সিঙ্গেল এন্ট্রি এবং মাল্টিপল এন্ট্রি। ভিসা পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে আপনাকে মালয়েশিয়া যেতে হবে, তা না হলে ভিসা অকার্যকর হিসাবে গণ্য হবে।

সিঙ্গেল এন্ট্রি মানে আপনি ভিসা পাওয়ার পর সেটা দিয়ে একবার মাত্র ভ্রমণ করতে পারবেন। ভ্রমণের মেয়াদ ৩০ দিন। এর পর মেয়াদ বাড়াতে চাইলে মালয়েশিয়া ইমগ্রেশন অফিসে যেতে হবে। সেখানে আরো ৩০ দিন মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ আছে এবং তা বিনামূল্যে।

মাল্টিপল এন্ট্রি  হলে, আপনি ৩০ দিন বা ৯০ দিনের মেয়াদ পাবেন। আর এ ক্ষেত্রে এই সময়ের ভিতর আপনি যতবার খুশি বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া যাতায়াত করতে পারবেন। বলে রাখা ভালো, মাল্টিপল এন্ট্রির জন্য ভিসা এক্সটেনশন বা ভিসার মেয়ার বাড়ানোর কোন সুযোগ নাই।

পূর্বে মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য যাবতীয় কাগজপত্র নিজে নিজে সাবমিট করে ভিসা পাওয়ার সুযোগ ছিল। বর্তমানে সেটা আর নেই। বর্তমানে অবশ্যই কোন ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে আপনাকে ভিসার জন্য এপ্লাই করতে হবে।

মালয়েশিয়ার টুরিস্ট ভিসার জন্য আপনি বাড়তি সুবিধা পাবেন যদি মালয়েশিয়া থেকে আপনি কোন ইনভাইটেশন লেটার পান।

ব্যবসায় ও বিনিয়োগ সংক্রাত কারনে মালয়েশিয়া সরকার রেফারেন্স ভিসার ব্যবস্থা রেখেছেন (বি ডব্লিউ আর)। মালয়েশীয় ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টের অনুমোদনের মাধ্যমে এ ভিসা ইস্যু করা হয়। মালয়েশিয়া প্রবেশের আগেই মালয়েশিয়ান কনস্যুলেট বা দূতাবাস থেকে এ ভিসা সংগ্রহ করতে হবে। কেবলমাত্র ব্যবসা ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে এই ভিসা ইস্যু করা হয়। ভ্রমণটি মালয়োশীয় কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্পন্সর করতে হবে। যে প্রতিষ্ঠান স্পন্সর করবে সেটি অবশ্যই একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান হতে হবে এবং ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে ফর্ম ৯, ২৪ এবং ৪৯ জমা দিতে হবে।

এ ভিসার আবেদন করতে স্পন্সরকে জনপ্রতি ২,০০০ দুই হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। ভ্রমণকারী সর্বোচ্চ ৩০ দিন অবস্থান করতে পারবেন এবং মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ নেই।

মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদনের নিয়মাবলীঃ

ভিসা আবেদন ফরমটি অনলাইনে(www.imi.gov.my)সাইট থেকে ডাউনলোড করে যথাযথভাবে পূরণ করে জমা দিতে হবে। সরাসরি ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হয় না। ২৫টি অনুমোদিত এজেন্সীর মাধ্যমে ভিসা আবেদনপত্রটি জমা দিতে হবে। আর ভিসা ইস্যু করার বিষয়টি দূতাবাসের ওপর নির্ভরশীল।

ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি:

