ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করে ৭৪২/৭৪১ নং তূর্না নিশীথা আন্তনগর ট্রেনটি।বাংলাদেশের ট্রেন সার্ভিসের মধ্যে তূর্না নিশীথা অন্যতম। তূর্না নিশীথা ট্রেনের ঢাকার প্রতিটি স্টেশনে টিকিট কাউন্টার রয়েছে। তাছাড়া বর্তমারে “রেল সেবা” নামক এ্যপসের মাধ্যমেও টিকিট পাওয়া যায়। তাই তূর্না নিশীথা ট্রেনের টিকিট প্রাপ্তি যাত্রীদের জন্য সুবিধার। তূর্না নিশীথা ট্রেন সম্পর্কে অন্য সকল তথ্য পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন।
প্রধান স্টেশনের ঠিকানা ও যোগাযোগ
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
ফোন নম্বর: +৮৮-০২-৯৩৫৮৬৩৪,৯৩৩১৮২২
মোবাইল নম্বর:+৮৮- ০১৭১১৬৯১৬১২
বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন
ফোন নম্বর: +৮৮-৮৯২৪২৩৯
ওয়েবসাইট: www.railway.gov.bd
সময়সূচি
রুট | ছাড়বে | পৌছাবে | বন্ধের দিন |
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম | রাত ১১:০০ | ভোর ৬:৩৫ | নেই |
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা | রাত ১১:০০ | ভোর ৬:১৫ | নেই |
যাত্রা বিরতীর স্থান ও ভাড়ার তালিকা
গন্তব্যস্থল | শো: চেয়ার | এসি সিট | এসি বার্থ |
চট্টগ্রাম | ৩২০/- | ৭৩১/- | ১০৯৩/- |
ফেনী | ২৪৫/- | ৫৫৮/- | ৮৩৪/- |
লাকসাম | ২১০/- | ৪৭৮/- | ৭১৯/- |
কুমিল্লা | ১৯০/- | ৪৩২/- | ৬৪৪/- |
ব্রাহ্মনবাড়ীয়া | ১৩৫/- | ৩০৫/- | ৪৫৫/- |
মালামাল পরিবহন
- একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ ২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
- অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তা লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারেন। বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
- লাগেজ বহনের জন্য ট্রলির ব্যবস্থা আছে।
- অসুস্থ ব্যাক্তিদের বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা আছে।
মালামাল বহনে কুলি চার্জ
স্টেশন থেকে বগিতে কিংবা বগি থেকে স্টেশনের বাইরে মালামাল বহনের জন্য কুলির ব্যবস্থা আছে। মালামালের পরিমান অনুযায়ী তারা চার্জ নিয়ে থাকে। এখানে বর্তমান প্রচলিত চার্জের তালিকা দেয়া হল, যদিও প্রকৃত ক্ষেত্রে দর কসা-কসি করেই তাদের সেবা নেয়া যাবে।
লাগেজের পরিমাণ | চার্জ (টাকা) |
অনধিক ২৮ কেজি ১ টি ব্যাগ | ৩০/- |
অনধিক ২৮ কেজি ২ টি ব্যাগ | ৪০/- |
অনধিক ৩৭ কেজি ১ টি ব্যাগ | ৪০/- |
অনধিক ৩৭ কেজি ২ টি ব্যাগ | ৫০/- |
অনধিক ৫৬কেজি ১ টি ব্যাগ | ৬০/- |
অনধিক ৫৬ কেজি ২ টি ব্যাগ | ৮০/- |
খাবার ব্যবস্থা
আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাবারের গাড়ি সংযোজন করা থাকে। করিডোরের মাধ্যমে ট্রেনের যেকোন প্রান্ত থেকে খাবারের গাড়িতে গিয়ে খাবার গ্রহণ করা যায়। এসকল খাবার গাড়িতে খাবারের মূল্য তালিকা টানানো থাকে। এখানে বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, পাউরুটি, চা, কপি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, ফ্রাইড চিকেন, কাবাব সিঙ্গারা, সমুচা, নানা ধরনের কোমল পানীয় ও মিনারেল ওয়াটার পাওয়া যায়। এছাড়া দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন পাওয়া যায়।
অন্যান্য সুবিধাদি
- আন্তঃনগর ট্রেনগুলো নামাযের জন্য নির্ধারিত জায়গা রয়েছে।
- কতর্ব্যরত গার্ডের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স রয়েছে।
- টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে। তবে ট্রেন থেমে থাকা অবস্থায় টয়লেট ব্যবহার না করা ভালো।
- প্রত্যেক বগিতে একজন করে গাইড থাকেন। যাত্রীদের সেবা, প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ট্রেনের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
- যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য রয়েছে জানালার পাশে এ্যালুমিনিয়ামের শাটার। ট্রেনে ভ্রমণকালে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। যেমন – ট্রেনের দরজা-জানালায় না বসা, ট্রেনের ছাদে না ওঠা, ইঞ্জিনে না চড়া। ঘনবসতি বা বস্তি এলাকাতে ট্রেন চলার সময় জানালার শাটার লাগিয়ে দেয়া।
- এসি কেবিন ছাড়া শোভন বগিতে স্ট্যান্ডিং টিকেট কাটার সুবিধা রয়েছে। মোট বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হয়। স্ট্যান্ডিং টিকিটের মূল্য সিটিং টিকেটের সমান এবং সাথে সাধারণ টিকেটের মতই পণ্য নেয়া যায়।তথ্য সুত্রঃ- অনলাইন ঢাকা গাইড