হোটেল-রেস্তোরাঁ ক্ষণকালীন বসবাস ও আহারের কিংবা শুধুই আহারের জন্য নির্ধারিত স্থান। এটি ব্যবসায়িক ভিত্তিতে ব্যক্তি মালিকানায় বা সরকারিভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে।
বাংলাদেশে হোটেল ব্যবসা সৃষ্টির ইতিহাসঃ-
বাংলাদেশে পূর্বে এ ব্যবসার বিশেষ প্রচলন ছিল না। ঐতিহ্যগতভাবে এদেশের জনসাধারণ তাদের অতিথিদের নিজ বাড়িতে রাখে এবং বাড়িতেই তাদের খানাপিনার ব্যবস্থা করে থাকে। অতিথি বা আত্মীয়-স্বজনদের হোটেলে রাখা বা তাদের রেস্তোরাঁয় আপ্যায়ন করার প্রস্তাব একটি নিন্দনীয় বিষয় বলে গণ্য হতো। ব্রিটিশ শাসনামলে সরকারি কর্মচারী ও তাদের অতিথিরা ডাক বাংলো বা সার্কিট হাউজে রাত্রিবাস বা আহারের জন্য যেত। বিশ শতকের পঞ্চাশ এবং ষাটের দশকে বাংলাদেশে জেলা পর্যায়ে ওয়াপদা (পানি ও বিদ্যৎ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) তাদের দেশি ও বিদেশি প্রকল্প বিশেষজ্ঞদের জন্য বেশকিছু রেস্ট হাউজ তৈরি করে। জেলা পর্যায়েও সরকার তাদের নিম্নপদস্থ কর্মচারীদের জন্য অনেক রেস্ট হাউজ তৈরি করে। ষাটের দশক থেকে পর্যটন শিল্পকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য পর্যটন কর্পোরেশন দেশের বিভিন্ন জায়গায় হোটেল ও মোটেল তৈরি করতে শুরু করে। দেশের শহর বন্দরে ব্যক্তিমালিকানায় ছোট ছোট বহু হোটেল-রেস্তোরাঁ রয়েছে। এসব জায়গা ব্যবসায়ী এবং যারা মামলা-মোকদ্দমা করতে আসে তাদের থাকা-খাওয়ার সুবিধার জন্য। দেশের প্রথম উচ্চমানের হোটেল গড়ে ওঠে ঢাকার শাহবাগে। এটি পঞ্চাশের দশকে সরকারি পর্যায়ে তৈরি হয়, উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি অতিথিদের আবাস ও আহারের ব্যবস্থা করা এবং বড় আকারের অভ্যর্থনা, লাঞ্চ ও ডিনারের ব্যবস্থা করা। ষাটের দশকে ঢাকায় সরকারি পর্যায়ে ৩০০ কামরার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল তৈরি করা হয় বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর গত তিন দশকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেসরকারি উদ্যোগে অনেক নতুন হোটেল এবং রেস্তোরাঁ তৈরি করা হয়। অনেকগুলি হোটেল-রেস্তোরাঁ অপেক্ষাকৃত কম খরচে ভাল আবাস ও আহারের ব্যবস্থা করে থাকে। ঢাকার উচ্চমর্যাদার আবাসিক এলাকা গুলশান, বারিধারা, বনানী, ধানমন্ডি ও উত্তরায় এ ধরনের কয়েক ডজন অতিথি ভবন গড়ে উঠেছে এবং এগুলি বেশ জনপ্রিয় হচ্ছে। যেসব বিদেশি ব্যবসায়ী এদেশে বেশিদিন থাকে তারা এসব অতিথি ভবন পছন্দ করে। কারণ এখানে খরচ অনেক কম। ঢাকা, চট্টগ্রামে এবং অন্যান্য শহরেও শত শত নতুন নতুন রেস্তোরাঁ তৈরি হয়। এসব রেস্তোরাঁয় চাইনিজ, থাই, কোরিয়ান, জাপানিজ, ইন্দোনেশিয়ান এবং দক্ষিণ ভারতীয় খাবার পাওয়া যায়। খুলনাতেও সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ভাল হোটেল এবং রেস্তোরাঁ গড়ে ওঠেছে। ঢাকা এবং চট্টগ্রামে বেশ কতগুলি ক্লাব তাদের সদস্যদের জন্য ভাল থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করে। প্রতিনিয়ত অনেক ফাস্টফুড রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠছে যেখানে স্যান্ডউইচ, পিৎজা, কাবাব, হটডগ, বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন এবং কোলড্রিং পাওয়া যায়।
বাংলাদেশের কয়েকটি শীর্ষ স্থানীয় পাঁচ তারকা বিশিষ্ট হোটেলের নাম এবং ঠিকানা –
১. সোনারগাঁও হোটেল ইন্টারন্যাশনাল লিঃ
১০৭ নং কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, ঢাকা।
২. ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা
