সোনাদিয়া দ্বীপ

1160

বাংলাদেশের দক্ষিণ প্রান্তের সর্বশেষ জেলা কক্সবাজার। কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত হিসেবে পরিচিত। আমাদের পর্যটন নগরী এ কক্সবাজার। কক্সবাজার জেলার অন্যতম একটি দ্বীপের নাম সোনাদিয়া। স্থানীয় ভাষায় সোনাদিয়ার চর বলে। চারদিকে গভীর সমুদ্রের সাগরের ঢেউ সমৃদ্ধ এটি মূলত প্যারাদ্বীপ নামে পরিচিতি। এটি মহেশখালী উপজেলায় অবস্থিত। ষোলয়ানা প্রকৃতি বান্ধব পর্যটন হলে সোনাদিয়া এক উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় দ্বীপের নাম হতে পারে।

মহেশখালী থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে সাগরের বুকে সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত। দ্বীপটির আয়তন ৯ বর্গকিলোমিটার। ম্যানগ্রোভ ও উপকূলীয় বনের সমন্বয়ে গঠিত এই সুন্দর দ্বীপটি। সাগরের গাঢ় নীল জল, লাল কাঁকড়া, কেয়া বন, সামুদ্রিক পাখি সবমিলিয়ে এক ধরনের রোমাঞ্চিত পরিবেশ সবসময় বিরাজ করে এই দ্বীপে। এ দ্বীপের পানি এতোটাই স্বচ্ছ ও টলটলে, দেখে মনে হবে যেনো কোনো কাঁচের ওপর দিয়ে নৌযান এগিয়ে চলেছে। সমুদ্র থেকে সৃষ্টি হয়ে ভিতরের দিকে গিয়ে নদীটি কয়েকটি শাখা প্রশাখায় ছড়িয়ে অনেক দূর পর্যন্ত প্রবাহিত হয়েছে সম্ভবত। দুপাশে সবুজ বন। এসব বনে রয়েছে কেওড়া, হারগোজা, উড়িঘাস এবং কালো ও সাদা বৃক্ষ। এই দ্বীপে তেমন জনবসতি এখনো গড়ে ওঠেনি। তবে এই দ্বীপের বেশির ভাগ লোকই জেলে সম্প্রদায়ের। যাদের জীবিকা নির্বাহ হয় সমুদ্র থেকে মৎস্য আহরণের মাধ্যমে। আরো কিছু লোক দেখা যায় যারা লবণ চাষ করেও জীবিকা নির্বাহ করে। দ্বীপটির পশ্চিম দিকে সবুজ ঘাসে মোড়ানো খোলা মাঠ, নির্জনতা ও অফুরন্ত বাতাস, সব মিলিয়ে মন প্রশান্তিতে ভরে যাবে। এই দ্বীপের খোলা মাঠে বসলে মনে হবে যেনো অজানা-অচেনা কোনো দ্বীপে আপনি একা। চারপাশে লাল কাঁকড়ার ছুটাছুটির দৃশ্যগুলো খুবই মনোরম।

যেভাবে যাবেনঃ-

মহেশখালী গোরকঘাটা থেকে ঘটিভাঙা পর্যন্ত পথটুকু যেতে হবে বেবিট্যাক্সিতে করে। মহেশখালীর গোরকঘাটা থেকে ঘটিভাঙার দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। সেখান থেকে আবার ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে সোনাদ্বিয়া দ্বীপে যেতে হয়। ঘটিভাঙা নেমে ছোট নৌকায় সোনাদিয়া চ্যানেল পার হলেই নয়নাভিরাম দ্বীপ সোনাদিয়া।