শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (চট্টগ্রাম)

1239

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হল বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোর প্রায় ২১% ফ্লাইট এই বিমানবন্দর থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়। ১৯৪০ সালের প্রথম দিকে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়, ব্রিটিশদের অধিনে এই বিমানবন্দরটি তৈরি হয়েছিলো। তখন এর নাম ছিলো “চিটাগং এয়ার ফিল্ড”। এরপর ১৯৭২ সালে এটি বাংলাদেশের অধিনে চলে আসে, তখন এটি শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রাম –এর মাঝে যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করা হত। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ বিমান এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে ব্যবহার করা শুরু করে, তখন এখান থেকে দুবাই ও সৌদিআরবের কিছু শহরে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট যাতায়াত করত।

লোকেশনঃ

এই বিমানবন্দরটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত (চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২০ কিঃ মিঃ পশ্চিমে)। কর্ণফুলী নদীর উত্তর পাড়ে এই বিমান বন্দরটির অবস্থান।

বিমানবন্দরের ফ্লাইটগুলোঃ

বিমানবন্দরটির একটি মাত্র টার্মিনাল রয়েছে, তবে এটি দুই ভাগে বিভক্ত- একটি আন্তর্জাতিক এবং অন্যটি ডোমেস্টিক। আন্তর্জাতিক ও ডোমেস্টিক দুইটি মিলেই এখানে বেশ কিছু ফ্লাইট নিয়মিতভাবে চলাচল করে, নিচে চার্টে দেয়া হলঃ

এয়ার লাইন্সের নাম গন্তব্যস্থল (শহরের নাম)
এয়ার এরাবিয়া সারজা
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা, আবু ধাবি, দুবাই, জেদ্দা, মাস্কট
ফ্লাই দুবাই দুবাই
ওমান এয়ার মাস্কট
নভো এয়ার ঢাকা
আর.এ.কে এয়ারওয়েস রাস-আল-খাইমাহ
রিজেন্ট এয়ারওয়েস ঢাকা
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ ঢাকা, কলকাতা, মাস্কট
এমিরেটস স্কাই (কার্গো) দুবাই, হং কং

 

প্রধান সুবিধাগুলোঃ

  • আলাদা কার্গো টার্মিনাল রয়েছে।
  • মেনুয়াল কার্গো হ্যান্ডেলিং সুবিধা আছে।
  • প্রাথমিক চিকিৎসা ও ২ টি এ্যাম্বুলেন্স –এর ব্যবস্থা রয়েছে।
  • জরুরি অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রয়েছে।
  • জুরুরি রেস্কিউ টিম ও রেস্কিউ সরঞ্জামের ব্যবস্থা আছে।
  • বিদ্যুৎ ব্যাক-আপের জন্য স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর রয়েছে।