বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ঝর্ণাগুলোর মধ্যে শৈলপ্রপাত অন্যতম। বান্দরবান শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে থানচিমুখী সড়কে শৈলপ্রপাত নামক এই ঝর্ণাটি অবস্থিত। বান্দরবান রুমা সড়কের ৮ কিলোমিটার দূরে শৈলপ্রপাত অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সৃষ্টি। ঝর্ণার হিমশীতল পানি এখানে সর্বদা বহমান। এই ঝর্ণার পানিগুলো খুবই স্বচ্ছ এবং হীম শীতল। বর্ষাকালে এ ঝর্ণার দৃশ্য দেখা গেলেও ঝর্ণাতে নামা দুস্কর, পর্যটন নগরী বান্দরবানের কাছে হওয়ায় সারা বছরই পর্যটক সমাগমে মুখরিত থাকে স্বচ্ছ ও ঠান্ডা পানির এই ঝর্ণাটি।
বর্ষাকালে এই ঝর্ণায় পানির প্রবাহ তীব্র আকার ধারন করে। শৈলপ্রপাতের পানি স্বচ্ছ এবং ঠাণ্ডা। এখানে দুর্গম পাহাড়ের কোল ঘেশা আদিবাসী বম সম্প্রদায়ের সংগ্রামী জীবন প্রত্যক্ষ করা। এই ঝর্ণার পানি ব্যবহার করতে পারার কারনে শৈলপ্রপাতের কাছে কয়েকটি গ্রাম গড়ে উঠেছে। স্থানীয়রা এই ঝর্ণার পানি পান করা এবং গৃহস্থলীর কাজে ব্যবহার করে। স্থানীয়দের তৈরি হস্তশিল্প সামগ্রী, হাতে তৈরি পোশাক এবং বিভিন্ন খাদ্য বাজারজাতকরনের জন্য শৈলপ্রপাতের কাছে একটি ছোট বাজার গড়ে উঠেছে। এখানে উপজাতী তরুণীরা হাতের তৈরী বস্ত্র ও নানান প্রকার তৈজস পত্র বিক্রয় করে থাকেন।
যেভাবে যাবেনঃ-
ঢাকার সাথে বান্দরবানের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ রয়েছে। ঢাকা থেকে বাসে করে সরাসরি বান্দরবানে যেতে পারবেন। বান্দরবান থেকে সিএনজি/জীপ/চান্দের গাড়ি করে শৈলপ্রপাত যাওয়া যাবে। শুধু শৈলপ্রপাত দেখতে গেলে যাওয়া আসা সহ খরচ পরবে ৫০০-৮০০ টাকা। এছাড়া চিম্বুক বা নীলগিরি গেলে যাওয়ার পথেই দেখতে পারবেন।