সাকা হাফং পবর্ত

1554

বহু আগে থেকেই আমাদের দেশে সরকারীভাবে কেওক্রাডাং [ উচ্চতা ৩১৯৬ ফুট ] কে সবোর্চ্চ পবর্ত হিসেবে  বলা হতো তারপর যখন শান্তিচুক্তি হয় তখন সরকার তাজিংডং পর্বতকে বিজয় পবর্ত হিসেবে নামকরণ করে একে বাংলাদেশের নতুন সবোর্চ্চ পবর্ত হিসেবে ঘোষনা করে যদিও তাজিংডং এর উচ্চতা মাত্র ২৮০০ ফুট । অফিসিয়ালি ঘোষনা না করা হলেও বাংলাদেশের নতুন আবিষ্কৃত সর্বোচ্চ চুড়ার নাম তল্যাং ময় বা সাকা হাফং। তল্যাং ময় বম শব্দ অর্থ সুন্দর পাহাড়। আর সাকা হাফং ত্রিপুরা বা টিপরা অর্থ পুবের পাহাড়। সাকাহাফং এর উচ্চতা প্রায় ৩৪৭৫ ফুট । ব্রিটিশ ভ্রমণকারী জীন ফুলেন ২০০৬ সালে এই পাহাড়টি জয় করেন এবং এর উচ্চতা জিপিএস দিয়ে মেপে ৩৪৯১ ফুট বলে ঘোষনা তাঁর দেখানো এ অবস্থান রাশিয়া নির্মিত ভৌগোলিক মানচিত্রে এর অবস্থানের সাথে হুবহু মিলে যায়। ২০০৭ সালে প্রথম বাংলাদেশী দল ত্লাংময় আরোহন করেন। ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বে সেই দলে ছিলেন দেশের এভারেস্ট আরোহনকারী পর্বতারোহী সজল খালেদ। মূলত সেই সময় থেকে পরিচিত হয়ে উঠে ত্লাংময় নামটি।

মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ বিভাগের এই অধ্যাপক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তথ্য প্রযুক্তিবিদ (জিও-ইনফর্মেটিক্স) ড. সাইদুর রহমান চৌধুরী।গবেষণা বিশ্লেষণে জানা গেছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০০ ফুটের অধিক উচ্চতাসম্পন্ন স্থানকে পর্বত (মাউন্টেন) বলা হয়। আবার উচ্চতা যত বেশিই হোক নির্দিষ্ট মাত্রার আশপাশের এলাকা থেকে কত উঁচু তার পরিমাপ (টপোগ্রাফিক্যাল প্রমিনেন্স) না থাকলে একটি পর্বতচূড়াকে স্বতন্ত্র শৃঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। কলোরাডো নিয়ম পদ্ধতিতে স্বতন্ত্র শৃঙ্গ হওয়ার জন্য একটি চূড়ার কমপক্ষে ৩০০ ফুট প্রমিনেন্স থাকতে হবে। গবেষক ৭৫টি পর্বতশৃঙ্গ চিহ্নিত করেছেন এবং তাদের উচ্চতা, প্রমিনেন্স ও ক্রম নির্ধারণ করেছেন। উচ্চতার ক্রমেই দেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ দেখানো হয়েছে বান্দরবানের সাকা হাফং।

যেভাবে যাবেনঃ-

বগালেক দিয়ে যেতে চাইলে রুমা বাজার থেকে আপনাকে গাইড নিতে হবে এখনকার গাইডরা অনেক শর্টকাট রাস্তা বের করে ফেলেছে দ্রুত সাকাহাফং এ পৌছানোর জন্য তারপরও রুমা বাজার থেকে ২/৩ দিন হাটতে হবে আপনাকে সাকাহাফং এ পৌছানোর জন্য । রুটটা অনেকটা এমন রুমা বাজার থেকে বগালেক >কেওক্রাডাং >পাসিংপাড়া>নয়াচরণপাড়া >নেপিউপাড়া>>>সাকাহাফং ।

তারপর সাজিয়াপাড়া ,নাফাখুম রেমাক্রি ,থানচি হয়ে বান্দরবনে পৌছে যেতে পারেন ।