বাঁশখালী ইকোপার্ক

1652

বাঁশখালী ইকোপার্ক। চট্টগ্রামের বৈচিত্র্যময় এক দর্শনীয় স্থান। চট্টগ্রাম শহর হতে প্রায় ৫০কি.মি দক্ষিণ-পশ্চিমে বাঁশখালী উপজেলায় এই ইকোপার্কটির অবস্থান। এখানে রয়েছে প্রায় ৩১০ প্রজাতির উদ্ভিদ। ২০০৩ সালে এক হাজার হেক্টর বনভূমি নিয়ে বাঁশখালী ইকোপার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। মুলত দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিনোদন প্রেমিদের কথা চিন্তা করে এই পার্কটি প্রতিষ্ঠা করে।

এটি উপজেলা সদর হতে ৫কিঃমিঃ দক্ষিণে। এর আয়তন প্রায় ১০০০হেক্টর। দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিনোদন প্রেমিদের কথা চিন্তা করে ২০০৩ সালে এ ইকো পার্কটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা এবং প্রকৃতি সংরক্ষন বিভাগ এই ইকোপার্কটির রক্ষনাবেক্ষন করে থাকে। এতে বামের ছড়া এবং ডানের ছড়া নামের ২টি সুবিশাল লেক আছে। এ দু’টি লেকের উপর দিয়ে পারাপারের জন্য আছে দু’টি নান্দনিক ঝুলন্ত ব্রীজ। থাকার জন্য আছে ১টি ভিভিআইপি মানের ‘ঐরাবত ’ রেস্ট হাউজ এবং ১টি কটেজ। তাছাড়া আছে বেশ কয়েকটি রিফ্রেশমেন্ট কর্ণার। আছে ছোট একটি চিড়িয়াখানা। দর্শনার্থীর হাঁটার জন্য পাহাড়ী ঢালের উপর দিয়ে দীর্ঘ পাকা রাস্তা এবং বসার জন্য কিছু দুর পর পর চেয়ার এবং ছাউনিসহ চেয়ার পাতা আছে। এ পার্কে লেকের ধার ঘেঁষে আছে অসংখ্য ছোট বড় পাহাড় যা ঘণ জঙ্গলে ঢাকা। জঙ্গলে হাতি, বানর, হনুমান, হরিণ, বনমোরগ, সজারু ইত্যাদি বিচরণ করতে দেখা যায়।লেকের পানিতে শীতকালে অসংখ্য অতিথি পাখি এসে ভীড় করলে নয়নাভিরাম নৈসর্গিক সৌন্দর্য ভ্রমণকারীদের মোহিত করে। ১৯৯৭ সালের উদ্ভিদ জরিপ মতে এখানে আরো পাওয়া যাবে ৩১০ প্রজাতির উদ্ভিদ। এর মধ্যে ১৮ প্রজাতির দীর্ঘ বৃক্ষ, ১২ প্রজাতির মাঝারি বৃক্ষ, ১৬ প্রজাতির বেতসহ অসংখ্য অর্কিড, ইপিফাইট ও ঘাস জাতীয় গাছ। এই এলাকা গর্জন, গুটগুটিয়া, বৈলাম, সিভিট, চম্পাফুল এবং বিবিধ লতাগুল্ম সমৃদ্ধ চিরসবুজ বনাঞ্চলে ভরপুর ছিল। পার্ক এলাকার ৬৭৪ হেক্টর বনভূমিতে বিভিন্ন ধরনের মনোমুগ্ধকর বাগান তৈরি করা হয়েছে।

কীভাবে যাবেন:

বাঁশখালী ইকোপার্কে চট্টগ্রাম থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা খুব সহজ। বাসে যেতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা। বাস ভাড়া জনপ্রতি ৭০  থেকে ১০০ টাকা। সিএনজি ভাড়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা। দিনে গিযে আবার দিনেই ফিরে আসা যায়।