চীন বর্তমান বিষের সবচেয়ে প্রভাবশালী অর্থনীতির দেশ। একবিংশ শতাব্দীর বিশ্বকে তারাই নেতৃত্ব দিবে। আফ্রিকা থেকে ভারত উপমহাদেশ, আমেরিকা থেকে ইউরোপ সব দেশেই চীনা পণ্যের দাপুটে অবস্থান। ইদানীং কালে চীন তাদের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর ব্যাপক জোর দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড রাঙ্কিং এ চীনের বেশ কয়েকটি ইউনিভার্সিটি স্থান দখল করে আছে। সারা বিশ্ব থেকেই এখন চীনে প্রচুর স্টুডেন্ট পড়তে আসছে। এর পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হল চীনা সরকার বিদেশী স্টুডেন্টদেরকে তাদের দেশে পড়তে স্কলারশিপ দিচ্ছে। এ স্কলারশিপের অধীনে কেউ সম্পূর্ণ টিউশন ফিস মওকুফ পাচ্ছে। আবার কেউ আবাসন পাচ্ছে। কেউ বা আবার দুটোই পাচ্ছে অর্থাৎ আবাসন ও টিউশন ফিস সম্পূর্ণ অথবা আংশিক মওকুফ পাচ্ছে। চীনের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর ডিগ্রীর গ্রহণযোগ্যতাও সারা বিশ্ব জুড়ে। অর্থাৎ আমাদের দেশের স্টুডেন্টদের জন্য এটি একটি বিশাল সুযোগ। চীনে উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনের সময় চীনের সকল নিয়মকানুন ভালভাবে জেনে নেয়া উচিত।
চীনের স্বনামধন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম
১. গুয়াংডং ইউনিভার্সিটি অফ ফরেন স্টাডিজ
২. নানজিং নরমাল ইউনিভার্সিটি
৩. চীনা ইউনিভার্সিটি অফ পলিটিকাল সায়েন্স অ্যান্ড ল
৪. সাউথেস্ট জিয়াও টং ইউনিভার্সিটি
৫. সাউথ চীনা নরমাল ইউনিভার্সিটি
৬. বেইজিং ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি
৭. জিয়াংশু ইউনিভার্সিটি
৮. শেনজেন ইউনিভার্সিটি
স্টাডি সিস্টেমঃ-
যে কোন বিষয়ে চীনে পড়াশোনার জন্য প্রথমে কমপক্ষে ১ সেমিস্টার (৬ মাস) চীনা ভাষা শিখতে হবে। বে এর মধ্যে বেশীর ভাগ ভার্সিটিতে ৪ মাস ক্লাস হয় এবং ঐ ৪ মাসের মধ্যে পরীক্ষা নেয় ও ফলাফল প্রকাশ করে দেয়। ৬ মাসের বাদ বাকী সময় হলিডেস। যদিও মূল বিষয় (গধলড়ৎ) ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনার ব্যবস্থা আছে তবু চীনা ভাষায় অন্তত কথাবার্তা বলার যোগ্যতা অর্জনের জন্যে চীনা ভাষা জানা বাধ্যতামূলক। তবে মাস্টার্স বা পিএইচ.ডি. কোর্সে সীমিত কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা রপ্ত ছাড়াও পড়াশোনার সুযোগ আছে।
ভর্তীর সময়:-
ডিগ্রি কোর্স প্রায় সব ভার্সিটিতে বছরে একবার সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করে । কোন কোন ভার্সিটি মার্চ মাসেও কোন কোন সাবজেক্টে নতুন ব্যাচ ইনটেক করে। তবে ভাষা ও পিএইচ.ডি. কোর্সে কোন কোন ক্ষেত্রে ভিন্ন সময়সূচীও হতে পারে। সেপ্টেম্বর ইনটেকের ভর্তি আবেদন জমার ডেডলাইন সাধারণভাবে ৩০ মে। তবে কতক ভার্সিটি ৩০শে জুন বা আরো কিছু বর্ধিত সময় পর্যন্ত আবেদনের ডেডলাইন নির্ধারন করে।
ভর্তি ফিঃ-
চীনে পড়াশুনার খরচ কোর্স এবং সাবজেক্টের উপর নির্ভর করে। কারন বিভিন্ন কোর্স এবং সাবজেক্টের টিউশন ফি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রকম।
- ব্যাচেলর -এমবিবিএস- বার্ষিক টিউশন ফি প্রায় ৩,২০,০০০/- টাকা থেকে ৫,২০,০০০/- টাকা পর্যন্ত।
- ব্যাচেলর- ইঞ্জিনিয়ারিং- বার্ষিক টিউশন ফি প্রায় ১,৮০,০০/- টাকা থেকে ৩,১০,০০০/- টাকা পর্যন্ত।
- মাস্টার্স প্রোগ্রাম- বার্ষিক টিউশন ফি- প্রায় ৩,২০,০০/- টাকা থেকে ৬,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত।
- ডক্টোরাল প্রোগ্রাম- বার্ষিক টিউশন ফি- প্রায় ৪,০০,০০/- টাকা থেকে ৭,০০,০০০/- টাকা পর্যন্ত।
স্কলারশীপ:-
প্রতিবছর প্রচুর পরিমান শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশ থেকে চীনে আসে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করার জন্য। চীনের সরকার সেই দিক বিবেচনয়া রেখে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মেধা এবং বিগত ফলাফলের নির্ভর করে টিউশন ফি মউকুফ সব আর্থিক সহায়তা প্রদানের সুবিধা রেখেছে। একেই বলা হয় স্কলারশীপ। শিক্ষার্থীরা যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীর সুযোগ পেয়েছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর স্বলারশীপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
- ব্যাচেলরে ভর্তি হতে গেলে কমপক্ষে এইচএসসি বা সমমান সনদ লাগবে। এস এস সি ও এইচ এস সি তে কমপক্ষে জিপিএ .৪.০০ করে মোট ৮.০০ পেতে হবে কোনটাতে ৪.০০ এর নিচে হলে কঠিন হয়ে যাবে।
- মাস্টার্স করতে গেলে কমপক্ষে ব্যাচেলর কমপ্লিট করা থাকতে হবে। মাস্টার্সের জন্য জিপিএ ৪ এর মধ্যে কমপক্ষে ৩.০০ পেতে হবে।
ক্রেডিট ট্রার্স্নফার সুবিধা:-
চীনের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অন্য দেশ থেকে ক্রেডিট ট্রাস্নফার করে ভর্তী হবার সুযোগ থাকে। সেক্ষেত্রে ক্রেডিটের উপর হিসাব করে টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। তবে চীনের খুব বেশি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা পাওয়া যায় নাহ। প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বাদ রেখে বাকি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা বিদ্যমান থাকে।
স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করুন
চীনে স্টুডেন্ট ভিসা দেওয়া হয়। এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি চীনে বসবাস করতে পারবেন না। চীনে ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা অথবা ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) নামক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদনের জন্য আপনাকে যা যা সংযুক্ত করতে হবে
১. চীনের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার।
২. চীনে থাকাকালীন আপনার থাকা, খাওয়া ও পড়ার খরচ বহন করার মতো পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৩. আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত নেই তার প্রমাণপত্র।
৪. আপনি পুরোপুরি সুস্থ তার প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল রিপোর্ট।
৫. চীনে থাকাকালীন আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হবেন না, তার অঙ্গীকারনামা।
চীনে থাকাকালীন আপনার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে তার প্রমাণপত্র হিসেবে যুক্ত করুন
১. চীনের ব্যাংকে আপনার নিজের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
৩. ব্যাংক ড্রাফট।
৪. এক বছরের থাকা ও পড়ার খরচ পরিশোধ হয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৫. যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফান্ডিং দিবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত চিঠি।
৬. আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তবে তার প্রমানপত্র।
দেশের বাহিরের উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় কাজগ পত্রের যথার্থতা যাচাই করতে। তাছাড়া ভিসা, পাসপোর্ট সহ অন্য সকল সমস্যা তো আছেই। এই সক সমস্যার জন্য একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন অপরিপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু যদি শিক্ষার্থীগন কোন বিশেষগ্যের সাহায্য আগন পরামর্শ গ্রহন করে তাহলে তারা এই সমস্যার সমধান খুজে পেতে পারে।
ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান যারা সাধারন শিক্ষার্থীদের এই সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থেকে বিশেষগ্যের মতো। বাজারে এর সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘’ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক” শীর্ষ স্থানীয়। ভিসা সহায়তা,পাসপোর্ট, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার সহ অন্য সকল ধরনের সহায়তা পেতে যোগাযোগ করুন আমদের সাথে।
ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড
রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,
হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,
ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।
মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯৬– ৯৭