উচ্চশিক্ষার জন্য এখন অনেক শিক্ষার্থীই দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশে যাচ্ছেন। উচ্চশিক্ষার জন্য জাপান শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষে। জাপানে যেতে পারেন ব্যাচেলর্স ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রি ও ডক্টরেট করার জন্য। জাপানে সাধারণত দুটি সেমিস্টারে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। প্রথম সেমিস্টার এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত; দ্বিতীয় সেমিস্টার অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত। গ্র্যাজুয়েট পর্যায়ে পড়ালেখার জন্য সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়। জাপানে উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের অবশ্যই উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনের সময় জাপানের সকল নিয়মকানুন ভালভাবে জেনে নেয়া উচিত।
জাপানের স্বনামধন্য কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম
১. আইচি বাঙ্কিও বিশ্ববিদ্যালয়
২.ছাবু বিশ্ববিদ্যালয়
৩.দোহো বিশ্ববিদ্যালয়
৪.ফুজিটা স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
৫.মাইজো বিশ্ববিদ্যালয়
৬.নাগোয়া কলেজ
৭.শুবুন বিশ্ববিদ্যালয়
স্টাডি সিস্টেমঃ-
কমপক্ষে ১২ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা (এইচএসসি বা সমমানের)। জাপানি ভাষার ওপর পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকতে হবে। কমপক্ষে ছয় মাসের জাপানি ভাষার কোর্স সম্পন্ন হতে হবে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জাপান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একটি পরীক্ষা দিতে হবে। জাপানি ভাষার দক্ষতার ওপর একটি পরীক্ষা দিতে হবে। কমপক্ষে ১৬ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
- অ্যাসোসিয়েটেড ডিগ্রি:- অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রি সম্পন্ন করার জন্য দু-তিন বছর সময় লাগবে।
- ব্যাচেলর্স ডিগ্রি:- ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করার জন্য বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে চার বছর সময় লাগে
- মাস্টার্স ডিগ্রি:-মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করার জন্য বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বছর সময় লাগে
- পিএইচডি :- পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ৩বৎসর পূর্ণকালীন গবেষণা করার সুযোগ পাওয়া যায়।
ভর্তীর সময়:-
জাপানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বছরে দুটি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। সেগুলো হলো- এপ্রিল ১ থেকে সেপ্টেম্ব্বর ৩০ এবং ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান ফল সেমিস্টারে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) ভর্তি করে থাকে।
ভর্তি ফিঃ-
জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর টিউশন ফি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে পরিবর্তীত হয়। তাছাড়া অঞ্চল এবং প্রোগ্রাম এর উপর নির্ভর করেও টিউশন ফি বেশি হয়। সাধারণতই জাপানের স্থানীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের খরচ একটু বেশিই থাকে।
- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮,০০,০০০ লক্ষ্য টাকা।
- লোকাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছর প্রায় ১১,৩৭৭ ডলার মতো। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮,৫০,০০০ টাকা।
- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছর প্রায় ৭,৯৫৯ থেকে ৬১,১২৩ ডলার খরচ পড়বে। যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৭,০০,০০০ টাকা।
স্কলারশীপ:-
প্রতিবছর প্রচুর পরিমান শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশ থেকে জাপানে আসে উচ্চশিক্ষা গ্রহন করার জন্য। জাপানের সরকার সেই দিক বিবেচনয়া রেখে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের মেধা এবং বিগত ফলাফলের নির্ভর করে টিউশন ফি মউকুফ সব আর্থিক সহায়তা প্রদানের সুবিধা রেখেছে। একেই বলা হয় স্কলারশীপ। শিক্ষার্থীরা যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তীর সুযোগ পেয়েছেন সেই বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর স্বলারশীপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
যেসব বিষয়ে পড়া যাবে:-
হিউম্যান স্টাডিজ, লিঙ্গুইস্টিক স্টাডিজ, হিস্টোরিক্যাল স্টাডিজ, হিউম্যান সায়েন্স, এডুকেশনাল সায়েন্স, ল অ্যান্ড সোসাইটি, পাবলিক ল অ্যান্ড পলিসি, ইকোনমিক্স, ম্যানেজমেন্ট, অ্যাকাউন্ট্যান্সি, ফিজিক্স, অ্যাস্ট্রোনমি, জিওফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, আর্থ সায়েন্স, মেডিকেল সায়েন্স, ডিজঅ্যাবিলিটি সায়েন্স, ডেন্টিস্ট্রি, ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি, বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স, লাইফ সায়েন্স, মেকানিক্যাল সিস্টেমস অ্যান্ড ডিজাইন, ন্যানোমেকানিক্স, অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং, কোয়ান্টাম সায়েন্স অ্যান্ড এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স, অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, বায়োসলিকিউলার ইঞ্জিনিয়ারিং, মেটেরিয়াল সায়েন্স, মেটেরিয়ালস প্রসেসিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার অ্যান্ড বিল্ডিং সায়েন্স, ম্যানেজমেন্ট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, এডুকেশনাল ইনফরমেটিক্সসহ ইত্যাদি বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য আপনি জাপান যেতে পারেন।
ক্রেডিট ট্রার্স্নফার সুবিধা:-
জাপানের বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে অন্য দেশ থেকে ক্রেডিট ট্রাস্নফার করে ভর্তী হবার সুযোগ থাকে। সেক্ষেত্রে ক্রেডিটের উপর হিসাব করে টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। তবে জাপানের খুব বেশি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা পাওয়া যায় নাহ। প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বাদ রেখে বাকি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এই সুবিধা বিদ্যমান থাকে।
স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করুন
জাপানে স্টুডেন্ট ভিসা নামে কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। মূলত, স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়, যেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়। এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি জাপানে বসবাস করতে পারবেন না। জাপানে ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা অথবা ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) নামক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদনের জন্য আপনাকে যা যা সংযুক্ত করতে হবে
১. জাপানের সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার।
২. জাপানে থাকাকালীন আপনার থাকা, খাওয়া ও পড়ার খরচ বহন করার মতো পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৩. আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত নেই তার প্রমাণপত্র।
৪. আপনি পুরোপুরি সুস্থ তার প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল রিপোর্ট।
৫. জাপানে থাকাকালীন আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হবেন না, তার অঙ্গীকারনামা।
জাপানে থাকাকালীন আপনার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে তার প্রমাণপত্র হিসেবে যুক্ত করুন
১. জাপানের ব্যাংকে আপনার নিজের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট।
২. ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
৩. ব্যাংক ড্রাফট।
৪. এক বছরের থাকা ও পড়ার খরচ পরিশোধ হয়েছে, তার প্রমাণপত্র।
৫. যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফান্ডিং দিবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত চিঠি।
৬. আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তবে তার প্রমানপত্র।
দেশের বাহিরের উচ্চশিক্ষ্যা গ্রহনে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সবথেকে বড় প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয় কাজগ পত্রের যথার্থতা যাচাই করতে। তাছাড়া ভিসা, পাসপোর্ট সহ অন্য সকল সমস্যা তো আছেই। এই সক সমস্যার জন্য একজন শিক্ষার্থীর স্বপ্ন অপরিপূর্ণ থেকে যায়। কিন্তু যদি শিক্ষার্থীগন কোন বিশেষগ্যের সাহায্য আগন পরামর্শ গ্রহন করে তাহলে তারা এই সমস্যার সমধান খুজে পেতে পারে।
ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক তেমনি একটি প্রতিষ্ঠান যারা সাধারন শিক্ষার্থীদের এই সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে থেকে বিশেষগ্যের মতো। বাজারে এর সকল প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ‘’ট্র্যাভেল জু এবং জু ইনফোটেক” শীর্ষ স্থানীয়। ভিসা সহায়তা,পাসপোর্ট, কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার সহ অন্য সকল ধরনের সহায়তা পেতে যোগাযোগ করুন আমদের সাথে।
ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড
রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,
হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,
ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।
মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯৬– ৯৭