বরগুনা জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাংশে সমুদ্রের কোল ঘেষে সুগন্ধা,পায়রা ও হরিণঘাটা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা ভূখন্ড। এ জেলার সমগ্র ভূখন্ড একদিন ছিল সুন্দরবন এলাকা। কালের বিবর্তনে মানুষ ক্রমে ক্রমে নানা প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে সুন্দরবন কেটে আবাদ শুরু করে জনপদ তৈরী করতে থাকে এবং তারই ফলশ্রুতিতে ১৯৩৯.৩৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নয় লক্ষাধিক অধিবাসী অধ্যুষিত ছয়টি উপজেলার সমন্বয়ে আজকের বরগুনা জেলা।
নামকরনের ইতিহাস:-
বরগুনা নামের সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য পাওয়া না গেলেও জানা যায় যে, উত্তরাঞ্চলের কাঠ ব্যবসায়ীরা এঅঞ্চলে কাঠ নিতে এস খরস্রোতা খাকদোন নদী অতিক্রম করতে গিয়ে অনুকুল প্রবাহ বা বড় গোনের জন্যএখানে অপেক্ষা করত বলে এ স্থানের নাম হয় বড় গোনা। কারো মতে আবার স্রোতের বিপরীতে গুন (দড়ি)টেনে নৌকা অতিক্রম করতে হতো বলে এ স্থানের নাম বরগুনা। কেউ কেউ বলেন, বরগুনা নামক কোন প্রভাবশালী রাখাইন অধিবাসীর নামানুসারে বরগুনা। আবার কারো মতে বরগুনা নামক কোন এক বাওয়ালীর নামানুসারে এ স্থানের নাম করণ করা হয় বরগুনা।
ভৌগোলিক সীমানা:-
বরগুনা দক্ষিণাঞ্চলের জেলা। এর দক্ষিণে পটুয়াখালী ও বঙ্গোপসাগর, উত্তরে ঝালকাঠি, বরিশাল, পিরোজপুর ও পটুয়াখালী; পূর্বে পটুয়াখালী এবং পশ্চিমে পিরোজপুর ও বাগেরহাট। জেলা সদরে বরগুনা শহর। একটি পৌরসভা। ৯ ওয়ার্ড ও ১৮ মহল্লা।
অর্থনীতি:-
বরগুনা এর অর্থনীতি কৃষিনির্ভর। প্রধান শস্য ধান, চিনাবাদাম,সরিষা,সূর্যমুখী ও বিভিন্ন ধরনের ডাল। একসময় পাট চাষ হত, কিন্তু তা অর্থকারী ফসল হিসেবে জনপ্রিয়তা হারিয়ে ফেলে। উপকূলবর্তী জেলা হওয়ায়, বরগুনার অনেকেই জেলের কাজ করে।
বরগুনা জেলার উপজেলা গুলি
১)বরগুনা সদর উপজেলা
২)আমতলী উপজেলা
৩)পাথরঘাটা উপজেলা
৪)বেতাগি উপজেলা
৫)বামনা উপজেলা
৬)তালতলী উপজেলা
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বঃ-
অধ্যাপক সৈয়দ ফজলুল হক
সেলিনা হোসেন
শাহজাদা আবদুল মালেক খান
সিফাতুল ইসলাম তানিম
আলহাজ্ব গোলাম সবুর টুলুু
মোহাম্মাদ আখতারুজ্জামান
বিখ্যাত স্থানঃ-
বিবিচিনি শাহী মসজিদ
সোনারচর
লালদিয়ার বন ও সমুদ্র সৈকত
হরিণঘাটা
রাখাইন এলাকা
বৌদ্ধ মন্দির ও বৌদ্ধ একাডেমি
এবাদুল্লাহ মসজিদ
টেংড়াগিড়ি বন
ফাতরার বন ও ইকোপার্ক
যাতায়াতঃ-
ঢাকা থেকে সড়ক ও নৌ উভয় পথেই এই জেলায় যাতায়াত করা যায়। তবে সড়কপথের চেয়ে নৌ-পথেই যাতায়াত সুবিধাজনক। প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ এবং গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে যাত্রীবাহী বাস বরগুনা জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।