বাংলাদেশি অনেক শিক্ষার্থী কানাডায় পড়াশোনা করতে আগ্রহী। এইচএসসি ও অনার্স পাস করেই অনেক শিক্ষার্থী কানাডার বিভিন্ন কলেজগুলোতে আবেদন করে থাকেন। গত আট/১০ বছর ধরে বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীরা কানাডার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে পাড়ি জমাচ্ছে। তবে বৈচিত্র্যপর্ণ আবহাওয়ার কারণে বাংলাদেশি ছাত্রছাত্রীদের প্রথমে কানাডার আবহাওয়ায় খাপ খাইয়ে নিতে একটু অসুবিধা হয়।কানাডায় উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনের সময় কানাডার সকল নিয়মকানুন ভালভাবে জেনে নেয়া উচিত।
কানাডার স্বনামধন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম
১. ইউনিভার্সিটি অব আলবারটা অ্যাডমনটন।
২. ইউনিভার্সিটি অব মনট্রিয়েল।
৩. ডালহাউজ ইউনিভার্সিটি, হেলিফ্যাক্স।
৪. ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া ভ্যাকুভর।
৫. ইউরক ইউনিভার্সিটি, টরেন্টো।
৬. ইউনিভার্সিটি অব স্যাসকেচুয়ান, স্যাসকেটন।
৭. ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টো।
স্টাডি সিস্টেমঃ-
- চেলর ডিগ্রী:- স্নাতক ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার জন্য অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ১২ বৎসর মেয়াদী শিক্ষাসার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এছাড়া আইএলটিএস-এ কমপক্ষে পেতে হবে ৬-৬.৫ স্কোর। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে স্যাট-২ এর সার্টিফিকেট ও বাধ্যতামূলক করেছে। এই ডিগ্রি পেতে সময় লাগে ৩ থেকে ৪বছর।
- মাস্টার্স ডিগ্রী :- স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ১৬বৎসর মেয়াদী শিক্ষাসার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এছাড়া এখানেও আইইএলটিএস এ পেতে হবে কমপক্ষে ৬-৬.৫ স্কোর।এর পাশাপাশি কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে জিআরই, জিএমএটির প্রয়োজন হয়। এই ডিগ্রি ১বৎসর মেয়াদের।
- পিএইচডি :- পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ৩বৎসর পূর্ণকালীন গবেষণা করার সুযোগ পাওয়া যায় কানাডায়।
ভর্তীর সময়:-
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রতি বছরে একটি শিক্ষার্থীকে তিনটি সেমিস্টার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এই তিনটি সেমিস্টার শুরূর আগে আগে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তীর সুযোগ দেয়া হয়।
১.উইন্টার সেমিস্টার(জানুয়ারী- এপ্রিল)
২.সামার সেমিস্টার(মে- আগষ্ট)
৩.ফল সেমিস্টার(সেপ্টেম্বর- ডিসেম্বর)
ভর্তি ফিঃ-
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিবর্তীত হয়। তাছাড়া অঞ্চল এবং প্রোগ্রাম এর উপর নির্ভর করেও টিউশন ফি বেশি হয়। সাধারণতই কানাডিয়ান স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের খরচ একটু বেশিই থাকে। এক জরিপের হিসেব অনুয়ায়ী কানাডার উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে
- আন্ডারর্গ্যাজুয়েট কোর্সের টিউশন ফি সাধারণত ২০,০০০ ইউএস ডলারের মতো হয় যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬,০০,০০০ লক্ষ্য টাকা।
- ডক্টরেট, আ্যাসোসিয়েট ডিগ্রীর জন্য খরচ প্রায় ১৮০০০ ইউএস ডলারের মতো।যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৪,০০,০০০ টাকা।
স্কলারশীপ:-
প্রতিবছর প্রচুর পরিমান শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশ থেকে কানাডাতে আসে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করার জন্য। কানাডার সরকার সেই দিক বিবেচনয়া রেখে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মেধা এবং বিগত ফলাফলের নির্ভর করে টিউশন ফি মউকুফ সব আর্থিক সহায়তা প্রদানের সুবিধা রেখেছে। একেই বলা হয় স্কলারশীপ। শিক্ষার্থীরা যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীর সুযোগ পেয়েছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর স্কলারশীপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
ক্রেডিট ট্রার্স্নফার সুবিধা:-
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অন্য দেশ থেকে ক্রেডিট ট্রাস্নফার করে ভর্তী হবার সুযোগ থাকে। সেক্ষেত্রে ক্রেডিটের উপর হিসাব করে টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। তবে কানাডার খুব বেশি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা পাওয়া যায় নাহ। প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বাদ রেখে বাকি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা বিদ্যমান থাকে।
স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করুন:-
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা নামে কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। মূলত, স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়, যেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়। এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি কানাডায় বসবাস করতে পারবেন না। কানাডায় ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা অথবা ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) নামক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদনের জন্য আপনাকে যা যা সংযুক্ত করতে হবে
১. কানাডার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার।
২. কানাডায় থাকাকালীন আপনার থাকা, খাওয়া ও পড়ার খরচ বহন করার মতো পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৩. আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত নেই তার প্রমাণপত্র।
৪. আপনি পুরোপুরি সুস্থ তার প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল রিপোর্ট।
৫. কানাডায় থাকাকালীন আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হবেন না, তার অঙ্গীকারনামা।
কানাডায় থাকাকালীন আপনার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে তার প্রমাণপত্র হিসেবে যুক্ত করুন
১. কানাডার ব্যাংকে আপনার নিজের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
৩. ব্যাংক ড্রাফট।
৪. এক বছরের থাকা ও পড়ার খরচ পরিশোধ হয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৫. যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফান্ডিং দিবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত চিঠি।
৬. আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তবে তার প্রমানপত্র।
দেশের বাহিরের উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় কাজগ পত্রের যথার্থতা যাচাই করতে। তাছাড়া ভিসা, পাসপোর্ট সহ অন্য সকল সমস্যা তো আছেই। এই সক সমস্যার জন্য একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন অপরিপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু যদি শিক্ষার্থীগন কোন বিশেষগ্যের সাহায্য আগন পরামর্শ গ্রহন করে তাহলে তারা এই সমস্যার সমধান খুজে পেতে পারে।
ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান যারা সাধারন শিক্ষার্থীদের এই সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থেকে বিশেষগ্যের মতো। বাজারে এর সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘’ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক” শীর্ষ স্থানীয়। ভিসা সহায়তা,পাসপোর্ট, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার সহ অন্য সকল ধরনের সহায়তা পেতে যোগাযোগ করুন আমদের সাথে।
ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড
রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,
হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,
ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।
মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯৬– ৯৭