এম. ভি পাতারহাট -৫| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

768

ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত শতাধিক যাত্রী ও মালবাহী লঞ্চ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে লালমোহন রুটে যাতায়াতকারী লঞ্চগুলোর মধ্যে “এম. ভি পাতারহাট -৫ একটি।

 

যোগাযোগ

  • ঢাকা সদরঘাট বা বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে যোগাযোগ করা যায়।
  • মোবাইল: ০১৭১১-৯০৭২২০

 

গন্তব্য ও ছাড়ার সময়

এই লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে সন্ধ্যা ৬.০০ টায় লালমোহনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

 

ধারণক্ষমতা ও আয়তন

লঞ্চটি ৩৬৪ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন।

 

আসন সমূহ ও সুবিধা

  • এই লঞ্চটিতে ২ ধরনের আসন ব্যবস্থা রয়েছে।
  • প্রথম শ্রেণী/কেবিন  রয়েছে।
  • দ্বিতীয় শ্রেণী/বেঞ্চ ও ডেক রয়েছে।
  • প্রথম শ্রেণীর কেবিনগুলোতে রয়েছে পরিপাটি বিছানা, ফ্যান, রঙ্গীন টেলিভিশন, চেয়ার-টেবিল।
  • দ্বিতীয় শ্রেণীর সাধারণ যাত্রীদের জন্য রয়েছে সুবিস্তৃত ডেক ও বেঞ্চ।
  • যেখানে যাত্রীরা বিছানা পেতে শুয়ে বসে যাতায়াত করে।

 

 

টিকেট মূল্য

শ্রেণী ভাড়া (টাকা)
ডাবল কেবিন ১,৬০০/-
সিঙ্গেল কেবিন ৮০০/-
৩য় শ্রেণী (ডেক) ২২০/-

 

 

কেবিন সংখ্যা,বুকিং ও টিকেট

  • লঞ্চটিতে ডাবল ও সিঙ্গেল মিলিয়ে মোট ১৬ টি কেবিন রয়েছে।
  • অগ্রীম কেবিন বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ নাম্বার – ০১৭১১-৯০৭২২০।
  • বুকিং নিশ্চিত করার জন্য লঞ্চ ছাড়ার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে লঞ্চে উপস্থিত হতে হবে।
  • যাত্রাকালে লঞ্চেই টিকেট পাওয়া যায়।
  • এছাড়া ফোনের মাধ্যমে অগ্রীম টিকেট বুকিং দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
  • যাত্রা বাতিল করতে চাইলে যাত্রার ২ ঘন্টা পূর্বে জানাতে হয়।
  • ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের যাত্রার জন্য কোন টিকেট লাগে না।

 

 

সঙ্গে নেওয়া পণ্য  সামগ্রীর তালিকা ও কুলির মজুরি   

 

ক্রমিক নং বিবরণ মালামালের পরিমাণ মজুরী হার টাকায়
বিভিন্ন ধরনের লাগেজ / ব্যাগেজ

রাস্তা থেকে লঞ্চস্টিমার পর্যন্ত

অথবা লঞ্চ/স্টিমার থেকে রাস্তা পর্যন্ত পিঠে/মাথায়/হাতে বহযোগ্য।

(একজনা কুলির ক্ষেত্রে)

অনাধিক ১০ কেজি (১টি ব্যাগ) ১০/-
অনাধিক ২০ কেজি (১টি ব্যাগ) ২০/-
অনাধিক ৩০ কেজি (২টি ব্যাগ) ৩০/-
অনাধিক ৪০ কেজি (১টি ব্যাগ) ৩০/-
অনাধিক ৪০ কেজি (২টি ব্যাগ) ৪০/-
অনাধিক ৬০ কেজি (১টি ব্যাগ) ৪০/-
অনাধিক ৪০ কেজি (২টি ব্যাগ)           ৫০-
স্টীল/কাঠের আলমারী

(একাধিক শ্রমিকের ক্ষেত্রে)

প্রতিটি (সর্বোচ্চ ওজন ১০০ কে,জি পর্যন্ত) ১০০/-
কাপড়ের গাইট

(একাধিক শ্রমিকের ক্ষেত্রে)

