এস্টোনিয়া ভিসা আবেদন

1704

এস্টোনিয়া ভিসা আবেদন

 

উত্তর ইউরোপীয় দেশ গণ-প্রজাতন্ত্র  এস্তোনিয়া পশ্চিমে রয়েছে  বেল্টিক সাগর, দক্ষিণে রয়েছে লাতভিয়া, ফিনল্যান্ডের উপ-সাগর এছাড়া পূর্ব দিকে রয়েছে পেইপাস ও রশিয়ার সীমানা রয়েছে।দেশটির আন্তর্জাতিক ভাষা হচ্ছে “এস্টোনিয়ান”এস্টোনিয়া ভিসা আবেদন

দেশটির মোট আয়তন ৪৫,৩৩৮ বর্গ কিলোমিটার। এস্তোনিয়া এর মোট জনসংখ্যা  ১,৩১২,৪৪২ জন যা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে কম দেশ গুলোর মধ্যে একটি অর্থাৎ ইউরোপের যে সকল দেশের জনসংখ্যা সচাইতে কম তারমধ্যে এস্টোনিয়া একটি।

এস্টোনিয়া কে ফ্লেটল্যান্ড ও বলা হয় আর এই ফ্লেটল্যান্ডে প্রায় ২২২২ টি দ্বীপ এছাড়াও বাল্টিক সমদ্রের রয়েছে অজস্র দ্বীপপুঞ্জ।

বিগত শতাব্দী জুড়ে, আজকের এই এস্তোনিয়া এর আঞ্চলিক গুলো ড্যানিশ,সুয়েডিস এবং সম্প্রীতি সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বারা শাসিত হয়েছে। দেশটির সরকার ১৬ এপ্রিল ২০০৩ সালে শেনঝেন চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং বাস্তবায়ন শুরু করে ২১ ডিসেম্বর ২০০৭ হতে। দেশটি ২০১৭ সালে ১৩৮,২৪৯ টি ভিসার আবেদন গ্রহন করে। তবে একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে ৩.৫৪ মিলিয়ন মানুষ এস্টোনিয়াতে রাতারাতি অবস্থান শুরু করে, যা পুর্ববর্তী বছরের তূলনায় ৬.৬% বেশি।

এস্টোনিয়া তে বেকারত্বের হার ৫.৬% এবং প্রতি বছর মাথা পিছু আয় হচ্ছে ১৯,৭০৪$।

 

তো ঘোরে আসুন প্রকৃতির অপার্থিব সৌন্দর্য এই দেশে

 

এস্টোনিয়া ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • পাসপোর্ট (পাসপোর্টের মেয়াদ ৬ মাসের বেশি থাকতে হবে)
  • সাম্প্রতিক তোলা দুই কপি ছবি। সাদা পটভূমিতে ছবি তুলতে হবে, চোখে কালো চশমা বা মাথায় টুপি জাতীয় কিছু রাখা যাবে না আর ছবিতে অবশ্যই পুরো মুখমণ্ডল আসতে হবে।
  • ভ্রমণ শেষ হওয়ার পরও অন্তত ছয় মাস মেয়াদ আছে এমন পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
  • পাসপোর্টের ডাটা পেজগুলোর ফটোকপি যুক্ত করতে হবে।
  • অন্তত ৩০ হাজার ইউরো মূল্যমানের স্বাস্থ্য বীমা প্রয়োজন হবে।
  • জমা দেয়া প্রতিটি কাগজের মূলকপির সাথে একটি করে ফটোকপিও দিতে হবে।
  • আবেদনপত্রের ভাষা অথবা ফর্মের ঘরগুলো ইংরেজিতে পূরণ করতে হবে। সুইডিশ, ডেনিশ, অথবা নরওয়েজিয়ান ভাষাতেও পূরণ করা যাবে।
  • শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা মা বা বৈধ অভিভাবকের অনুমতিপত্র জমা দিতে হবে। এছাড়া শিশুদের ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে বাবা-মা বা অভিভাবকে অবশ্যই দূতাবাসে উপস্থিত থাকতে হবে।
  • প্রতিটি ভিসার জন্য প্রায় ৬০ ইউরো সমপরিমাণ টাকা এডমিনিস্ট্রেশন ফি হিসেবে জমা দিতে হয়। ভিসা সাক্ষাতকারের পরপরই এই ফি দিতে হয়।

