ঢাকা থেকে হাতিয়া রুটে যাতায়াতকারী লঞ্চগুলোর মধ্যে “এম. ভি পানামা” একটি।
যোগাযোগ
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়।
লঞ্চ | যোগাযোগ |
এম ভি পানামা | ০১৭১১৩৪৯২৫৭ |
এম ভি টিপু-৫ | ০১৭১১৩৪৮৮১৩ |
লঞ্চ ছাড়ার সময়
- ঢাকার সদরঘাট থেকে হাতিয়ার উদ্দেশ্যে প্রতিদিন একটি লঞ্চ যাতায়াত করে।
- এই রুটে মোট দুইটি লঞ্চ যাতায়াত করে।
- প্রতিটি লঞ্চ একদিন পর পর হাতিয়া যাতায়াত করে। একই ভাবে হাতিয়া থেকে সদরঘাট ফিরে আসে।
ঢাকা থেকে ছাড়ে | হাতিয়া পৌঁছে |
বিকাল ৫.৩০ টা | সকাল ৯.৩০ টা |
হাতিয়া থেকে ছাড়ে | ঢাকা পৌঁছে |
দুপুর ১২ টা | পরের দিন ভোর ৫.৩০-৬ টা |
ধারণক্ষমতা ও আয়তন
লঞ্চটি ৭৭৬ জন যাত্রী ধারন করতে পারে।
আসন সমূহ ও সুবিধা
- এই লঞ্চটিতে ৩ ধরনের আসন ব্যবস্থা রয়েছে।
- প্রথম শ্রেণী/ভিআইপি
- দ্বিতীয় শ্রেণী/কেবিন
- তৃতীয় শ্রেণী/বেঞ্চ ও ডেক
- প্রথম শ্রেণীর আসনগুলোতে রয়েছে পরিপাটি বিছানা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, রঙ্গীন টেলিভিশন, পৃথক টয়লেট, চেয়ার-টেবিল।
- দ্বিতীয় শ্রেণীর কেবিনগুলোতে রয়েছে পরিপাটি বিছানা, ফ্যান, রঙ্গীন টেলিভিশন, চেয়ার-টেবিল।
- আর সাধারণ যাত্রীদের জন্য রয়েছে সুবিস্তৃত ডেক ও বেঞ্চ।
- যেখানে যাত্রীরা বিছানা পেতে শুয়ে বসে যাতায়াত করে।
টিকেট মূল্য
শ্রেণী | ভাড়া (টাকা) |
ভিআইপি | ২,৫০০/- |
ডাবল কেবিন | ১,৫০০/- |
সিঙ্গেল কেবিন | ৮০০/- |
৩য় শ্রেণী (ডেক) | ২২০/- |
কেবিনে সাধারনত লোকসংখ্যা নির্দিষ্ট নয়। ডাবল কেবিন বলতে বুঝায় ডাবল খাট বিশিষ্ট একটি কেবিন। ডাবল কেবিনে/সিংগেল কেবিনে দুজনের/একজনের অতিরিক্ত যাত্রীর জন্য ডেকের টিকেট সংগ্রহ করতে হয়।
কেবিন সংখ্যা,বুকিং ও টিকেট
- এই লঞ্চটিতে ভি.আই.পি কেবিন রয়েছে ২ টি।
- ডাবল ও সিঙ্গেল মিলিয়ে মোট ২৮ টি কেবিন রয়েছে।
- অগ্রীম কেবিন বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ নাম্বার – ০১৭১১-৩৪৯২৫৭।
- বুকিং নিশ্চিত করার জন্য লঞ্চ ছাড়ার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে লঞ্চে উপস্থিত হতে হয়।
- যাত্রাকালে লঞ্চেই টিকেট পাওয়া যায়।
- এছাড়া ফোনের মাধ্যমে অগ্রীম টিকেট বুকিং দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
- যাত্রা বাতিল করতে চাইলে যাত্রার ২ ঘন্টা পূর্বে জানাতে হয়।
- ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের যাত্রার জন্য কোন টিকেট সংগ্রহ করতে হয় না।
মালামালের ভাড়া
মালামালের বিবরণ | পরিমাণ | লঞ্চের চার্জ | কুলির মজুরি |
বিভিন্ন ধরনের লাগেজ, ব্যাগ রাস্তা থেকে স্টিমার বা লঞ্চ পর্যন্ত (একজন শ্রমিক) | অনধিক ১০ কেজি (১ টি ব্যাগ)
অনধিক ২০ কেজি (১ টি ব্যাগ) অনধিক ৩০ কেজি (২ টি ব্যাগ) অনধিক ৪০ কেজি (১ টি ব্যাগ) অনধিক ৪০ কেজি (২ টি ব্যাগ) অনধিক ৬০ কেজি (২ টি ব্যাগ) |
দরকার পড়ে না | ১০ টাকা
২০ টাকা ৩০ টাকা ৩০ টাকা ৪০ টাকা ৫০ টাকা |
