বিলরুট ক্যানেল

1341

গোপালগজ্ঞ জেলা নাম করণের ইতিহাস থেকে জানাযায়, এ অঞ্চলটি রাণী রাসমণির স্টেট জমিদারির অন্তরভুক্ত ছিলো। তার আগে এই অঞ্চলটি ব্রিটিশদের ব্যবসার মুক্ষ কেন্দ্র ছিল। আর তাই নির্মাণ করা হয় একটি ক্যানেলযার নাম বিলরুট ক্যানেল।

বৃটিশ আমলে ভেড়ার বাজার ছিল এ এলাকার ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র। মধুমতির মানিকদাহ বন্দরের নিকট থেকে উত্তর এবং উত্তর পূর্ব দিকে উরফি, ভেড়ারহাট, উলপুর, বৌলতলী, সাতপাড়, টেকেরহাট হয়ে আড়িয়াল খাঁর শাখা নদী উতরাইল বন্দরের কাছাকাছি পর্যন্ত ৬০/৬৫ কিলোমিটার র্দীঘ ক্যানেল খনন করা হয়। ক্যানেলটি ৪০০ ফুট প্রশস্ত, গভীরতা ৩০ ফুট। ক্যানেলটি ১৮৯৯-১৯০৫ সালে নির্মিত হয়। এ ক্যানেলটি খননের ফলে নদী পথে ঢাকা-খুলনার দুরত্ব ১৫০ মাইল কমে যায় এবং বঙ্গোপসাগর হয়ে আসা পন্য সহজেই কলকাতা বন্দরে পাঠানো সহজ হয়। এটি বঙ্গের সুয়েজখাল নামে পরিচিত। তৎকালীন সময়ে ক্যানেলটির নির্মান ব্যয় হয় ৩৩,৬৬,৮৭৯/- টাকা।

যেভাবে যাবেনঃ-

গোপালগঞ্জের সদর উপজেলাতে এই ক্যানেলটি অবস্থিত হওয়ায় খুব সহজেই গোপালগঞ্জ সদর থেকে রিক্সা করে ক্যানেলের কাছে পৌঁছানো যায়।