মালয়েশিয়া বর্তমানে শুধুমাত্র এশিয়ার মধ্যেই নয়, বরং সারাবিশ্বে একটি উন্নত দেশ হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে। শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি সর্বক্ষেত্রে মালয়েশিয়া পৃথিবীর বুকে একটি মডেল হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। আর তাই বিশ্ববাসীর নজর এখন এশিয়ার এই দেশটির দিকে। শিক্ষা ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে করেছে অভূতপূর্ব উন্নতি। মালয়েশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য উন্নতমানের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ছাত্র-ছাত্রীরা বিশেষত দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ছাত্রছাত্রীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছাত্রছাত্রী পড়তে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনের সময় মালয়েশিয়ার সকল নিয়মকানুন ভালভাবে জেনে নেয়া উচিত।
মালয়েশিয়ায় স্বনামধন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম
১. মালয়া বিশ্ববিদ্যালয়
২. আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া
৩. মালয়েশিয়ার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
৪. মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যালানটান
৫. মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পাহাং
৬. মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পের্লিস
৭. মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সাবাহ
৮. মালয়েশিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সরওয়াক
স্টাডি সিস্টেমঃ-
- চেলর ডিগ্রী:- স্নাতক ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার জন্য অবশ্যই একজন শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ১২ বৎসর মেয়াদী শিক্ষা সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এছাড়া আইএলটিএস-এ কমপক্ষে পেতে হবে ৪-৫ স্কোর। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইএলটিএস প্রয়োজন পড়ে নাহ।
- মাস্টার্স ডিগ্রী :- স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনের জন্য শিক্ষার্থীকে কমপক্ষে ১৬বৎসর মেয়াদী শিক্ষা সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এছাড়া এখানেও আইইএলটিএস এ পেতে হবে কমপক্ষে ৪-৫ স্কোর। তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইএলটিএস প্রয়োজন পড়ে নাহ।
- পিএইচডি :- পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ৩বৎসর পূর্ণকালীন গবেষণা করার সুযোগ পাওয়া যায় মালয়েশিয়ায়।
ভর্তীর সময়:-
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে সেমিস্টার পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রতি বছরে একটি শিক্ষার্থীকে তিনটি সেমিস্টার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এই তিনটি সেমিস্টার শুরূর আগে আগে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তীর সুযোগ দেয়া হয়।
১.উইন্টার সেমিস্টার(জানুয়ারী- এপ্রিল)
২.সামার সেমিস্টার(মে- আগষ্ট)
৩.ফল সেমিস্টার(সেপ্টেম্বর- ডিসেম্বর)
ভর্তি ফিঃ-
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিবর্তীত হয়। তাছাড়া অঞ্চল এবং প্রোগ্রাম এর উপর নির্ভর করেও টিউশন ফি বেশি হয়। সাধারণতই মালয়েশিয়ান স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের খরচ একটু বেশিই থাকে। এক জরিপের হিসেব অনুয়ায়ী মালয়েশিয়ার উচ্চমানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে
- আন্ডারর্গ্যাজুয়েট কোর্সের টিউশন ফি সাধারণত ৮,৮২১ ইউএস ডলারের মতো হয় যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭,০৫,৬৮০ লক্ষ্য টাকা।
- ডক্টরেট, আ্যাসোসিয়েট ডিগ্রীর জন্য খরচ প্রায় ৫৫৮৬ ইউএস ডলারের মতো।যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪,৪৬,৮০০ টাকা।
স্কলারশীপ:-
প্রতিবছর প্রচুর পরিমান শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশ থেকে মালয়েশিয়াতে আসে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করার জন্য। কানাডার সরকার সেই দিক বিবেচনয়া রেখে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মেধা এবং বিগত ফলাফলের নির্ভর করে টিউশন ফি মউকুফ সব আর্থিক সহায়তা প্রদানের সুবিধা রেখেছে। একেই বলা হয় স্কলারশীপ। শিক্ষার্থীরা যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীর সুযোগ পেয়েছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর স্বলারশীপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
যেসব বিষয়ে পড়া যাবে:-
বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, মেডিসিন, ভেটেরিনারী মেডিসিন, মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ এন্ড কমিউনিকেশন, ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, চার্টার্ড একাউন্টেন্সি, হেলথ সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং, এগ্রিকালচার, ফরেস্ট্রি, ইসলামিক স্টাডিজ, সোশ্যাল সায়েন্স এন্ড হিউম্যানিটিজ, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, ডিজাইন এন্ড আর্কিটেকচার।
ক্রেডিট ট্রার্স্নফার সুবিধা:-
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অন্য দেশ থেকে ক্রেডিট ট্রাস্নফার করে ভর্তী হবার সুযোগ থাকে। সেক্ষেত্রে ক্রেডিটের উপর হিসাব করে টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। তবে কানাডার খুব বেশি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা পাওয়া যায় নাহ। প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বাদ রেখে বাকি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা বিদ্যমান থাকে।
স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করুন
মালয়েশিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসা নামে কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। মূলত, স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়, যেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়। এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি মালয়েশিয়ায় বসবাস করতে পারবেন না। মালয়েশিয়ায় ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা অথবা ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) নামক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদনের জন্য আপনাকে যা যা সংযুক্ত করতে হবে
১. মালয়েশিয়ার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার।
২. মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন আপনার থাকা, খাওয়া ও পড়ার খরচ বহন করার মতো পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৩. আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত নেই তার প্রমাণপত্র।
৪. আপনি পুরোপুরি সুস্থ তার প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল রিপোর্ট।
৫. মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হবেন না, তার অঙ্গীকারনামা।
মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন আপনার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে তার প্রমাণপত্র হিসেবে যুক্ত করুন
১. মালয়েশিয়ার ব্যাংকে আপনার নিজের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
৩. ব্যাংক ড্রাফট।
৪. এক বছরের থাকা ও পড়ার খরচ পরিশোধ হয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৫. যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফান্ডিং দিবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত চিঠি।
৬. আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তবে তার প্রমানপত্র।
দেশের বাহিরের উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় কাজগ পত্রের যথার্থতা যাচাই করতে। তাছাড়া ভিসা, পাসপোর্ট সহ অন্য সকল সমস্যা তো আছেই। এই সক সমস্যার জন্য একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন অপরিপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু যদি শিক্ষার্থীগন কোন বিশেষগ্যের সাহায্য আগন পরামর্শ গ্রহন করে তাহলে তারা এই সমস্যার সমধান খুজে পেতে পারে।
ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান যারা সাধারন শিক্ষার্থীদের এই সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থেকে বিশেষগ্যের মতো। বাজারে এর সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘’ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক” শীর্ষ স্থানীয়। ভিসা সহায়তা,পাসপোর্ট, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার সহ অন্য সকল ধরনের সহায়তা পেতে যোগাযোগ করুন আমদের সাথে।
ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড
রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,
হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,
ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।
মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯৬– ৯৭