একটি সময় ছিল যখন রাজনৈতিক সীমানা দিয়ে ভারত বিভক্ত ছিল না। তখন মানুষ ইচ্ছেমত উপমহাদেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে পারতো। কিন্তু রাজনৈতিক বাস্তবতায় এ যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। তারপর ধীরে ধীরে সে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুন:প্রবর্তনের চেষ্টাও হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। এরই অংশ হিসেব প্রথমে চালু হয় ঢাকা-কলকাতা বাস সার্ভিস, তারপর চালু হয় ঢাকা-আগরতলা বাস সার্ভিস। ভারত এবং বাংলাদেশ দু’দেশের রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থার উদ্যোগে এ বাস সার্ভিস চালু হয়। তবে বেসরকারী পর্যায়েও দু’দেশের পরিবহন সংস্থার সমঝোতার মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন গন্তব্যে বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। অবশ্য এসব ক্ষেত্রে সীমান্তে গিয়ে বাস বদল করতে হয়।
ঢাকা – কোলকাতা বাস সার্ভিস, শ্যামলী পরিবহন
ঢাকা-কোলকাতা আন্তর্জাতিক বাস সার্ভিসের মধ্যে শ্যামলী পরিবহন অন্যতম। যাত্রীদের আরামদায়ক পরিবহনের জন্য তারা RM2 এবং VOLVO ব্রান্ডের বাস ব্যবহার করে থাকে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য অনলাইনে টিকেটের ব্যবস্থাও তারা রেখেছে। এটি ১৯৯৯ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক সার্ভিস শুরু করে।
প্রয়োজনীয় তথ্য:
- প্রতিদিন সকাল ১১ টায় বাস ছেড়ে যায়। সাপ্তাহিক বন্ধ শুক্রবার।
- মোট আসন সংখ্যা ৪০ টি। সকল সিট একই মূল্যের। যাত্রী প্রতি ভাড়া ১৪০০ টাকা।
- টিকেট কিনতে পাসপোর্ট নাম্বার লাগে। পাসপোর্টের ফটোকপি লাগে না।
- কমপক্ষে ৩ দিন আগে রিজার্ভ করতে হবে টিকেট। যদি ফেরত দিতে হয় তবে সেক্ষেত্রে ১০% হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। টিকেটিং সিস্টেম কম্পিউটারাইজড। রিটার্ন টিকেট কাটা যায়। ট্রাভেল ট্যাক্স সোনালী ব্যাংকের যেকোন শাখায় দিতে পারবেন।
- বাসে খাবার পানীয় ও সকালে নাস্তার ব্যবস্থা রয়েছে। বিনোদনের জন্য DVD ও সাউন্ড বক্স রয়েছে। সব বাসেই AC রয়েছে।
- এদের রয়েছে সুবিন্যস্ত ওয়েটিং রুম । পুরুষ ও মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদা টয়লেট ।
- বাসের মধ্যে ধূমপান করা নিষিদ্ধ। যাত্রীদের মধ্যে যারা বমি করে তাদের জন্য পলিথিনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
- ভারতের অভ্যন্তরে বারাসাত ও সল্টলেকে যাত্রী নামানো হয়। ভারতেও এদের কাউন্টার রয়েছে।
- শুধুমাত্র বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়া যায়। যাত্রীদের নিজ দায়িত্বে কাউন্টারে আসতে হবে।
- বাংলাদেশের বেনাপোল এবং ভারতের হরিদাসপুরে কাস্টমস চেক আপ করা হয়। সাধারণত ৩০ মিঃ সময় লাগে। বাস বদল করতে হয় না। মাগুরাতে ২০ মিঃ যাত্রা বিরতি দেয়া হয়।
- খাওয়া দাওয়ার জন্য ভিডিও চিত্র নেওয়া হয় না।
- দূর্ঘটনার ক্ষেত্রে কোম্পানী যাবতীয় ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করে থাকে।
- একজন যাত্রী আলাদাভাবে সর্বোচ্চ ২০ কেজি ওজনের মালপত্র নিতে পারবে।
- অতিরিক্ত ওজনের হলে প্রতি কেজি ৩০ টাকা হারে অতিরিক্ত টাকা প্রদান করতে হবে।
- ঢাকায় লাগেজ পরীক্ষা করা হয়। ব্যাগ হারালে শ্যামলী কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ প্রদান করে থাকে।
- যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য বাসের ভেতরে দুজন আনসার সদস্য অস্ত্রসহ অবস্থান করেন।
- আলাদা কোন সার্ভিস নেই। রোগীদের জন্য বাসের ভেতরে First Aid এর কোন ব্যবস্থা নেই। এবং আলাদা সিটেরও কোন ব্যবস্থা নেই। কোম্পানীর তত্ত্বাবধানে থাকার কোন ব্যবস্থা নেই।
- এরা মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে কোন প্রকার সাহায্য করেন না।
- যাত্রীদের ক্ষেত্রে বিশেষ কোন নির্দেশাবলী নেই। বাসের অভ্যন্তরে সমস্ত তথ্য দেয়া রয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
Web: www.shamoli.poribahan.bd.com
Kolkata Office:
6/1, Marquis Street
Tel: 00913339579672, 22520693
2Zakaria Street Kolkata 73
Tel: 22342995
Karunamoye, Salt lake,
Tel: 9748090471, Mob: 0091-9748090471
ঢাকা অফিস
১৬৭/২১ ইনার সার্কুলার রোড
ফোন- ৭১৯৩৯১০, ৭১৯৪২৯১
মোবাইল- ০১৭১৬-৪১৬৮৩১
পান্থপথ: ফোন- ৯১০২০৮২, মো: ০১৭১১-০৪০৮৮১
১/১৬ আসাদগেট, ঢাকা
ফোন- ৮১২৪৮৮১, ৯১২৪৫১৪
১২ দক্ষিণ কল্যাণপুর মিরপুর রোড
ফোন- ৮০৩৪২৭৫, মো: ০১৭১৬-৪৭৮৯৫১
নারায়ণগঞ্জ অফিস
বিবি রোড, স্কাউট ভবনের পাশে
ফোন: ৭৬৪২৮৮২
বেনাপোল ও চেকপোষ্ট:
মোঃ ০১৭২৪-৭৭৭২৬০
বুড়ীমারী চেকপোষ্ট:
মোঃ ০১৭১৬-১৯৩১১৪
তথ্য সুত্রঃ- অনলাইন ঢাকা গাইড