• সাদা পটভূমিতে (ব্যাকগ্রাউন্ড) দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি; ছবিগুলোর স্টুডিও প্রিন্ট হতে হবে।
• পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ৬ মাস হতে হবে এবং পাসপোর্টে অন্তত তিনটি ধারাবাহিক খালি পৃষ্ঠা থাকতে হবে।
• পাসপোর্টের ফটোকপি ও মূলকপি।
• আগে মালয়েশিয়া ভ্রমণ করে থাকলে ভিসার কপি।
• ফিরতি বিমান টিকেটের কপি।
• আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ হিসেবে অন্তত তিন মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট, সাথে ব্যাংক সলভেন্সি স্টেটমেন্ট। বাংলাদেশর বাইরে অবস্থানরতদের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড।
• ভ্রমণের কারণ উল্লেখ করে করা আদেনপত্র।
• কারো আমন্ত্রণে মালয়েশিয়া গেলে আমন্ত্রণপত্র বা রেফারেন্স লেটার।
• বাংলাদেশে বসবাস করছেন অথচ বাংলাদেশী নন এমন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে চাকরি এবং বাংলাদেশে থাকর অনুমতিপত্র দেখাতে হয়।

মালয়েশিয়ার জন্য ভিসা ফি:
• বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে ৩,১০০ তিন হাজার এক শত টাকা,

ভিসার আবেদন পত্র সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে ১০টা ৩০ মিনিট এই সময়ের মধ্যে জমা দিতে হয়। আবেদনের ১০ থেকে ১২ দিন পর সাপ্তাহিক বন্ধ ছাড়া যে কেনো দিন দুপুর ৩টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে নিয়ে আসতে পারবেন।

জেনে নিন মালয়েশিয়া যেতে কত খরচ হবে এবং কিভাবে যাবেন?

এশিয়ার একটি ছিমছাম গুছানো শহর মালেশিয়া । প্রতিবছর অসংখ্য ভ্রমণপিয়াসী  বাংলাদেশি মালেশিয়াতে ঘুরতে যায় । ঘুরতে যাবার জন্য পছন্দের তালিকায় মালেশিয়ার নাম প্রথম ৩ টি দেশের মদ্ধেই থাকে। মুলত মালেশিয়া একটি মুসলিম প্রধান দেশ এবং এর রাজধানী কুয়ালালামপুর । প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মালেশিয়াতে মাত্র একটিই ঋতু, বর্ষা। তাই এখানে প্রায় প্রতিদিন কম বেশি বৃষ্টি হয়। বাইরের আবহাওয়াটা গরম অনুভূত হয়। সম্পূর্ণ দেশ জুড়ে দেখা যায় পাহাড়ি রাস্তা আর বন-জঙ্গল।  ডক্টর মাহাথির মোহাম্মদকে বলা হয় আধুনিক মালেশিয়ার জনক । দীর্ঘ ২৭ বছরের পরিশ্রম তার বিফলে যায়নি, আজ মালেশিয়া পৃথিবীর একটি উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে ।

মালেশিয়াতে যাবার কোন পরিকল্পনা থাকলে আমাদের এই ব্লগটি একবার ভাল করে দেখে নিন কথা দিচ্ছি আপনার উপকার হবে । কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরটি কুয়ালালামপুর মূল শহর থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে।  কুয়ালালামপুরে অবশ্য এয়ার এশিয়ার একটি নিজস্ব বিমান বন্দর রয়েছে তাই এয়ার এশিয়াতে মালয়েশিয়া আসলে খরচ অনেক কম হবে আপনার । কুয়ালালামপুর বিমান বন্দরে অবতরন করার পর মূল শহরে আসতে হলে আপনাকে টেক্সি অথবা বাস যোগে আসতে হবে। কুয়ালালামপুরে অবস্থান করার জন্য আপনি থাকার হোটেল বুকিট বিনতাং এলাকা বেছে নিতে পারেন। এখানে পর্যটক হিসেবে মালয়েশিয়া এসে বুকিট বিনতাং এলাকায় থাকলে আপনি সব রকমের আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন।

মালয়েশিয়া রিটার্ন টিকিটের জন্য কত খরচ হবে?  

