ঝালকাঠি জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। ঝালকাঠি পূর্বে বরিশাল জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ১ এপ্রিল ১৮৭৫ সালে ঝালকাঠি পৌরসভার গোড়াপত্তন হয়। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৭ জন মুসলমান, সেনাবাহিনী কর্তৃক কুলকাঠিতে নিহত হন। স্থানীয় দাঙ্গা নিরসন ও শৃঙ্খলা প্রদানের জন্য ১৮৮২ সালে ঝালকাঠিতে একটি পুলিশ থানা স্থাপন করা হয়। নদী বন্দরের জন্য ঝালকাঠি সবসময় ইউরোপীয়দের আকর্ষণ করেছে। ফলে বিভিন্ন সময়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি, ডাচ ও ফরাসিরা এখানে ব্যবসা কেন্দ্র খুলেছিল। বানিজ্যিক গুরুত্বের জন্য ঝালকাঠিকে দ্বিতীয় কলকাতা বলা হত।
নামকরনের ইতিহাসঃ-
জেলার নামকরণের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এ জেলার জেলে সম্প্রদায়ের ইতিহাস। মধ্যযুগ-পরবর্তী সময়েসন্ধ্যা, সুগন্ধা, ধানসিঁড়ি আর বিষখালী নদীর তীরবর্তী এলাকায় জেলেরা বসতি স্থাপন করে। এর প্রাচীননাম ছিল ‘মহারাজগঞ্জ’। মহারাজগঞ্জের ভূ-স্বামী শ্রী কৈলাশ চন্দ্র জমিদারি বৈঠক সম্পাদন করতেন এবংপরবর্তীতে তিনি এ স্থানটিতে এক গঞ্জ বা বাজার নির্মাণ করেন। এ গঞ্জে জেলেরা জালের কাঠি বিক্রিকরত। এ জালের কাঠি থেকে পর্যায়ক্রমে ঝালকাঠি নামকরণ করা হয় বলে ধারণা করা হয়। জানা যায়,বিভিন্ন স্থান থেকে জেলেরা এখানে মাছ শিকারের জন্য আসত এবং যাযাবরের মতো সুগন্ধা নদীর তীরেবাস করত। এ অঞ্চলের জেলেদের পেশাগত পরিচিতি কে বলা হতো ‘ঝালো’। এরপর জেলেরা বন-জঙ্গলপরিষ্কার করে এখানে স্থায়ীভাবে বসতি গড়ে তোলে। এভাবেই জেলে থেকে ঝালো এবং জঙ্গল কেটে বসতিগড়ে তোলার কারণে কাটি শব্দের প্রচলন হয়ে ঝালকাটি শব্দের উৎপত্তি হয়। পরবর্তীকালে ঝালকাটিরূপান্তরিত হয় ঝালকাঠিতে। ১৯৮৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী ঝালকাঠি পূর্ণাঙ্গ জেলার মর্যাদা লাভ করে।
ভৌগোলিক সীমানাঃ-
এ জেলার মোট আয়তন ৭৫৮.০৬ বর্গ কিমি। ঝালকাঠির উত্তর-পূর্বে বরিশাল, দক্ষিণে বরগুনা ও বিষখালী নদী, এবং পশ্চিমে লোহাগড়া ও পিরোজপুর জেলা।
ঝালকাঠি জেলায় ৪টি উপজেলা
কাঁঠালিয়া
ঝালকাঠি সদর
নলছিটি
রাজাপুর
বিখ্যাত খাবারঃ-
লবন
আটা
বিখ্যাত স্থানঃ-
সুজাবাদের কেল্লা
ঘোষাল রাজ বাড়ির ধ্বংসাবশেষ
নুরুল্লাপুর মঠ
সিভিল কোর্ট ভবন
সাতুরিয়া জমিদারবাড়ি
জীবনানন্দ দাশের মামাবাড়ি
কীর্তিপাশা জমিদারবাড়ি
গাবখান সেতু
ধানসিঁড়ি নদী
রূপসা খাল
নেছারাবাদ কমপ্লেক্স
পোনাবালিয়া মন্দির
সিদ্ধকাঠি জমিদারবাড়ি
নলছিটি পৌরভবন
মার্চেন্টস্ স্কুল
চায়না কবর
কামিনী রায়ের বাড়ি
কুলকাঠি মসজিদ
সুরিচোড়া জামে মসজিদ
শিবমন্দির
নাদোরের মসজিদ
কিভাবে যাবেনঃ-
নদ-নদী ও সমুদ্র বেষ্টিত এই জেলায় যাতায়াতের জন্য নৌ-পথই সবচেয়ে সহজ যোগাযোগ মাধ্যম। এছাড়া সড়ক পথেও এই জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকা সদরঘাট নদী বন্দর লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে ঝলকাঠির উদ্দেশ্যে যেসব গাড়ি ছেড়ে যায় গুলিস্তান থেকে।