ষ্টীল বা কাঠের আলমারি (একাধিক শ্রমিকের ক্ষেত্রে) | প্রতিটির সর্বোচ্চ ওজন ১০০ কেজি | ৩০০ টাকা | ১০০ টাকা |
কাপড়ের গাইড (একাধিক শ্রমিক) | প্রতিটি ৫০ কেজি। ৫০ কেজির বেশি হলে ২০ কেজির জন্য | ১৫০ টাকা | ৫০ টাকা
১০ টাকা |
কাঠের বা ষ্টীলের খাট | প্রতিটি | ৩০০ টাকা | ১০০ টাকা |
কাঠের, ষ্টিলের, বেতের চেয়ার, টেবিল | প্রতিটি | ১৫০ টাকা | ২০ টাকা |
ফ্রিজ (যেকোন আয়তনের) | প্রতিটি | ২৫০ টাকা | ৫০ টাকা |
টেলিভিশন সকল ধরনের | প্রতিটি | ১০০ টাকা | ২০ টাকা |
হার্ডওয়ার/ অন্যান্য মালামাল/ কার্টুন/ ফ্যান/ ঝুড়ি | ৫০ কেজি প্রতিটি | ২০০ টাকা | ৪০ টাকা |
মোটর সাইকেল (প্রতিটি) | প্রতিটি | ১০০ টাকা | ২৫০ টাকা |
সিলিং ফ্যান, টেবিলফ্যান | প্রতিটি | দরকার পড়ে না | ২০ টাকা |
নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলা
লঞ্চের যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। যেকোন দুর্যোগে যাত্রীদের জীবন রক্ষার জন্য ১২০ টি বয়া ও ১০ টি টায়ার রয়েছে। এগুলো প্রতি ফ্লোরের দুই দিকে ছাদের অংশে এবং কেবিনের পাশে সারিবদ্ধভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। প্রতিটি বয়ায় ৪ জন যাত্রী ভেসে থাকতে পারে।
ক্যান্টিন
লঞ্চের যাত্রীদের খাবার সুবিধার্থে লঞ্চের নিচতলায় একটি ক্যান্টিন রয়েছে। ক্যান্টিনে হালকা খাবারের পাশাপাশি ভাত, মাছ, মাংস পাওয়া যায়। ক্যান্টিনে রুম সার্ভিস ব্যবস্থা রয়েছে।
চা (প্রতি কাপ) | ৬/- |
কেক (প্রতি পিস) | ১০/- |
ভাত (প্রতি প্লেট) | ১৫/- |
ইলিশ মাছ (প্রতি পিস) | ৯০/- |
রুই মাছ | ৮০/- |
গরুর মাংস ভুনা (হাফ) | ১২০/- |
মুরগীর মাংস | ১৫০/- |
মিনারেল ওয়াটার (১ লিটার) | ২৫/- |
কোমল পানীয় (১ লিটার) | ৭০/- |
চিপস | ১৫/- |
নামাজ আদায়
লঞ্চের যাত্রীদের জন্য আলাদা স্থানে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে। লঞ্চের ৩য় তলায় এই স্থানটি সংরক্ষিত যেখানে ২৫ জন মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন। নামাজের বিছানা লঞ্চের ৩য় তলায় মাস্টার রুমে সংরক্ষিত রয়েছে।
টয়লেট
এই লঞ্চে মোট ১২ টি টয়লেট রয়েছে। ভি.আই.পি শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট সুবিধা, ২য় শ্রেণীর কেবিন যাত্রীদের জন্য ২য় ও ৩য় তলায় মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক ১ টি করে ২ টি মোট ৪টি টয়লেট রয়েছে। ৩য় শ্রেণীর ডেক যাত্রীদের জন্য লঞ্চের নিচতলার শেষ প্রান্তে মহিলা ও পুরুষদের পৃথক ৩টি করে ৬টি টয়লেট রয়েছে।
বিবিধ
- জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা থাকে।
- লঞ্চ চরে আটকে গেলে অনেক সময় অন্য লঞ্চের সাহায্য নেয়া হয়। অনেক সময় লঞ্চ উদ্ধারের জন্য যাত্রীদেরও এগিয়ে আসতে হয়।
- দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ২ নম্বর সতর্ক সংকেত পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করতে পারে। ৩ নম্বর সংকেত দেখানো হলে আর চলাচল করে না।