বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রথম পছন্দ ইংল্যান্ড। দেশটিতে অসংখ্য মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকার কারণে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের প্রথম পছন্দ ইংল্যান্ডের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইংল্যান্ডে রয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনের সময় ইংল্যান্ডের সকল নিয়মকানুন ভালভাবে জেনে নেয়া উচিত।
ইংল্যান্ডের স্বনামধন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম
১. বেডফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়
২. ডন্ডি বিশ্ববিদ্যালয়
৩. ব্যাঙ্গর বিশ্ববিদ্যালয়
৪. ডি মন্টফোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়
৫. ওয়েস্ট স্কটল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়
৬. নর্থামব্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়
৭. বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়
৮. ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ড ইউনিভার্সিটি ব্রিস্টল
স্টাডি সিস্টেমঃ-
ইংল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী ছাত্রছাত্রীকে প্রথমে ব্রিটিশ কাউন্সিলে যোগাযোগ করতে হয়।ইংল্যান্ডে পড়াশোনার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিল একটি তথ্য সম্ভার হিসেবে কাজ করে। ব্রিটিশ কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের ইংল্যান্ডের কোর্সগুলো ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে থাকে। আইইএলটিএস স্কোর ৭ থাকতে হয়।
- ১-৩ বৎসর পূর্নকালীন স্টাডি
- আইন ও চিকিৎসাবিদ্যার জন্য ৫ বৎসর পূর্নকালীন অধ্যায়ন প্রয়োজন
- স্থাপত্যবিদ্যার জন্য প্রয়োজন ৭ বৎসরের পূর্নকালীন অধ্যায়ন
- পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ৩ থেকে ৪ বৎসর পূর্নকালীন অধ্যায়নের প্রয়োজন হয়।
ভর্তীর সময়:-
ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রতি বছরে একটি শিক্ষার্থীকে দুইটি সেমিস্টার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এই দুইটিসেমিস্টার শুরূর আগে আগে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তীর সুযোগ দেয়া হয়।
১.অটাম সেমিস্টার (সেপ্টেম্বর-জানুয়ারি)
২.স্প্রিং সেমিস্টার (জানুয়ারি থেকে জুন)
ভর্তি ফিঃ-
ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিবর্তীত হয়। তাছাড়া অঞ্চল এবং প্রোগ্রাম এর উপর নির্ভর করেও টিউশন ফি বেশি হয়। সাধারণতই ইংল্যান্ডের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের খরচ একটু বেশিই থাকে। এক জরিপের হিসেব অনুয়ায়ী ইংল্যান্ডের উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে
- ফাউন্ডেশন কোর্স প্রতি বছর ৪০০০ পাউন্ড থেকে ১২০০০ পাউন্ড
- কলা প্রতি বছর ৭০০০ পাউন্ড-৯০০০ পাউন্ড
- বিজ্ঞান প্রতি বছর ৭৫০০ পাউন্ড-১২০০০ পাউন্ড
- ক্লিনিক্যাল প্রতি বছর ১০০০০ পাউন্ড-২১০০০ পাউন্ড
- এমবিএ-প্রতি বছর ৪০০০ পাউন্ড-৩০০০০ পাউন্ড।স্কলারশীপ:-
প্রতিবছর প্রচুর পরিমান শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশ থেকে ইংল্যান্ডে আসে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করার জন্য। ইংল্যান্ডের সরকার সেই দিক বিবেচনয়া রেখে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মেধা এবং বিগত ফলাফলের নির্ভর করে টিউশন ফি মউকুফ সব আর্থিক সহায়তা প্রদানের সুবিধা রেখেছে। একেই বলা হয় স্কলারশীপ। শিক্ষার্থীরা যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীর সুযোগ পেয়েছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর স্কলারশীপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
যেসব বিষয়ে পড়া যাবে:-
চেলর ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রি, এমবিএ ডিগ্রি, ডক্টরেট ডিগ্রি, হায়ার ন্যাশনাল ডিপ্লোমা, কারিগরি কোর্স, সার্টিফিকেট এবং ডিপ্লোমা কোর্স। যেমনÑ পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা (পিজি-ডিপ), পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট (পিজি-সার্ট) ইত্যাদি।
ক্রেডিট ট্রার্স্নফার সুবিধা:-
ইংল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অন্য দেশ থেকে ক্রেডিট ট্রাস্নফার করে ভর্তী হবার সুযোগ থাকে। সেক্ষেত্রে ক্রেডিটের উপর হিসাব করে টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। তবে ইংল্যান্ডের খুব বেশি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা পাওয়া যায় নাহ। প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বাদ রেখে বাকি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা বিদ্যমান থাকে।
স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করুন
ইংল্যান্ডে স্টুডেন্ট ভিসা নামে কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। মূলত, স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়, যেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়। এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি ইংল্যান্ডে বসবাস করতে পারবেন না। ইংল্যান্ডে ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা অথবা ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) নামক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদনের জন্য আপনাকে যা যা সংযুক্ত করতে হবে
১. ইংল্যান্ডের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার।
২. ইংল্যান্ডে থাকাকালীন আপনার থাকা, খাওয়া ও পড়ার খরচ বহন করার মতো পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৩. আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত নেই তার প্রমাণপত্র।
৪. আপনি পুরোপুরি সুস্থ তার প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল রিপোর্ট।
৫. ইংল্যান্ডে থাকাকালীন আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হবেন না, তার অঙ্গীকারনামা।
ইংল্যান্ডে থাকাকালীন আপনার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে তার প্রমাণপত্র হিসেবে যুক্ত করুন
১. ইংল্যান্ডের ব্যাংকে আপনার নিজের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
৩. ব্যাংক ড্রাফট।
৪. এক বছরের থাকা ও পড়ার খরচ পরিশোধ হয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৫. যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফান্ডিং দিবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত চিঠি।
৬. আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তবে তার প্রমানপত্র।
দেশের বাহিরের উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় কাজগ পত্রের যথার্থতা যাচাই করতে। তাছাড়া ভিসা, পাসপোর্ট সহ অন্য সকল সমস্যা তো আছেই। এই সক সমস্যার জন্য একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন অপরিপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু যদি শিক্ষার্থীগন কোন বিশেষগ্যের সাহায্য আগন পরামর্শ গ্রহন করে তাহলে তারা এই সমস্যার সমধান খুজে পেতে পারে।
ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান যারা সাধারন শিক্ষার্থীদের এই সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থেকে বিশেষগ্যের মতো। বাজারে এর সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘’ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক” শীর্ষ স্থানীয়। ভিসা সহায়তা,পাসপোর্ট, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার সহ অন্য সকল ধরনের সহায়তা পেতে যোগাযোগ করুন আমদের সাথে।
ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড
রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,
হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,
ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।
মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯৬– ৯৭