১ নং মিন্টু রোড, ঢাকা-১০০০।
৩. রেডিশন ওয়াটার গার্ডেন হোটেল
এয়ারপার্ট রোড, জোয়ারসাহারা, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ঢাকা।
৪. ইউনিক হোটেল এন্ড রিসোর্ট লিঃ
প্লট নং ০১, সি ডব্লিউ এন, বি, রাস্তা-৪৫, গুলশান-২, ঢাকা।
৫. হোটেল সারিনা লিঃ
হাউজ নং ২৭, রোড নং ১৭, বনানী বা/এ, ঢাকা-১২১৩।
৬. ঢাকা রিজেন্সী হোটেল এন্ড রিসোর্ট
এয়ারপার্ট রোড, নিকুঞ্জ ২, ঢাকা-১২২৯।
৭. লো মেরিডিয়ান ঢাকা
৭৯/এ বাণিজ্যিক এলাকা, এয়ারপোর্ট রোড, নিকুঞ্জ-২, খিলক্ষেত, ঢাকা-১২২৯।
৮. ডরিন হোটেলস এন্ড রিসোর্টস লিঃ
৬/এ নথ গুলশান এভিনিউ বাণিজ্যিক এলাকা, গুলশান-২, ঢাকা।
৯. সী-গাল হোটেল লিমিটেড
হোটল-মোটেল জোন, কক্সবাজার বীচ, কক্সবাজার।
১০. ওসেন প্যারাডাইস লিমিটেড
প্লট নং ২৮ ও ২৯, কলাতলী রোড, কক্সবাজার।
১১. সায়মন বীচ রিসোর্ট লিঃ
মেরীন ড্রাইভ রোড, কলাতলী, কক্রবাজার।
১২. রেডিশন ব্লু বে ভিউ
এস এস খালেদ রোড, লালখান বাজার, চট্রগ্রাম।
১৩. রয়্যাল টিউলিপ সী পার্ল বীচ রিসোর্ট এন্ড স্পা
জালিয়া পালং, ইনানী, উখিয়া, কক্সবাজার।
১৪. গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ
রাধানগর, বালিশীর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার।
১৫. মম ইন লিমিটেড
নওদাপাড়া রংপুর রোড, বগুড়া।
১৬. হোটেল জাবীর প্যারাডাইস লিমিটেড
১২৫৬, এম.এম. আলী রোড, যশোর-৭৪০০।
ভ্রমণ কথাটির সাথে হোটেল শব্দটি অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। যেকোন ভ্রমণকারী কিংবা পর্যটক তার নির্ধারিত ভ্রমণ গন্তব্যে পৌঁছাবার আগেই সেখানে তার থাকার ব্যবস্থার নিশ্চয়তা চায়। তাই বর্তমানে সকল ট্র্যাভেল এজেন্ট তার গ্রাহকের হোটেল সুবিধা সুনিশ্চিত কররা ব্যপারে খুবই সতর্ক।
বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় ভ্রমণ কিংবা পর্যটন খাতের সাথে সম্পর্কিত সেবা সমূহ নিয়া অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কাজ করে। সে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মতো “ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ” একটি ভ্রমণ বিষয়ক সেবা প্রদানকারী সংস্থা। আমরা মূলত ভ্রমণ সংরান্ত সেবা সমূহ নিয়া কাজ করি। দীর্ঘদিন ধরে নিরঙ্কুশ ভাবে সকল প্রকার পর্যটক কিংবা ভ্রমণ পিয়াসু মানুষদের উক্ত বিষয়ে বিভিন্ন সেবা এবং পরিশেবাদি প্রদান করার মধ্য দিয়ে আজ আমরা বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ ট্র্যাভেল বিষয়ক সেবা প্রদান কারী সংস্থার সম্মান অর্জন করতে পেরেছি।
“ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ” তার গ্রাহকদের ভ্রমণ বিষয়ক অন্য সকল সেবার সাথে “হোটেল” সেবা প্রদান করে থাকে। যে কোন ভ্রমকারি “ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ” এর মাধম্যে বিশ্বের যে কোন হোটেলে তাদের পছন্দের এবং চাহিদা অনুযায়ী কক্ষ নির্বাচন করতে পারেন। “ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ” তাদের গ্রাহকদের উন্নত মানের সেবা প্রদান করাতে বদ্ধ্য পরিকর।
ভ্রমণ বিষয়ক যেকোনো সেবা পেতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুণ।
ট্র্যাভেল জু বাংলাদেশ লিমিটেড বা জু ইনফোটেক বাংলাদেশ লিমিটেড
রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,
হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,
ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ।
মোবাইল নাম্বার: ০১৯৭৮৫৬৯২৯০– ৯১