এয়ার লাইন্সের ভিন্নতার কারণে টিকিটের মূল্য বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে । ঢাকা থেকে মালয়েশিয়া যেতে টিকিট কাটতে হবে এয়ার এশিয়া, বাংলাদেশ বিমান, ইউ এস বাংলা, ইউনাইটেড এয়ার, রিজেন্ট এয়ার ওয়েজ, ও মালয়েশিয়ান এয়ার লাইন্সে। সময়ভেদে টিকেটের দামের কম-বেশি হয়।

যাওয়া-আসার টিকেট মিলিয়ে ইউনাইটেড এয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজের টিকিটের দাম পড়বে ২২ হাজার ৫শ’ থেকে ২৬ হাজার টাকা। বাংলাদেশ বিমানের টিকিট পাবেন ২৪ হাজার ৫শ’ থেকে ৩০ হাজার টাকায়।

মালয়েশিয়ান এয়ারের টিকিটের মূল্য একটু বেশি পরবে, মালয়েশিয়ান এয়ারে গেলে আপনাকে  ২৭ হাজার থেকে ৩৬ হাজার ৫শ’ টাকা পর্যন্ত গুন্তে হতে পারে ।

ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর পৌঁছতে সময় লাগবে সাড়ে তিন ঘণ্টা। বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার সময়ে পার্থক্য ২ ঘণ্টা। তাই গভীর রাতে এয়ারপোর্টে পৌঁছানোর ঝামেলা এড়াতে রাতের বিমানে রওনা দেওয়াই উত্তম।

কোন হোটেলে থাকবেন

বেশির ভাগ পর্যটক মালয়েশিয়া আসার পর থাকার জন্য বুকিট বিনতাং এলাকার হোটেল গুলোই বেছে নেয়। হোটেলের ভাড়া দিন প্রতি ৫০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত থেকে ৫০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত। আপনার পছন্দ অনুযায়ী ঠিক করে নিন আপনি ৩ তারকা, ৪ তারকা নাকি ৫ তারকা হোটেলে থাকবেন।

মালয়েশিয়ার সব হোটেলেই চেক ইন করার সময় দুপুর ১২টা।  তাই সকালে কুয়ালালামপুর পৌঁছে হোটেল খুঁজতে বেরুলে পড়তে পারেন বিড়ম্বনায় ।  তাই আগেই হোটেল বুকিং করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

অসংখ্য ভাল মানের হোটেলের মধ্যে রয়েছে টাইমস স্কয়ার, পার্ক রয়্যাল,  রয়্যাল বেনতান, ফেডারেল ইন্টারন্যাশনাল ইত্যাদি পর্যটকদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়।

টাইমস স্কয়ার ও পার্ক রয়্যালে সকালের বুফে নাস্তাসহ দিনপ্রতি খরচ পড়বে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর ফেডারেল ইন্টারন্যাশনাল ও রয়্যাল বেনতানে ৬ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যেই থাকতে পারবেন।

পরিবার নিয়ে গেলে নিতে পারেন টাইমস স্কয়ারের স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্টগুলো। রান্না-বান্নাসহ সকল ঘরোয়া পরিবেশই পাওয়া যাবে এই অ্যাপার্টমেন্টগুলোতে। তবে দিনপ্রতি গুনতে হবে ১৬ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা।

এছাড়া ফেডারেল ইন্টারন্যাশনাল ও রয়্যাল বেনতানে পাবেন সর্বোচ্চ চারজনের প্যাকেজ, খরচ ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা। তবে এই দুই প্যাকেজে নেই সকালের নাস্তার ব্যবস্থা।

দর্শনীয় স্থান : 

