ইনানী সমুদ্র সৈকত

1753

কক্সবাজার জেলার পর্যটন সেক্টরে ইমাজিং টাইগার হচ্ছে ইনানী। বিশ্বের দীর্ঘতম বালকাময় সৈকত কক্সবাজার যার দূরত্ব প্রায় ১২০০ কিলোমিটার। কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ একশো বিশ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকতের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর,আকর্ষণীয় ও নয়নাভিরাম হচ্ছে ইনানী বীচ। এককথায় ইনানীকে প্রকৃতির ভূস্বর্গ বলা চলে। ইনানী সৈকত থেকে শুরু করে টেকনাফ পর্যন্ত এর প্রাকৃতিক প্রবাল এবং পাথর সমুদ্রের ভাঙ্গন থেকে সৈকতকে রক্ষা করছে।  আবার, এসব পাথর ইনানী সৈকতকে দিয়েছে বাড়তি সৌন্দর্য।

ইনানী সমুদ্র সৈকত যেমন সুন্দর আর আকর্ষণীয়, ঠিক তেমনি রোমাঞ্চকর কক্সবাজার হতে এর যাত্রা পথটি। একদিকে মেরিন ড্রাইভিং আরেকদিকে সাগর আর পাহাড়, ঝর্ণার নৈসর্গিক দৃশ্য। মোটেই একঘেঁয়েমি লাগবে না। পথিমধ্যে চলচ্চিত্রের দৃশ্যধারণের বিষয়টি ভ্রমণের আনন্দকে দ্বিগুণ করে দিতে পারে। হৈ-হুল্লুরে জীবনকে পছন্দকারীরা খোলা ছাদের জিপ ব্যবহার করতে পারেন। দুপাশে সাগর পাড়ের গাছপালা রয়েছে। বেশ উঁচু সেঁতু পার হয়ে হিমছড়ির রাস্তা শুরু হবে। রাস্তার একপাশে উঁচু পাহাড়, আরেক পাশে সাগর। নানারকম পাখির কলতান শুনতে পাওয়া যায়।

প্রবালের উপর দাঁড়িয়ে সাগরের দৃশ্য দেখার মজাই আলাদা। সাগরের ঢেউগুলো প্রবালের গায়ে আঘাত লেগে পায়ের কাছে আছড়ে পরে। স্বচ্ছ জলের তলায় দেখা যায় বালুর স্তর। অনেকসময় হরেক রকম মাছের ছোটাছুটি দেখা যায়। বিস্তীর্ণ বালুকাবেলায় ছুটে বেড়ায় হাজারো লাল কাঁকড়ার দল।

পাহাড়ে নানারকম ঝোপঝাড়ের সাথে সাথে সমুদ্র সৈকত পাড়ে দেখা যায় সুদূর ঝাউগাছে সারি। মাঝে মাঝে নারিকেল গাছের এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য যা সৌন্দর্য্যের ভিন্নমাত্রা প্রকাশ করে।

জায়গায় জায়গায় দেখা যায় পাহাড়ী ছোট ছোট ঝর্ণা। শুকনো মৌসুমে সবগুলোতে পানি দেখা যায় না। পথে গাড়ি থামিয়ে ঝর্ণার পারে ঘুরে আসতে পারেন। রাস্তার অপর পার্শ্বে সাগর। মাঝে মাঝে জেলে নৌকা বালুর উপর সারি করে রাখার দৃশ্য দেখা যায়।

ইনানী সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের প্রধান সমুদ্র সৈকত থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। সাগর পাড়ে বালুর উপর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে শত শত বছরের পুরাতন পাথর। সাগরের ঢেউ আছড়ে পড়ে পাথরের উপর। কাছে থাকলে সমুদ্রস্নানের অর্ধেক কার্য সম্পন্ন হয়ে যায়।

যেভাবে যাবেনঃ-

কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৩৩ কিঃমিঃ দক্ষিণে ইনানী সমুদ্র সৈকত অবস্থিত। কলাতলী থেকে টেকনাফের দিকে ৮৪ কিঃমিঃ দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে যে কোন যানে এখন ইনানী সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যায়।