টেকনাফ বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। এটি বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণের উপজেলা। এখানেই রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরিবিলি ও পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত টেকনাফ। নির্জনে যারা অবকাশ যাপন পছন্দ করেন, তাদের জন্য আদর্শ ভ্রমণ গন্তব্য এটি। এত রঙিন বাহারি জেলে নৌকা বাংলাদেশের আর কোনো সাগর পাড়ে দেখা যায় না। আগেই বলেছি যারা নির্জনে সমুদ্র উপভোগ করতে চান তাদের জন্য টেকনাফ আদর্শ জায়গা। খুবই পরিচ্ছন্ন এই বালুকাবেলায় পর্যটকের আনাগোনা সবময়ই কম থাকে। সৈকতের বিভিন্ন জায়গায় এখানে দেখা যায় সারিবদ্ধভাবে জেলেদের মাছ ধরার বর্ণিল সব ইঞ্জিন নৌকা।
এখানে আছে সৈকত লাগোয়া জেলেদের বেশ কিছু বসতি। পূর্ণিমার জোয়ারের ঢেউ টেকনাফ সৈকতে বিশাল আকার ধারণ করে। এসময় সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ এসে একেবারে তীরে আছড়ে পড়ে। টেকনাফ সমুদ্রের পাড়েমূল প্রবেশ পথ থেকে হাতের বাঁ দিকে চলে গেলে যাওয়া যায় শাহ পরীর দ্বীপের কাছাকাছি। আর হাতের ডান দিকে চলে গেলে যাওয়া যাবে হাজামপাড়া, শিলখালী কিংবা শামলাপুর সৈকতের দিকে।
এখান থেকে উত্তর দিকে সৈকতের পাশ দিয়ে আকাশ ছুঁয়েছে তৈঙ্গা পাহাড়। সাগর আর পাহাড়ের নিবিড় বন্ধুত্ব দেখা যাবে এখানে। তাছাড়া এত সুন্দর, এত সাজানো বেলাভূমি দেশের অন্য কোন সৈকতে কমই দেখা যায়।
টেকনাফ সৈকতের আরেক আকর্ষণ সকাল-বিকাল জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করা। চিংড়ির পোনা শিকারীরা এ সৈকতে নিজস্ব কৌশলে সর্বদা ব্যস্ত থাকেন পোনা ধরতে। আর দূর সমুদ্র থেকে নৌকা বোঝাই মাছ নিয়ে শত শত জেলে এখানেই নিয়ে আসেন সকাল-বিকাল।
যেভাবে যাবেনঃ-
বাংলাদেশের যেকোনো স্থান থেকে সেন্টমার্টিনসহ টেকনাফের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যেতে হবে কক্সবাজার। কক্সবাজার থেকে টেকনাফের বাস ছাড়ে আন্তঃজিলা বাস টার্মিনাল থেকে আর মাইক্রোবাস ছাড়ে শহরের কলাতলী এবং টেকনাফ বাইপাস মোড় থেকে। টেকনাফ শহর থেকে সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে অটো রিকশায়। সময় লাগে আধা ঘণ্টার কম।