প্যাট্রোনাস টুইন টাওয়ারঃ

১৯৯৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু টুইন টাওয়ার। দুই টাওয়ারের মাঝে আছে একটি ব্রিজ, মাঝের এই ব্রিজকে বলা হয় স্কাই ব্রিজ। ৫০ রিঙ্গিত বা ১২শ’ টাকার বিনিময়ে দর্শনার্থীরা উঠতে পারবেন এই স্কাইব্রিজে। কুয়ালালামপুরের মধ্যেই আছে টুইন টাওয়ার নামে খ্যাত প্যাট্রোনাস টাওয়ার।পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার বলতে গেলে মালেশিয়ার সব থেকে জনপ্রিয় স্থান । আপনি মালেশিয়া ঘুরতে গিয়েছেন আর টুইন টাওয়ার দেখতে যাননি এটা হতেই পারে না । রাতের টুইন টাওয়ারের সৌন্দর্য দিনের টুইন টাওয়ারের চেয়ে পুরো ব্যতিক্রম। সন্ধার পর টুইন টাওয়ারের সামনে কে এল সি সি এলাকায় যাওয়াটাই অধিকতর উত্তম সময়। সন্ধা থেকে পর্যটকদের আগমন বাড়তে থাকে এবং প্রতিদিন এখানে পর্যটকদের মিলন মেলা বসে ।

লাঙ্কাউই:

মালয়েশিয়া গিয়ে লাঙ্কাউই না গেলে হয়ত সমস্ত খরচই বৃথা। কুয়ালালামপুর থেকে ৪১৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকত অঞ্চল আন্দামান সমুদ্রের ১০৪টি দ্বীপের সমষ্টি। কেবল কার, অপরুপা ঝরনার কলকল সুরধনি, সমুদ্রের নিচ দিয়ে রাস্তা, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আরও  অনেক কিছুর দেখতে পারবেন এখানে । একটু ভিন্ন অভিজ্ঞতার জন্য একটি নৌকা ভাড়া করে চলে যেতে পারেন ম্যানগ্রোভ ফরেস্টের ভেতর। সেখানেও আছে বাদুরের গুহা, ঈগলের গুহা ইত্যাদি দর্শনীয় স্থান।

পেনাং : 

পেনাং মালয়েশিয়ার আরেকটি জনপ্রিয় পর্যটন স্থান । এটি কুয়ালালামপুর থেকে ৩৫৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত । মুলত পেনাং এর মূল আকর্ষণ কেবল ট্রেন। প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য আট রিঙ্গিত আর ছোট ও বৃদ্ধদের জন্য চার রিঙ্গিতের বিনিময়ে এই ট্রেনে চড়ে যেতে পারবেন পেনাঙ্গ পর্বতে। এটি অবশ্যই আপনার জন্য দারুন একটি অভিজ্ঞতা বয়ে আনবে ।

গেনটিং হাইল্যান্ডস : 

মেঘের রাজ্য গেনটিং হাইল্যান্ডস ভুপৃষ্ট থেকে প্রায় ১৮৬৫ মিটার বা ৬১১৮ ফুট উঁচুতে ।  মালয়েশিয়ার পাহাংয়ে গেনটিং অবস্থিত। কেএল সেন্ট্রাল থেকে গেনটিং হাইল্যান্ডসের দুরত্ত প্রায় ৬০কিলোমিটার। বাসে যেতে সময় লাগে এক ঘন্টা দশ মিনিটের মতো। ১৯৬৫ সালে গেনটিং রিসোর্ট চালু হয়। ম্যাক্সিমস, গেনটিং গ্র্যান্ড হাইল্যান্ড সহ বেশ কটি তারকা হোটেল, ক্যাসিনো সেখানে অবস্থিত।এখানের অাবহাওয়া কুয়ালালামপুরের ঠিক বিপরীত। মেঘ অার ঠাণ্ডা বাতাসে এখানে তাপমাত্রা অনেক নিচে। ১০/১২ ডিগ্রি হবে, ঠান্ডার কাপড় সাথে না আনলে শীতের কবলে পড়তে হবে। পাহাড়ের অাকাঁবাকাঁ পথ ধরে প্রায় ঘন্টাখানেকের মধ্যেই পৌছে যাবেন প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য গেনটিং হাইল্যান্ডসে।

