নারায়ণগঞ্জ শহরের অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বিবি মরিয়মের সমাধি সৌধ। হাজীগঞ্জের কিল্লারপুলে অবস্থিত এই সমাধি সৌধটি। হাজীগঞ্জের বিবি মরিয়ম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনেই মাজারটির অবস্থান। ধারণা করা হয় ১৬৬৪ থেকে ১৬৮৮ খ্রিষ্টাব্দের মাঝামাঝি সময়ে প্রায় সাড়ে তিনশ বছর পূর্বে বিবি মরিয়মের মাজার স্থাপন করা হয়। সমাধি সৌধটি তত্কালীন মুঘল সম্রাট নিয়োজিত সুবেদার শায়েস্তা খাঁ কতৃক নির্মিত বলে ধারণা করে থাকেন ঐতিহাসিকরা। সমাধিতে শায়িত বিবি মরিয়মকে শায়েস্তা খাঁর কন্যা এবং ইরান দখত-এর বোন তুরান দখত হিসেবে মনে করা হয়। ভ্রমণ পিপাসুদের ঘুরতে যাওয়ার জন্য বিবি মরিয়মের সমাধি একটি আদর্শস্থান হতে পারে।
সমাধি সৌধটি সুউচ্চ প্রাচির দিয়ে ঘেরা একটি আয়তাকার প্রাঙ্গনের মাঝখানে ভুমি থেকে উচু ভিতের মাঝে নির্মিত। বর্গাকার ইমারতটিতে একটি গম্বুজ পরিলক্ষিত হয়। এছাড়াও ভবনের চারদিকে খিলান ছাদ বিশিষ্ট বারান্দা ঘিরে রয়েছে। সমাধি সৌধটি্র কেন্দ্রস্থলে চতুস্কোন কক্ষে রয়েছে তিন ধাপ বিশিষ্ট সমাধি। সমাধিটি শ্বেত পাথরে নির্মিত ও লতা পাতার নকশা অঙ্কিত। এছাড়া ও কবর ফলক ও সমাধি লাগোয়া বারান্দায় বেশ কয়েকটি সাধারন কবরও রয়েছে।
সমাধি সৌধটির পশ্চিম পাশে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে যার নির্মাণকাল সৌধটির সমসাময়িক অর্থাৎ ১৬৬৪-৮৮ সালে শায়েস্তা খাঁন নির্মাণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। এবং সমাধিতে শায়িত বিবি মরিয়ম এর নামেই একে বিবি মরিয়ম এর মসজিদ নাম করন করা হয়েছে।
মাধি সৌধে প্রবেশের জন্য উত্তর দিকে নির্মাণ করা হয়েছিল গেট। এই গেট দিয়েই একসময় হাজীগঞ্জ কেল্লায় প্রবেশ করতো লোকজন। এছাড়া এ অঞ্চলে নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য বিবি মরিয়মের সমাধির পাশেই একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়টির নামকরণ বিবি মরিয়মের নামে করা হয়।
যেভাবে যাবেনঃ-
নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে বাস, টেম্পো, অটো অথবা রিক্সাযোগে নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতাল থেকে কিছুটা পূর্ বিবি মরিয়মের মাজার অবস্থিত।