 

অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য:

  • এস্টোনিয়া ভ্রমণের নির্ধারিত তারিখের চার থেকে ছয় সপ্তাহ আগে ভিসা আবেদনপত্র জমা দেয়া উচিত।
  • সাধারণত ১২-১৫ কর্মদিবসের মধ্যেই পোল্যান্ড ভিসা ইস্যু হয়ে যায়। তবে কখন কখন ১ মাস পর্যন্ত লাগতে পারে।
  • ভিসা ইস্যু হওয়ার পর পাসপোর্ট সংগ্রহের সময়ই ভিসা কিভাবে দেয়া হয়েছে সেটা দেখে নেয়া উচিত। কোন সমস্যা থাকলে সাথে সাথেই ভিসা কাউন্টারে জানাতে হবে।
  • শুধু ভিসা আবেদনের সময়ই নয়, এস্টোনিয়া প্রবেশের সময়ও আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ দেখাতে হয়। কারণ সেনজেন ভিসাই এস্টোনিয়া  প্রবেশের একমাত্র নিশ্চয়তা নয়। তাই আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ ভ্রমণের সময় সাথে রাখতে হবে।

উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীকে এস্তোনিয়া টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট আবেদন করতে হবে।  আপনি ১ বছরের টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিটের জন্য আবেদন করবেন এবং আপনার আবেদনের পর এস্তোনিয়ান ফরেন পুলিশ জমা দেওয়ার সকল কাগজপত্র এবং ইন্টার্ভিউ পারফর্মেন্স যাচাই বাচাই করবে।

যদি এস্তোনিয়ান ফরেন পুলিশ আপনার আবেদন এপ্রুভ করে তাহলে আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট কার্ড দেওয়া হবে। এই কার্ড ব্যাবহার করেই আপনি এস্তোনিয়ায় ফ্লাই করতে পারবেন। এস্তোনিয়ান টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট প্রসেসের ২-৩ মাস সময় নেয়।

 ভিসা আবেদন প্রোসেস সংক্রান্ত:

যোগাযোগ করুন আমাদের ভিসা সহায়ক ব্যবাস্হাপক এর সাথে

মোবাইল:(+88) 01978569293)

ওয়েবসাইট:  www.airwaysoffice.com
ই-মেইল: myvisaapplicationinfo@gmail.com

নিউ দিল্লির এস্তোনিয়া দূতাবাসের সংক্ষিপ্ত বিবরন

  • এডমিসান পাবার সাথে সাথে সর্বপ্রথম আপনাকে নিউ দিল্লির এস্তোনিয়ার দূতাবাসেরএস্তোনিয়া ভিসা এপয়েন্টমেন্ট  ওয়েভ লিংক থেকে ভিসা আবেদনের এপয়েন্টমেন্টের তারিখ বুকড করতে হবে
  • এপয়েন্টমেন্ট পাবার পর ভিসা আবেদনের যাবতীয় কাগজপত্রের ব্যবস্থা করুণ
  • উল্লেখিত এপয়েন্টমেন্টের দিন আপনার নিম্নে উল্লেখিত কাগজপত্র গুলো জমা দিন
  • কিছুক্ষণ পর আপনাকে ইন্টার্ভিউয়ের জন্য ডাকা হবে
  • ইন্টার্ভিউ শেষে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হবে
  • ইন্টার্ভিউয়ের দিন অথবা এরপরের দিন আপনার পাসপোর্ট সংগ্রহ করে দেশে চলে আসুন ২-৩ মাস পর দূতাবাস আপনাকে ফলাফল জানাবে। ফলাফল ইতিবাচক হলে আবারোও নিউ দিল্লি গিয়ে টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট সংগ্রহ করুণ
  • ভিসা আবেদন কমপক্ষে ক্লাস শুরু হবার ২-৩ মাস পূর্বে করতে হবে