মালাক্কা সিটি :

মালাক্কা সিটি যেন বসে আছে তার সমস্ত ঐতিহাসিক সৌন্দর্য নিয়ে । মালয়েশিয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে চলে যেতে পারেন মালাক্কা সিটিতে।

কি কি খাবার পাওয়া যায়

সব ধরণের খাবারের সমারোহ আছে মালেশিয়াতে । এখানে আপনি  ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি ও বাঙালি রেস্তোরা খুঁজলেই পাবেন। তাছাড়াও ফাস্টফুড চেইনের স্বাদ নিতে পারবেন মালয়েশিয়ায়। কমতি নেই স্থানীয় খাবারের। সকালের নাস্তায় দুই রিঙ্গিতের বিনিময়ে খেতে পারেন চানারুটি।

দুপরের খাবারে খেতে পারেন মিক্সড ফ্রাইড রাইস নাসিগরেঙ্গ, খরচ পড়বে মাত্র সাত থেকে আট রিঙ্গিতের মত।

এছাড়াও  পাবেন কাচ্চি বিরিয়ানি, তন্দুরি চিকেন, কাবাব ইত্যাদি।

২০ রিঙ্গিত বা ৫শ’ টাকাতেই ভরপেট খেতে পারবেন এই রেস্তোরা গুলোতে। ডেজার্ট হিসেবে বেছে নিতে পারেন সিক্রেট রেসিপির কেক, এটি বেশ সুস্বাদু ।

কোথায় শপিং করবেন

মালয়েশিয়ার বেশ কিছু শপিং মল আছে যেখানে সাদ্ধ্যের মধ্যেই  আপনার সেরা শপিংটা সেরে ফেলতে পারবেন ।  কেনাকাটার জন্য আপনার পরিবারকে নিয়ে যেতে পারেন প্যাভিলিয়ন, টাইমস স্কয়ার, বিবি প্লাজা, সানওয়ে পিরামিড মার্কেট ইত্যাদি শপিং মলগুলোতে।

পৃথিবীর সবগুলো ব্র্যান্ডের পণ্যই পাবেন এই মার্কেটগুলোয়। এছাড়া মালয়েশিয়ার স্থানীয় পণ্যগুলোও গুণগত মান সম্পন্ন, দামও ক্রয়সীমার মধ্যেই।

আর ইলেক্ট্রনিকস পণ্য কিনতে চাইলে অবশ্যই যেতে হবে ল-ইয়েট প্লাজাতে ।

মালেয়শিয়া ভিসা করতে কি কি প্রয়োজন হয়

মালেয়শিয়া ভিসা করতে যা যা প্রয়োজন হয়:

* ৬ মাসের ভেলিড পাসপোর্ট

* দুই কপি ছবি।

* যদি চাকুরী করেন তাহলে অফিস থেকে NOC লেটার,

* ভিজিটিং কার্ড

* ব্যবাসা করলে ট্রেড লাইসেন্স

* Bank statement and  Bank solvency

* এয়ার টিকিট বুকিং

ভিসা করতে কত দিন সময় লাগবে?

১০ -১২ দিনের মধ্যেই মালেয়শিয়া ভিসা হয়ে যায়, তবে এমারজেন্সিতে ভিসা করালে আরও সময় কম লাগে । এক্ষেত্রে টাকা বেশি গু্নতে হবে ।

যেকোনো দেশের এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, হেলিকপ্টার সার্ভিস, টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এবং প্যাকেজ ট্যুর করে থাকি বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নিচের ঠিকানায়

এয়ারওয়েজ অফিস
হ্যাপি আর্কেড শপিংমল, ৩য় তলা, স্যুইট নং #৩৪, রোড#০৩, হোল্ডিং নং:০৩,  ধানমন্ডি,ঢাকা-১২০৫
মোবাইল: 01880155574