ক্যারিয়ার হিসেবে আর্কিটেক
আপনার ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য কি না করেন, সঞ্চয় থেকে শুরু করে লাইফ ইন্স্যুরেন্স পর্যন্ত করছেন। ভালোভাবে বেঁচে থাকার জন্য কতই না চেষ্টা। কিন্তু একবারও কি এটা ভেবে দেখেছেন শান্তির জন্য যেখানে আছেন সেটা কতটুকু নিরাপদ? বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ তো বটেই বর্তমানে ভূমিকম্পপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশও স্থান করে নিয়েছে। সুরক্ষিত বাসস্থান তৈরির জন্য চায় আর্কিটেক্টর। এমন এক সময় ছিল যখন ঘর-বাড়ি নির্মাণ করার জন্য নির্দিষ্ট কোনো অবকাঠামো মানা হতো না। কিন্তু এখন আর সে দিন নেই আর্কিটেক্টর ও সরকারের অনুমোদন নিয়ে ঘর তৈরি করতে হয়। আর দিনে দিনে আর্কিটেক্টরদের চাহিদা বাড়ছে।
জীবিকার জন্য প্রয়োজন একটি নিশ্চিত এবং নিরাপদ কর্মসংস্থান। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত অনেক সার্টিফিকেটধারীও আজকাল চাকরির অনিশ্চয়তায় ভোগেন। কারিগরি কোর্সগুলো যেমন স্বল্প ব্যয়ে করা সম্ভব তেমনি সময়ও লাগে কম। বর্তমান সময়ে একজন শিক্ষার্থীর পড়াশোনা শেষ করে দেশে বা দেশের বাইরে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাচ্ছে। তাছাড়া চাকরি বাজারের প্রেক্ষাপটে এ সুযোগ কাজে লাগানোর জন্য প্রয়োজন সঠিক ক্যারিয়ার পরিকল্পনা। শিক্ষার্থীদের এ পরিকল্পনায় সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে কারিগরি শিক্ষা। আর কারিগরি শিক্ষার মধ্যে অন্যতম হল আর্কিটেকচার।
দিন দিন আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, কিন্তু সেই তুলনায় বাড়েনি জমি। এই সমস্যা কিছুটা হলেও দূর করতে এগিয়ে এসেছে আর্কিটেক্টরা। কম জায়গায় কীভাবে মানুষ তার প্রয়োজন মিটিয়ে সুন্দরভাবে থাকতে পারে আর্কিটেক্টরা সেসব সমস্যার সমাধান দেন। আবাসন কতটা পরিবেশ উপযোগী, টেকসই, দৃষ্টিনন্দন, মানসম্মত ও রুচিশীল হবে সবই নির্ভর করে আর্কিটেকচার ডিজাইনের ওপর। এবং সেই ডিজাইনের ওপর আধুনিক ও যুগোপযোগী আবাসন, বিপণি বিতান, অফিস ও স্থাপত্য শৈলী তৈরি করেন। তাই আর্কিটেকচার আধুনিক সমাজ ও জীবনে এক অপরিহার্য বিষয়।
কোথায় পড়বেন : দেশে বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তিনটি প্রতিষ্ঠানে আর্কিটেকচার পড়ান হয়। এছাড়া বেসরকারিগুলোর মধ্যে অন্যতম হল আহছানউল্লা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভর্সিটি, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, নর্থ-সাইথ ইউনিভার্সিটি, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
ভর্তি যোগ্যতা :
প্রথমত এসএসসি ও এইচএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগে সব বিষয়ে ভালো করতে হবে। বিশেষত পদার্থবিজ্ঞান এবং গণিতে জিপিএ ৫ থাকলে বেশ ভালো হয়। এইচএসসিতে জিপিএ ৪.৮ এর উপরে ও এসএসসিতে জিপিএ ৪.৭ এবং অবশ্যই কম্পিউটার ব্যবহার এবং মুক্তহস্তে অঙ্কনে পারদর্শী হতে হবে। যে কোনো ছবি আঁকার মতো যোগ্যতা ছাড়া আর্কিটেকচারে ভালো করা অসম্ভব।
স্কলারশীপ :
দেশে এবং দেশের বাইরে প্রচুর স্কলারশীপ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে যদি সিজিপিএ ৩.২৫-এর ওপর থাকে তাহলে জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডায় পড়াশোনা করার জন্য স্কলারশীপ পাওয়া সম্ভব হবে। দেশেও অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি দিয়ে থাকে।
কাজের সুযোগ :
এ বিভাগ থেকে পাস করার পর যে কেউ যে কোনো আর্কিটেকচার ডেভেলপার ফার্মে চাকরির সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি অনেক সুযোগ থাকার কারণে অনেকে চাইলে থ্রিডি অ্যানিমেশন, থ্রিডি মডেলিং, অটোক্যাড ড্রয়িইন, রেন্ডারিং ফটোগ্রাফি বা গ্রাফিক্সের যে কোনো কাজ করতে পারেন। আর্কিটেকচারের প্রয়োজন শুধু বিল্ডিং ডিজাইনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ নয়। চাইলে উল্লিখিত যে কোনো একটা কিছু করে ব্যক্তি তার নিজের ক্যারিয়ার গড়ে নিতে পারেন। বহির্বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে এবং আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষার অনেক সুযোগ রয়েছে। যেমন- মাস্টার্স এবং পিএইচডি। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা ও জাপানে মাস্টার আর্কিটেক্টদের তত্ত্বাবধানে কাজ করতে পারবেন। পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম চাকরি করার সুযোগ পেতে পারে এ বিষয়ের শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশের বিভিন্ন গৃহনির্মাণ প্রতিষ্ঠান, রিয়েল এস্টেট ফার্ম, ইন্টেরিয়র ডিজাইনিং ইত্যাদি কাজে এই পেশাগুলোর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। উন্নত আবাসন প্রকল্প, আধুনিক অফিস ও বিপণি বিতান ডিজাইন ও নির্মাণে আর্কিটেকচারের চাহিদা অনেক বেশি। সেই সঙ্গে বাড়বে চাকরির সুযোগ। তাই ক্যারিয়ার হিসেবে আর্কিটেকচার বিভাগে পড়াশোনা করতে পারেন।
যেকোনো দেশের এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, হেলিকপ্টার সার্ভিস, টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এবং প্যাকেজ ট্যুর করে থাকি। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নিচের ঠিকানায়।
zooFamily (community of aviation & travel)
রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।