চিংড়ী ঝর্ণা

2008

চট্টগ্রাম থেকে ৯২ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে পাহাড়ী শহর বান্দরবান। বান্দরবান মানেই পাহাড়ের দেশ, বান্দরবান মানেই সবুজের দেশ, বান্দরবান মানেই ঝর্ণার দেশ। আর ঝর্ণা শব্দটাই কেমন যেন রিনিঝিনি ছন্দময় আনন্দময় আবহ জাগায় শরীর ও মনে। ইচ্ছে হয় ওর পানির সৌন্দর্য্য আর শীতলতায় ধুয়ে ফেলি জীবনের সব কালিমা। বান্দরবন জেলার অন্যতম একটি আকর্ষণ চিংড়ী ঝর্ণা।

সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২১৬ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট বগালেক। কেওকারাডাং এর কোল ঘেঁষে বান্দারবান শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে এবং রুমা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। পাহাড়ের উপরে প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে এই লেকের অবস্থান। এ পানি দেখতে প্রায় নীল রঙের। বগালেক থেকে কেওক্রাডং এর পথে ঘন্টাখানেকের পাহাড়ি পথ পাড়ি দিলেই এই চমৎকার ঝর্ণাটা পাবেন, কিন্তু প্রাথমিকভাবে যেটুকু ঝর্ণা দেখা যায় এটুকুই কিন্তু চিংড়ি ঝর্ণা নয়। আসল টুকু দেখতে হলে আপনাকে বিশাল বিশাল পিচ্ছিল পাথরগুলো পেরিয়ে আর একটু ভেতরে ঢুকে ডান দিকে ৯০ ডিগ্রি ঘুরতে হবে। দেখবেন অসাধারণ একটি ঝর্ণা, যেন বাশ বাগানের মাথার অনেক উপর থেকে একেবেঁকে নেমে আসছে চমৎকার একটা স্রোতধারা।

যেভাবেযাবেনঃ-

প্রথমে বান্দরবন আসতে হবে। রাজধানী শহর ঢাকা থেকে বিভিন্নভাবে বান্দরবন আসা যায়। বাসযোগে সরাসরিভাবে আসা যায়। তবে ভেঙে আসলে বাস, ট্রেন, প্লেন পছন্দসই যেকোন মাধ্যম বেছে নেওয়া যাবে। বান্দরবান থেকে বাস করে রুমা সদর উপজেলা যাওয়া যায়। প্রতি এক ঘণ্টা পরপর একটি করে বাস বান্দরবান থেকে রুমা বাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। সেখান থেকে পরবর্তী গন্তব্য বগা হ্রদ। বগা হ্রদে দুইভাবে পৌঁছানো যায়। ঝিরিপথে হেঁটে বা চান্দের গাড়িযোগে। বগা লেক থেকে বাকীপথ ট্রেক করে এগিয়ে যেয়ে, দার্জিলিংপাড়া হয়ে বাংলাদেশের অন্যতম উচ্চতম শৃঙ্গ কেওক্রাডং এর পথে ঘন্টাখানেকের পাহাড়ি পথ হাটলে চিংড়ি ঝর্ণাধারা দেখা যায়। নিচ থেকে ঝর্ণার ছোট একটি অংশ দেখা যায়। মূল ঝর্ণা দেখতে হলে বিশালাকারে পিচ্ছিল পাথরগুলো পার হয়ে ডান দিকে ৯০ ডিগ্রি ঘুরে যেতে হবে।