স্টুডেন্ট ভিসা/লং টার্ম ভিসার আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তালিকা

  • নিজ হাতে পূরণকৃত টেম্পোরারি রেসিডেন্স পারমিট ভিসা আবেদন ফর্ম ( এই লিংক থেকে ডাউনলোড করে নিনফর্ম ১, ফর্ম ২, ফর্ম ৩, ফর্ম ৪, ফর্ম ৫  
  • এপয়েন্টমেন্টের প্রিন্ট কপি
  • ভিসা আবেদন ফর্মের জন্য ২ কপি ৪*৫ cm সাইজের ছবি। ব্যাকগ্রাউন্ড অবশ্যই সাদা হবে। ছবিতে অবশ্যই আপনার ফেইস বড় দেখাতে হবে। ছবিটি কিভাবে উঠাতে বলবেন তাঁর একটি আইডিয়া দিচ্ছি। ছবির নিচের অংস টুকু আপনার গলার একটু নিচ থেকে হবে। ছবির সাইডে কোন প্রকার বোয়ারডার হবে না। ছবিতে এডিটিং কম করতে বলবেন। ছবি হতে হবে ন্যাচারাল।
  • মুল পাসপোর্ট
  • পাসপোর্টের সাদাকালো ১কপি ফটোকপি (শুধুমাত্র ইনফরমেশন পেইজ)
  • এডমিসান লেটার
  • ১ বছরের ট্রাভেল হেলথ ইনস্যুরেন্স যেটা অবশ্যই ১ বছরে ৩০,০০০ ইউরো মেডিক্যাল কস্ট কভার করবে বাংলাদেশে  ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুমোদিতইনস্যুরেন্স কোম্পানি থেকে ক্রয় করতে হবে।
  • আপনার পরিবার প্রধানের মাসিক আর্থিক আয়ের প্রমাণ কপি। প্রতি মাসে আপনার পরিবার প্রধানের আয় কি রূপ হতে হবে তাঁর একটি ধারনা দিচ্ছি ধরুন আপনার পরিবারে সদস্য সংখ্যা ৩জন(আপনি,আপনার বাবা,মা) সেক্ষেত্রে জন প্রতি ১৫৬ ইউরো করে ধরতে হবে অর্থাৎ ১৫৬*৩= ৪৬৮ ইউরো আপনার পরিবারের প্রধানের মাসিক আয় হতেই হবে। সে অনুযায়ী সদস্য সংখ্যা ৫ জন হলে ১৫৬*৫= ৭৮০ ইউরো মাসিক আয় হতে হবে। আপনার বাবা চাকুরীজীবী হলে তাঁর ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মাসিক বেতনের কনফার্মেশন। যদি ব্যবসায়ী হয় সেক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স সহ ব্যবসায়িক মুনাফার প্রমাণ পত্র

আমাদের ভিসা প্রসেসিং ফি  ১৮০০টকা (অর্থ প্রদানের জন্য এখানে ক্লিক করুন)

অরিজিনাল শেষ ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সার্টিফিকেট (মাসিক আয়ের সাথে ১২ দিয়ে গুন করলে যে এমাউন্ট হবে সেটাই ব্যাল্যান্সে থাকতে হবে এই ব্যাংক স্টেটমেন্ট আপনার বাবা-মা অথবা ভাই এর হলে এর একটি এফিডেভিট কপি লাগবে।

যেকোনো দেশের এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, হেলিকপ্টার সার্ভিস, টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এবং প্যাকেজ ট্যুর করে থাকি। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নিচের ঠিকানায়।

zooFamily (community of aviation & travel)

রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,হ্যাপি আর্কেড শপিং মল,ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ। মোবাইল নাম্বার: ০১৭৬৮২৩২৩১১