কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটির দিন গুলো একটু প্রশান্তির খোঁজে বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবী মানুষই এখন পার্ক গুলোয় ভিড় করে। পরিবার পরিজন সমেত সুস্থ বিনোদনের অন্যতম একটি মাধ্যম পার্ক সমূহ। শরীয়তপুর জেলার গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বিনোদন মাধ্যম মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম। ব্যক্তি মালিকানাধীন এই পার্ক টি এখানকার অন্যতম একটি বিনোদন উৎস হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানার কুলকাঠি গ্রামে মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠেছে মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম।
মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম নির্মিত হয়েছে একটি সামাজিক বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে। ব্যক্তিগত উদ্যোগে নির্মিত হয়েছে এটি। মডার্ন হারবাল গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. আলমগীর মতি ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৫০ একর জমির ওপর এটি নির্মাণ করেন। এর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন একঝাঁক প্রশিক্ষিত বাহিনী। যারা দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিতে সবসময় ব্যস্ত। আরো রয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা।
মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম পার্কে যেকোনো সভা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা পরিচালনার জন্য অডিটোরিয়াম এবং কফি হাউজ রয়েছে। শিশুদের জন্য রয়েছে সুপার চেয়ার, স্পীড বোট, শিশু রাইড, ওয়াটার হুইল, ট্রেন, ক্যাবল কার, ওয়াটার রাইট, মেরি গ্রাউন্ডসহ মজার মজার সব রাইড। এছাড়া রয়েছে দু’টি খেলার মাঠ এবং একটি বিশালাকার পুকুর। রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ওষুধি গাছ। চিড়িয়াখানা মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডমের সবচেয়ে আকর্ষণ বিশালাকৃতির ৩টি খাঁচায় সুন্দরবনের ২০টি হরিণ, সঙ্গে হরিণ শাবক। এছাড়া রয়েছে একটি বিশাল অজগর সাপ, দুটি কুমির, ২০টির মতো বানর, ১টি চিতাবাঘ, ২টি ময়ূর, একটি সজারু, ২টি ভাল্লুক, ৭টি কচ্ছপ, ২টি উটপখি, ২টি ইমু পাখি, ১টি কালিম পাখি, ৮টি খরগোশ, ৩০টি গিনিপিগ, ২টি সজারু, ২টি বক্সার ডক এবং অ্যাকুরিয়ামে বিদেশ থেকে আনা বিভিন্ন প্রজাতির মাছ।
যেভাবে যাবেনঃ-
আপনি যদি সড়ক পথে আসতে চান তাহলে ঢাকা সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ট থেকে সরাসরি গ্লোরী পরিবহনে উঠে নড়িয়া চলে আসবেন। সেখান থেকে রিকশা বা অটোরিকশায় চলে আসবেন মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডমে। আর যদি আপনি নৌ-পথে আসতে চান তাহলে ঢাকার সদরঘাট থেকে নিরাপদ, যাত্রিক, শুরেশ্বর নামক লঞ্চযোগে নড়িয়া লঞ্চঘাটে এসে নামবেন। সেখান থেকে রিকশা কিংবা অটোরিকশায় চলে আসবেন মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডমে।
সময়সূচীঃ-
দর্শনার্থীদের উপভোগের জন্য সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে।