গোরকঘাটা বাজার জামে মসজিদ

1063

বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ মহেশখালী কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দূরত্বের এ উপজেলা মিষ্টিপানের জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশ ছাড়াও এ পানের কদর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রয়েছে। ১৯৮২ সালে উপজেলায় উন্নীত হওয়া মহেশখালীতে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য অনেক ঐতিহাসিক স্থান রয়েছে। আদিনাথ মন্দির, বড় রাখাইন পাড়া ও বৌদ্ধ মন্দির এর মধ্যে অন্যতম। তাছাড়া মহেশখালী উপজেলার অন্যতম একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা হল শতবর্ষীও গোরকঘাটা বাজার জামে মসজিদ।

এ মসজিদে নিমার্ণ সাল সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায় নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, এ মসজিদের বয়স একশ’ বছরের বেশি। স্থানীয় সূত্রমতে চট্টগ্রামে বসবাসকারী ওই মওলানা শুটকির ব্যবসার সূত্রে মহেশখালী যাতায়াত করতেন। তিনি স্থানীয়দের নিয়ে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। তাদের উদ্যোগে এ এলাকায় বেশ কিছু মক্তবও গড়ে উঠে। মসজিদের পুন:নির্মাণকালে হাজী মৌলভী রিজওয়ান ও হাজী মোজাফফর আহমদ বিশাল ভূমিকা রাখেন।

সুদৃশ্য এ মসজিদের সামনে শান বাঁধানো এক বিশাল পুকুর। এখানে মুসল্লিরা অজু করেন। এছাড়া অজুর আলাদা আরও ব্যবস্থা রয়েছে। দোতলা এ মসজিদে একসঙ্গে প্রায় চার হাজার মুসল্লির নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা আছে। মূল মসজিদের ভেতরে ১৩টি, বারান্দায় ৪টি আর বধির্ত বারান্দায় ২টি কাতার রয়েছে। প্রতি কাতারে একশ’ জন মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। এর আগে মসজিদটি ছিলো মাটির। ৫৪ শতাংশ জায়গার ওপর নির্মিত দ্বিতল এ মসজিদের ৩০ ফুট উঁচু মিনারটিই ভ্রমণপিপাসুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, হাতছানি দেয়।

যেভাবে যাবেনঃ-

শতবর্ষীও গোরকঘাটা বাজার জামে মসজিদে পৌছাতে হলে কক্সবাজার থেকে মহেশখালী উপজেলায় আসতে হবে। কক্সবাজার থেকে মহেশখালী উপজেলার দূরত্ব ১২কিমি। মহেশখালী উপজেলায় পৌঁছে রিক্সা করে গোরকঘাটা বাজার জামে মসজিদে পৌঁছানো যায়।