(ভ্যান বা মাথায়)

প্রতিটি (৫০ কে.জি পর্যন্ত) ৫০/-
৫০ কেজির ঊধ্বে প্রতি ২০ কেজির জন্য ১০/-
কাঠের/স্টীলের খাট সাকুল্যে প্রতিটি ১০০/-
কাঠের /স্টীলের/বেতের টেবিল/চেয়ার প্রতিটি ২০/-
ফ্রিজ (সকল আয়তনের) প্রতিটি ৫০/-
টেলিভিশন (সকল ধরনের) প্রতিটি ২০/-
হার্ডওয়্যার মালামাল/ অন্যান্য মালামাল

(কার্টুন/প্যাকেট/ঝুড়ি ইত্যাদি)

৫০ কে.জি পর্যন্ত প্রতিটি ৪০/-
মোটর সাইকেল প্রতিটি ২৫/-
১০ বাইসাইকেল প্রতিটি ২০/-
১১ সিলিং ফ্যান/টেবিল ফ্যান/ অন্যান্য তৈজস পত্র প্রতিটি ২০/-

 

 

নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলা

লঞ্চে আরোহিত যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। যেকোন দুর্যোগে যাত্রীদের জীবন রক্ষার জন্য ৭০ টি বয়া রয়েছে। এগুলো প্রতি ফ্লোরের দুই দিকে ছাদের অংশে সারিবদ্ধভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। প্রতিটি বয়ার ৪ জন যাত্রী বহন করতে পারে।

 

ক্যান্টিন

লঞ্চে আরোহণকারী যাত্রীদের খাবার সুবিধার্থে লঞ্চের নিচতলায় একটি ক্যান্টিন রয়েছে। ক্যান্টিনে হালকা খাবারের পাশাপাশি ভাত, মাছ, মাংস পাওয়া যায়। ক্যান্টিনে রুম সার্ভিস ব্যবস্থা রয়েছে।

 

চা (প্রতি কাপ) ৬/-
বিস্কুট (প্রতি পিস) ৪/-
কেক (প্রতি পিস) ১০/-
ভাত (প্রতি প্লেট) ১২/-
সবজি ১০/-
ইলিশ মাছ (প্রতি পিস) ৯০/-
মুরগীর মাংস (দেশী) ১৬০/-
মিনারেল ওয়াটার (১ লিটার) ২৫/-
কোমল পানীয় (১ লিটার) ৭০/-
চিপস ১৫/-
ডাল ভাজা (৫০ গ্রাম) প্যাকেট ১০/-
চানাচুর (৫০ গ্রাম) প্যাকেট) ১০/-

 

 

 

নামাজ আদায়

লঞ্চে আরোহনকারী যাত্রীদের জন্য আলাদা স্থানে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে। লঞ্চের ৩য় তলায় এই স্থানটি সংরক্ষিত যেখানে ১০ জন মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন। নামাজের বিছানা লঞ্চের ৩য় তলায় মাস্টার ব্রীজে সংরক্ষিত রয়েছে।

 

 

টয়লেট

এই লঞ্চে মোট ৬ টি টয়লেট রয়েছে। ১ম শ্রেণীর কেবিন যাত্রীদের জন্য ২য় ও ৩য় তলায় ১ টি করে মোট ২টি টয়লেট রয়েছে। ২য় শ্রেণীর ডেক যাত্রীদের জন্য লঞ্চের নিচতলার শেষ প্রান্তে মহিলা ও পুরুষদের পৃথক ২টি করে ৪ টি টয়লেট রয়েছে।

 

 

বিবিধ

  • জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা থাকে।
  • লঞ্চ চরে আটকে গেলে অনেক সময় অন্য লঞ্চের সাহায্য নেয়া হয়। অনেক সময় লঞ্চ উদ্ধারের জন্য যাত্রীদেরও এগিয়ে আসতে হয়।
  • দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ২ নম্বর সতর্ক সংকেত পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করতে পারে। ৩ নম্বর সংকেত দেখানো হলে আর চলাচল করে না।