ভারত উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই ঐতিহাসিক নিদর্শনের মধ্যে একটি হচ্ছে জমিদার বাড়ি। যা বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে রয়েছে। এর সাথে এক-একটা জমিদার বাড়ির আছে এক একরকম ইতিহাস। গিরীশ চন্দ্র সেনের জমিদার বাড়ি বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ জেলার এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি।
গিরীশ চন্দ্র সেনের জমিদার বাড়িটি কবে নাগাদ তৈরি করা হয়েছে তা জানা যায়নি। তবে জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠা করেন জমিদার গিরীশ চন্দ্র সেন। ইংরেজী ট- প্যাটার্ণের দক্ষিনমুখী বাড়িটি তত্কালে সবার নজর কাড়ত৷ নয়নাভিরাম এই বাড়িটির মধ্যঅংশ ছিল দ্বিতল বিশিষ্ট এবং তারই লাগোয়া দুপাশে ছিল একতলা বিশিষ্ট ভবন৷ সাদা রঙের জমিদারি ভবনটি মোটামুটি সুরক্ষিত ছিলবলা যায়৷ প্রাচীর বেষ্টিত বাড়ির পিছনে তিনদিক থেকে ছিল বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ৷
বাড়িটির বামপাশে ছিল একতলা ভবন বিশিষ্ট মন্দির এবং ডান পাশে ছনের ছাউনি দিয়ে কাচাড়ী৷দৃষ্টিনন্দন বলতে যা বোঝায় তার কোন অংশেরই কমতি ছিল না এই বাড়িটিতে৷ জমিদার বাড়ির বিশালাকার পুকুরটি ছিল সুশোভিত৷ শান
বাঁধান পুকুরটি নিঃস্বার্থভাবে সেবা দিয়েছে জমিদার বাড়িকে, এলাকার জনগণকে৷এখন আর সেই কাচা রাস্তাও নেই, নেই সেই জমিদার বাড়িও৷ পরিচিতি গেছে পাল্টে৷ এখন শুধু এটুকুই পরিচয় কাশিয়ানী এম.এ খালেক সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশে অবস্থিতি কাশিয়ানী এম.এ খালেক ডিগ্রী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়িটিই তখনকার জমিদার গিরীশ চন্দ্র সেনের বাড়ির ভিটা৷
যেভাবে যাবেনঃ-
ঢাকা থাকে বাসে করে গোপালগঞ্জ জেলার কাসিয়ানি থানা পর্যন্ত পৌঁছানো যায়। সেখান থেকে সিএনজি করে সরাসরি গিরীশ চন্দ্র সেনের জমিদার বাড়ির সামনে চলে আসা যায়।