দোয়েল চত্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার ভিতরে কার্জন হলের সামনে অবস্থিত, বাংলাদেশের জাতীয় পাখি দোয়েলের একটি স্মারক ভাস্কর্য। এর স্থপতি হলেন আজিজুল জলিল পাশা। এটি বাংলাদেশের জাতীয় বৈশিষ্ট্যের ধারক ও বাহক যা বাংলাদেশের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করে।
১৯৭৪ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত উত্তরা ব্যাংক (বর্তমানে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড) এর আর্থিক সহায়তায় তৈরি হয়েছে জোড়া দোয়েলের এই ভাস্কর্য। জানা যায়, উত্তরা ব্যাংক ভাস্কর্যটির ব্যাবস্থাপনার জন্য আর্থিক সহায়তা দিয়ে থাকে। অযত্ন, অবহেলার কারণে ক্রমশ দোয়েলের ভাস্কর্যকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা দোয়েল চত্বরের সৌন্দর্যহানি ঘটে। ২০১৬ সালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয় দোয়েল চত্বরের সংস্কার কাজ। এতে যোগ করা হয় আধুনিক লাইটিং ব্যাবস্থা, ১২০টি ট্যাপের পানি দিয়ে ফোয়ারা, লাগানো হয় নানা রঙের ফুলের গাছ। অত্যন্ত সুন্দর এই স্থাপনার চারপাশ জুড়ে রয়েছে শিশু একাডেমি, তিন নেতার মাজার, ঢাকা গেইট, কার্জন হলের মতো ঐতিহাসিক সব স্থান।
দোয়েল চত্বরের ফুটপাতের দিকে তাকালেই চোখ চমকে উঠে সুবিশাল মৃৎশিল্প মার্কেট দেখে। কারুশিল্পের যেন এক পসরা সাজানো জায়গা। ১৯৯৬ সালে মাত্র ২টি দোকান নিয়ে শুরু হওয়া এই মার্কেটটি কালপরিক্রমায় আরো সম্প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে সেখানে ৪০ টি মৃৎশিল্প-কারুশিল্পের দোকান রয়েছে। নানা ধরনের গৃহস্থালির তৈজসপত্র পাওয়া যায় সেখানে। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আবালবৃদ্ধবনিতা প্রতিদিন সেখানে কিছু না কিছু কিনতে যাবেই। বাঁশি, কুলা, শিকা, আয়না, পুতুল, ফুলদানি, ফুলের টবসহ নানা ধরনের সৌখিন পণ্যের সমাহার হচ্ছে এই দোকানগুলো। মৃৎশিল্প-কারুশিল্প মার্কেটের বিপরীত দিকের ফুটপাতে কেনা-বেচা হয় বিভিন্ন রকমের ফুলের, ফুল গাছের। এসবের মূল্যমান ২০টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫০০টাকার মধ্যেই থাকে।
কীভাবে যাবেন:
ঢাকা শহরের যে কোন প্রান্ত থেকে দোয়েল চত্বরের আসা যায়। বাসে আসলে নামতে হবে শাহবাগ। সেখান থেকে রিক্সা করে দোয়েল চত্বরের যাওয়া যায়।