ঢাকার অদূরবর্তী গ্রাম বিরুলিয়া আজকের ছোট্ট গ্রাম প্রায় ১০০ বছর আগে ছিল বিরুলিয়া নগরী। মিরপুর বেড়িবাঁধ থেকে নৌকায় তুরাগ নদী পার হলেই বিরুলিয়া ঐতিহাসিক ১৪-১৫টি নকশাবহুল শতবর্ষী ভবন ছিল একসময় বিরুলিয়ায়, একসময় এ জনপদ ভারত সম্রাট অশোকের ধামরাইয়ের আওতাভুক্ত ছিল।
ঢাকার খুব কাছের এই গ্রমাটির বেশির ভাগ অধিবাসীই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। ইতিহাসের স্বাক্ষী কিংবা প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন দেখতে অনেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে গেলেও বিরূলিয়ার ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং জমিদার বাড়ি লোক চক্ষুর অন্তরালেই রয়ে গেছে।
বিরূলিয়া গ্রামের ঠিক শেষ দিকেই জমিদার রজনীকান্ত ঘোষের বাড়ি। তার পাশে একটি মন্দিরও আছে। লোকমুখে শোনা যায় যে, জমিদার নলীনি মোহস সাহার কাছ থেকে ৮৯৬০ সালে ৪ আনি দিয়ে রজনিকান্ত ঘোষ এই বাড়িটি কিনেন। বাড়িটিতে ছিলো সদরঘড়,বিশ্রামঘড়, বিচার ঘড়, পেয়াদাঘড়,ঘোড়াশাল এবং আরো অনেক কিছু। ১৯৬৪ সালের দাঙ্গার সময় রজনিকান্তের বাড়িটুকু ছাড়া বাকি সব লুটপাট হয়ে যায়। বিরূলিয়ার মিরচিনি মুরালির খুবই কদর। তাই সারাদেশের বিভিন্ন মেলায় এসব জিনিষ বিক্রয় হতে দেখা যেতো।
একসময় এখানে বসবাস করতেন তারকচন্দ্র সাহা, গোপিবাবু, নিতাইবাবু, রজনী ঘোষ প্রমুখ ব্যবসায়ী। বংশী, ধলেশ্বরী ও তুরাগপথে তারা ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। তারা এখানে বসে নিলাম কিনতেন আর পরিচালনা করতেন জমিদারি। আর এখানেই একসময় বসতি ছিল আদি ঢাকেশ্বরী বস্ত্রালয়ের কর্ণধারের পিতৃপুরুষদের
যেভাবে যাবেন:-
বিরূলিয়াতে পৌছাতে হলে প্রথমেই আপনাকে মিরপুর ১/১০এ আসতে হবে। পরে সেখান থেকে যেসব বাস আব্দুল্লাহপুর ব্রীজ হয়ে ওপারে যায় সেসব বাসে করে সরাসরি বিরূলিয়া গ্রামে পৌছানো যায়।তাছাড়া মিরপুর বেড়ি বাধ থেবে নদী পার হয়েও বিরূলিয়া যাওয়া যায়