ইট পাথরের শহরে যখন প্রান হাপিয়ে ওঠে,নিঃশ্বাসে ভেসে বেরায় ক্লান্তির ছায়া তখন,বিষন্ন মন তখন যেন দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে চায়। কিন্তু ব্যাস্ততা যেন পিছু ছাড়তে চায়না। এই ব্যস্ততার ভীরেই একটু সময় করে একটা নির্ভেজাল আনন্দ নিতে ঘুরে আসতে পারেন কক্সবাজারের মারমেইড ইকো রিসোর্ট থেকে। এখানে আপনি পেতে পারেন প্রকৃতি ঘেরা নির্মল আনন্দের বাতাস। কক্সবাজার গেলে এখানে কাটিয়ে আসতে পারেন কিছু সময়।মারমেইডে যেতে চাইলে কক্সবাজার থেকে ১৬ কিলোমিটারের মতো যাত্রাপথে যেতে হবে আপনাকে। সেখানে রয়েছে পেঁচার দ্বীপ। এর পাশ ঘেঁষে গেছে রেজু খাল নদী। এই নদীর পাশ ঘেঁষেই হলো মারমেইড বিচ রিসোর্ট। নান্দনিক এ মারমেইড রিসোর্টটি ইকো-ট্যুরিজমের এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ।
মূলত ইকো ট্যুরিজমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রকৃতির কোনোরূপ সম্পদের বিনষ্ট না করে পরিবেশবান্ধবভাবে উপভোগ্য কোনো জায়গা তৈরি করা। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই মারমেইড ইকো রিসোর্টটি যে নির্মাণ করা হয়েছে তা একবার ঘুরে এলেই অনুধাবন করা যায়। এ রিসোর্টটি তৈরি করার সময় পরিবেশের ভারসাম্যের প্রতি বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখা হয়েছিল। থাকার ঘরগুলোর ছাদ-চালা বাঁশ ও ছন দিয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন তা গাছপালাগুলোর উচ্চতাকে ছাড়িয়ে না যায়। আশপাশের নৈসর্গিক দৃশ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সব জায়গায় মাটি এবং কাঠ রঙের ব্যবহার করা হয়েছে।
যেভাবে যেতে হবে
কক্সবাজারের কলাতলী থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চেপে যেতে পারেন পেঁচার দ্বীপে। মারমেইড ইকো রিসোর্টে বাংলো আছে নানা রকম। বাংলো বুকিংয়ের ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে যাওয়ার আগেই। এখানে গেলে পাশাপাশি আরও বেশ কিছু স্থান দেখে নিতে পারবেন।
খরচ-
ভাড়া ২০০ টাকার মতো। এ রিসোর্টে কটেজ আছে ৩০টি। এখানকার কটেজে বিভিন্ন ক্যাটাগরির রুম রয়েছে। প্রথম ক্যাটাগরির কটেজের রুম ভাড়া ২ হাজার ৫০০ থেকে ৬ হাজার টাকা আর দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে ৮ হাজার থেকে ১৬ হাজার টাকা। থ্রি স্টার হোটেলের যাবতীয় সুবিধা আছে এ রিসোর্টটিতে। এখানে দুপুর ও রাতের খাবার সি ফুড, ইউরোপীয়, ক্যারিবীয় ও দেশি ডিশ পাবেন।