৩১ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট

890

৩১ অক্টোবর থেকে চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের মদিনায় সরাসরি ফ্লাইট চালু করছে বাংলাদেশ বিমান। আগামী ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজে যাত্রী পরিবহন শুরু হবে; চলবে সপ্তাহে একদিন বৃহস্পতিবার। এর পর যাত্রী সাড়া পেলে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াবে বাংলাদেশ বিমান।

বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে মদিনা রুটে দেশি-বিদেশি বিমান সংস্থার সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। বর্তমানে চট্টগ্রামের যাত্রীদের ঢাকা বিমানবন্দর হয়ে মদিনা যেতে হচ্ছে। আর চট্টগ্রাম থেকে গেলে দুবাই বা জেদ্দা পৌঁছে সেখান থেকেই মদিনা যেতে হয়। সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়ায় মদিনা যাওয়া অনেক বেশি সহজ হবে চট্টগ্রামের যাত্রীদের। এতে শুধু ফ্লাইট ভাড়া কমবে ১০ হাজার টাকা, সঙ্গে সময় সাশ্রয় হবে এবং ভোগান্তি কমবে।

চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট চালু হওয়াটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে জুনিয়র চেম্বারের সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বলছেন, গতবার ওমরাহ হজ শেষে ফিরে আসার সময় এয়ার এরাবিয়া ফ্লাইটে শারজাহ হয়ে চট্টগ্রাম আসতে হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান থাকলে এই ভোগান্তি হত না; বাড়তি সময় লাগত না। নতুন রুটে ওমরাহ হজ করাটা এখন অনেক বেশি সহজ হবে। আর প্রবাসী বাংলাদেশিরা মদিনা থেকে সরাসরি নিজের জন্মভূমিতে পৌঁছতে পারতেন। এ জন্য বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট শিডিউল অনটাইম রাখাটা খুবই জরুরি।

জানা গেছে, নতুন শিডিউল অনুযায়ী বাংলাদেশ বিমান সপ্তাহে তিনদিন ঢাকা-মদিনা রুটে যাত্রী পরিবহন করবে আর চট্টগ্রাম থেকে পরিবহন করবে সপ্তাহে একদিন। শুধু তাই নয়, আগামী ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম-কুয়েত রুটেও যাত্রী পরিবহন শুরু করবে বাংলাদেশ বিমান।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে বাংলাদেশ বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক আরিফুজ্জামান খান বলেন, ‘ওমরাহ হজ ও প্রবাসীরা এতে সবচে বেশি উপকৃত হবেন। নতুন রুটে একজন যাত্রী চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি মদিনা যেতে পারবেন আবার জেদ্দা হয়ে চট্টগ্রাম আসতে পারবেন। আর জেদ্দা গেলে মদিনা থেকে সরাসরি চট্টগ্রাম পৌঁছতে পারবেন। মদিনা অবস্থানকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য এটি সবচে বড় সুযোগ।

তিনি বলছেন, দেশে আসতে প্রবাসীদের প্রথমই চায় বাড়তি লাগেজ সুবিধা। সেই বিবেচনায় নতুন শিডিউলে চট্টগ্রাম-মদিনা সপ্তাহে একদিন, চট্টগ্রাম-জেদ্দা সপ্তাহে তিনদিন ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যবহৃত হবে সুপরিসর উড়োজাহাজ বোয়িং ৭৭৭।

হজ এজেন্সিগুলো বলছে, সৌদি আরব সরকারের ভিসা ফি কমানোর সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ থেকে শুধু ওমরাহ হজযাত্রী চলতি বছর বেড়ে তিন লাখে উন্নীত হবে। গত ওমরাহ মৌসুমে এই সংখ্যা ছিল দুই লাখের কিছু বেশি। চট্টগ্রাম থেকেও ওমরাহ হজযাত্রী যাবে এর বড় একটি অংশ।

মদিনা প্রবাসী ও চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্য অনেক বড় সুবিধা উল্লেখ করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) চট্টগ্রামের সভাপতি শাহ আলম বলেন, ‘ওমরাহ হজ যাত্রীরা প্রথমে মদিনা গিয়ে রাসুল (সা.) এর কবর জেয়ারত করবেন। এরপর মক্কা গিয়ে ওমরাহ পালন শেষে সরাসরি মদিনা থেকে চট্টগ্রাম আসতে পারবেন। এখন একজন যাত্রী প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে জেদ্দা বিমানবন্দর পৌঁছে মক্কায় গিয়ে ওমরাহ পালন করেন। ওমরাহ শেষে সড়কপথে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা পাড়ি দিয়ে মদিনা যান। সেখানে জেয়ারত শেষে আবার সাতঘণ্টা ভ্রমণ করে মক্কায় এসে জেদ্দা বিমানবন্দর হয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছেন।

জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে একজন মুসলমান ওমরাহ প্যাকেজে যেতে খরচ হয় ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। ১৪ দিনের এই প্যাকেজে থাকা, খাওয়া, পরিবহন খরচ, বিমান ভাড়া ও ভিসা ফি যুক্ত আছে। সৌদি সরকারের নতুন নিয়ম কার্যকর হলে যাত্রীদের খরচ অবশ্যই কমে আসবে কিন্তু সেটি নির্ভর করছে হজ পরিচালনাকারী এজেন্সিগুলোর ওপর।

জানা গেছে, নতুন রুটে একজন যাত্রীর বাংলাদেশ বিমানে চট্টগ্রাম-মদিনা যেতে খরচ হবে সর্বনিম্ন ৩৩ হাজার টাকা; আর ফিরতি পথে খরচ হবে ২৭ হাজার ৭৫০ টাকা। অর্থাৎ চট্টগ্রাম-মদিনা-চট্টগ্রাম বিমান ভাড়া পড়বে সর্বনিম্ন প্রায় ৬১ হাজার টাকা। আর চট্টগ্রাম-জেদ্দা-চট্টগ্রাম বিমান ভাড়া পড়বে সর্বনিম্ন ৭১ হাজার টাকা। ভ্রমণ তারিখের যত কাছের সময়ে টিকেট কাটবে ততই খরচ বেশি পড়বে। আর আগে ভাগে টিকিট কাটলে চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ভ্রমণ করলে অন্তত ১০ হাজার টাকা সাশ্রয় হবে। কিন্তু এজেন্সিগুলো খরচ কমাতে চাইছে না।

হাব সভাপতি শাহ আলম বলছেন, খরচ হয়তো কমবে না; তবে যাত্রীদের সময় সাশ্রয় হবে, ভ্রমণ আরামদায়ক হবে।

যেকোনো দেশের এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, হেলিকপ্টার সার্ভিস, টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এবং প্যাকেজ ট্যুর করে থাকি। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নিচের ঠিকানায়।

zooFamily (community of aviation & travel)

রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।

মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯৪