বাংলাদেশিদের জন্য তুরস্কের ই-ভিসা চালু
তুরস্ক ভ্রমণের জন্য বাংলাদেশিদের ই-ভিসা: বিস্তারিত তথ্য
২০১৩ সাল থেকে তুরস্ক বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে ই-ভিসা সার্ভিস চালু করেছে। এটি বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশের পর্যটকদের জন্য তুরস্কে প্রবেশ করা সহজ করে তুলেছে। বাংলাদেশের নাগরিকরাও এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে তুরস্কের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ই-ভিসার মাধ্যমে বাংলাদেশিরা তুরস্কে কী কী করতে পারবেন:
- অবকাশ যাপন: ই-ভিসা ব্যবহার করে পর্যটন ভিসার মাধ্যমে ৩০ দিন তুরস্কে অবস্থান করা যাবে।
- ব্যবসা: ব্যবসায়িক ভিসার মাধ্যমে ৯০ দিন তুরস্কে অবস্থান করা যাবে।
ই-ভিসার বৈধতা:
- তুর্কি ই-ভিসা দেশটিতে প্রবেশের তারিখ থেকে শুরু করে ১৮০ দিনের জন্য বহাল থাকে।
- কেউ অতিরিক্ত সময় অবস্থান করতে চাইলে একটি পৃথক তুর্কি ভিসার প্রয়োজন হবে।
ই-ভিসার সুবিধা:
- দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ব্যক্তিগতভাবে যেতে হবে না।
- অনলাইনে দ্রুত এবং সহজে আবেদন করা যাবে।
ই-ভিসার জন্য যোগ্যতা:
- বাংলাদেশ, ভারত, ইরাক, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান ইত্যাদি দেশ শুধু সিঙ্গেল এন্ট্রি ই-ভিসার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
- শেনজেন দেশ, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা আয়ারল্যান্ডের যেকোনো একটি থেকে বৈধ ভিসা বা পর্যটন ভিসা থাকতে হবে।
- অথবা শেনজেন দেশ, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা আয়ারল্যান্ডের যেকোনো একটি থেকে বসবাসের অনুমতি থাকতে হবে।
ই-ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- কমপক্ষে ছয় মাসের বৈধতাসহ একটি বৈধ পাসপোর্ট।
- তাদের ইনবক্সে ই-ভিসা পাওয়ার জন্য একটি বৈধ ই-মেইল ঠিকানা।
- ই-ভিসা ফি প্রদানের জন্য একটি ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড।
- একটি ফিরতি টিকিট।
- হোটেল বুকিং।
- ভ্রমণের জন্য আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- https://www.evisa.gov.tr/ ওয়েবসাইটে যান।
- “Apply Now” ক্লিক করুন।
- প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন।
- কাগজপত্র আপলোড করুন।
- ই-ভিসা ফি প্রদান করুন।
- আবেদন জমা দিন।
সাধারণত আবেদন অনুমোদন করতে 24 ঘন্টা সময় লাগে।