বিমানবন্দর হলো এমন একটি যায়গা যেখানে মূলত বানিজ্যিক ধাচের বিমান গুলো যাত্রী পরিবহন করার উদ্দেশ্যে উঠা নামা করে।প্রতিটা বিমান বন্দরে নিয়ন্ত্রন টাওয়ার,বিমান রাখার জায়গা,যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকে। প্রতিটা বিমান বন্দরের অন্যতম একটি বিষয় হচ্ছে রানওয়ে যা মুলত পিচ করা,দৈর্ঘ ও প্রস্থে বড়ো,উনমুক্ত একটি রাস্তা যার মদ্য নিয়ে প্রতিটি বিমান আকাশে উড়ে এবং মাটিতে নামে।প্রতিটা বিমান বন্দরে কমপক্ষে একটি এবং যেসকল বিমান বন্দরে বিমান উঠা নামার হার বেশি সে সব বিমান বন্দরে একাধিক রানওয়ে থাকে।
বিমান বন্দর গুলিতে আরেকটি বিশেষ ধরনের জায়গা থাকে যেকানে সাধারণত হেলিকাপ্টার গুলো উঠা নামা করে।সে জায়গা টাকে বলে “হেলিপ্যড”।বর্তমান সময়ে সাধারণ মানুষের কাছে অল্প দূরত্বে এবং দ্রূত যাতাযাত কিংবা মুমূর্ষ যাত্রী পরিবহনের জন্য হেলিকাপ্টার অধিক জনপ্রিয় এবং প্রয়োজন।তাই বর্তমান সময়ের সব কয়টি বিমান বন্দরেই একের অধিক হেলিপ্যড থাকে।
বিমান বন্দরের ধরন:-
বিমান বন্দর সাধারণত ২ ধরনের হয়।আন্তরর্জাতিক ও অভ্যন্তরীন।
★আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর:- নির্দিষ্ট কোন দেশের যে সকল বিমান বন্দর গুলিতে অন্য কোন দেশের রাষ্ট্রীয় কিংবা বেসরকারি বিমান সংস্থার বিমান গুলি গুলি বিভিন্ন জায়গার যাত্রী পরিবহন করার উদ্দেশ্যে উঠা নামা করে সে সকল বিম্বান বন্দর ই হলো আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। প্রতিটি আন্তর্জাতিকক বিমান বন্দরকে সকল ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট মান বজায় রাখতে হয়।আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গুলিতে অভ্যন্তরীর বিমান বন্দর গুলো থেকে সকল বিষয়ে আধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত মানের সেবা সুনিশ্চিতত করা হয়।
★অভ্যন্তরীন বিমান বন্দর:- নির্দিষ্ট কোন দেশের অভ্যন্তরীর গন্তব্য গুলিতেতে যাত্রী পরিবহনের জন্য যে সকল বিমান বন্দর ব্যবহৃত হয় তাদের কে অভ্যন্তরীন বিমান বন্দর বলা হয়। অভ্যন্তরীন বিমান বন্দর গুলিতে কোন আন্তর্জাতিক সংস্থার বিমান উঠা নামা করে নাহ শুধু মাত্র দেশীয় বিমান সংস্থার সকল বিমান উঠা নামা করে।
বাংলাদেশের বিমান বন্দর:-
বাংলাদেশে বিমান ব্যবস্থা তথা বিমান বন্দরে সুত্রপাত হয় ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার কোহিমা এবং বার্মার অন্যান্য রণাঙ্গনমুখী যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য ঢাকার তেজগাও এলাকায় একটি সামরিক বিমান ঘাটি নির্মান করে। এই বিমানবন্দরটিই ছিলো তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের প্রথম বেসামরিক বিমান ঘাটি। মূলত এই বিমান বন্দর থেকেই বাংলাদেশে বিমান ব্যবস্থার উৎপওি হয়। স্বাদীন বাংলাদেশে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৭২ সালের ৪ জানুয়ারী জাতিয় বিমান সংস্থা “বাংলাদেশ বিমান” এফ- ২৭ ও এটিপি বিমান দ্বারা এয়ার ববাংলাদেশ ইন্টারনেশনাল কার্যক্রম শুরূ হয়।কিছু দিন পর বিমান সংস্থাটি আন্তর্জাতিক গন্তব্য গুলোতে যাত্রী পরিবহন করার জন্য বড়ো পরিসরে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং কিছু নতুন বিমান ক্রয় করে।অপর দিকে ততদিনে কিছু বেসরকারি বিমান সংস্থাও বাংলাদেশে বিমান পরিচালনা শুরূ করে। এমতোবস্থায় তেজগাও বিমানবন্দরের অপ্রতুলতা দেখা দেয়।যার জন্য নতুন বিমান বন্দর তৈরির প্রয়োজন পড়ে এবং অচিরেই শুরূ হয় নতুন বিমান ববন্দর তৈরির কাজ। ১৯৮১ সালে নতুন বিমান বন্দর তৈরি হবার পর পূর্বের বিমান বন্দরটিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনির নিকট হস্তান্তর করা হয়।বর্তমানে বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান সংস্থার নিয়ন্ত্রণাধীন ৩ টি আন্তর্জাতিক এবং ৮টি অভ্যন্তরীন বিমান বন্দর রয়েছে।বগুড়া,বাগেরহাট,টুঙ্গিপাড়া,হাতিয়া,রামগতি,নোয়াখালিতে অভ্যন্তরীণ বিমান বন্দর তৈরির প্রচেষ্টা চলছে। তাছাড়া বাংলাদেশের প্রতিটা জেলাতেই হেলিকাপ্টার অবতরণের সুবিধা রয়েছে।
বাংলাদেশের বিমান বন্দর গুলোর নাম ও ঠিকানা:-
আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর:-
১) শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর(ঢাকা)
২) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর(চট্টগ্রাম)
৩) ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর(সিলেট)
অভ্যন্তরীন বিমান বন্দর:-
১)শাহ মখদুম বিমান বন্দর(রাজশাহী)
২)যশোর বিমান বন্দর(যশোর)
৩)সৈয়দপুর বিমান বন্দর(সৈয়দপুর)
৪)কক্সবাজার বিমান বন্দর(কক্সবাজার)
৫)বরিশাল বিমান বন্দর(বরিশাল)
৬)ঈশ্বরদী বিমান বন্দর(পাবনা)
৭)তেজগাও বিমান বন্দর(তেজগাও)
৮)খান জাহান আলী বিমান বন্দর(বাগেরহাট)