মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলার দামাল ছেলেদের চরম সাহসিকতা ও বীরত্বের সম্মান সরূপ যে সাতজন বীর সন্তানকে দেশের সর্বোচ্চ সামরিক সম্মান ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধি দেওয়া হয়, এর মধ্যে ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান তার অন্যতম। বাংলার এই সূর্য সন্তান ১৯৭১ সালের ২০ আগস্ট পাকিস্তানি বিমান ঘাটি থেকে একটি প্রশিক্ষণ টি-৩৩ বিমানটি হাইজ্যাক করে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বিমানটি ভারতের কাছাকাছি এসে বিধ্বস্ত হয় এবং তখনই তিনি শহীদ হন। তার এই সাহসিকতার তাকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে মহান এই মানুষটির বীরত্বকে সম্মান প্রদর্শনের প্রয়াসে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলায় সাবেক রামনগর গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণ করা হয়। জাদুঘরটি একই সাথে সৌন্দর্য ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বহন করে আসছে।
সাত বীরশ্রেষ্ঠ ও তিন ভাষাশহীদের জন্মস্থানে জাদুঘর ও লাইব্রেরি নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ উপঅধিনায়ক এ কে খন্দকার জাদুঘরটি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বছরের অধিকাংশ সময়েইদেশের দূর দূরান্ত থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী আসে শুধুমাত্র মতিউর রহমানের স্মৃতিতে নির্মিত জাদুঘরটি দেখার জন্য। জাদুঘরটিতে প্রায় ২ হাজার ৮০০ টি বই আছে। চাইলেই জাদুঘরের লাইব্রেরিতে বসেই বই পড়তে পারেন।
যেভাবে যাবেনঃ-
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার সাবেক রামনগর (যা এখন মতিনগর নামে পরিচিত) গ্রামে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্মৃতি জাদুঘর অবস্থিত। গুলিস্থান অথবা মহাখালী থেকে ভৈরবের গাড়িতে নরিসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নে নেমে রিক্সা অথবা সিএনজি তে করে মতিনগর গ্রামে যেতে হবে।