ফ্রান্স ভিসা আবেদনের নিয়ম
অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, ইতালি, লাতভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, এবং সুইজারল্যান্ডে একক ভিসায় ভ্রমণ ব্যবস্থা হল সেনজেন ভিসা। এ ভিসা নিয়ে ইউরোপের এই ২৬টি দেশে স্বাধীনভাবে ভ্রমণ করা যায় এবং সর্বোচ্চ ৯০ দিন থাকা যায়। এ ভিসার মেয়াদ ৬ মাস, অর্থাৎ ৬ মাসের মধ্যে যেকোনো ৯০ দিন ইউরোপের দেশগুলোতে কাটানো যায়। ইউরোপে প্রবেশের প্রথম দিন থেকে দিন গণনা শুরু হয়। তবে সেনজেন ভিসার আওতায় স্থায়ীভাবে বসবাস বা কাজের অনুমতি দেয়া হয় না।ফ্রান্স ভিসা আবেদনের নিয়ম
- ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস থেকে বিজনেস ভিসা এবং ভ্রমণ ভিসা দু’ধরনের সেনজেন ভিসাই দেয়া হয়। তবে ব্যবসা ভিসা কাজের অনুমতি দেয় না, কেবল বাণিজ্য সংক্রান্ত যোগাযোগের জন্য এ ভিসা।
- ঢাকাস্থ ফ্রান্স দূতাবাস থেকে অস্ট্রিয়া এবং পর্তুগালের জন্যও সেনজেন ভিসা ইস্যু করা হয়।
ভিসা আবেদন প্রোসেস সংক্রান্ত:
যোগাযোগ করুন আমাদের ভিসা সহায়ক ব্যবাস্হাপক এর সাথে
মোবাইল:(+88) 01978569293)
ওয়েবসাইট: www.airwaysoffice.com
ই-মেইল: myvisaapplicationinfo@gmail.com
অনলাইনে আবেদন করার জন্য এখানে ক্লিক করুন
সেনজেন (Schengen) ভিসা আবেদনের নিয়ম
- যিনি ফ্রান্স যেতে ইচ্ছুক তাকেই ব্যক্তিগতভাবে আবেদন করতে হবে। কোন ট্রাভেল এজেন্ট বা অন্য কেউ আবেদন করতে পারেন না।
- মূল গন্তব্য দেশের দূতাবাসে আবেদন করতে হবে। আর গন্তব্য স্থির না থাকলে প্রথম গন্তব্য যে দেশ সে দেশের দূতাবাসে আবেদন করতে হবে। কাজেই মূল গন্তব্য বা প্রথম গন্তব্য ফ্রান্স হলেই কেবল এ ধরনের ভিসার জন্য ফ্রান্স দূতাবাসে আবেদন করা যাবে।
- তিন সপ্তাহ থেকে তিন মাস সময় নিয়ে ভিসার আবেদন করার পরামর্শ দেয়া হয়।
- ভিসা পাওয়ার জন্য অন্তত ১০ কর্মদিবস অপেক্ষা করতে হবে। এ সময়ে অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে যোগাযোগ করা হয়।
- ভিসা আবেদন এবং ভিসা ফি জমা দেয়া ভিসা প্রাপ্তির নিশ্চয়তা দেয় না।
- ভিসা ইস্যু হওয়ার পর ভ্রমণের উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনা যায় না।
- সকল কাগজপত্রের ফটোকপি এবং মূলকপি প্রদর্শন করতে হবে।
- কাগজপত্রগুলো ইংরেজি বা ফরাসী ভাষায় অনুদিত হতে হবে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
১। পাসপোর্ট (অন্তত ছয় মাসের মেয়াদ থাকতে হবে)
২। পাসপোর্ট সাইজ ছবি (২ কপি)
৩। ৪ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (ব্যবসায়ীদের জন্য ব্যাংক ব্যাল্যান্স ১৫-২০ লক্ষ টাকা এবং চাকরিজিবিদের জন্য ৫-১০ লক্ষ টাকা থাকতে হবে)
৪। ব্যাংক সলভেন্সি লেটার
৪। ট্যাক্স রিটার্ন
৫. ট্যাক্স সনদ
৬। ট্রেড লাইসেন্স ইংরেজিতে ট্রান্সলেট করা (শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের জন্য)
৭। কোম্পানির লেটার প্যাড ও ভিজিটিং কার্ড
৮। ম্যারেজ সার্টিফিকেট (সস্ত্রীক ভ্রমনের ক্ষেত্রে) / বার্থ সার্টিফিকেট (অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে)
৯। অন্তত ৩-৪ টি দেশে ভ্রমন করা থাকতে হবে
তবে বিজনেস ভিসার জন্য আরও কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হয়:
- ভ্রমণের উদ্দেশ্যে প্রমাণের জন্য সেনজেন দেশগুলোর কোথায় যাওয়া হচ্ছে তা উল্লেখ করে সেমিনার বা ওয়ার্কশপের আমন্ত্রণপত্র দেখাতে হয়,
- আমন্ত্রণকারী ভ্রমণ ব্যয় বহন করলে তার প্রমাণপত্রও দিতে হয়,
- ব্যবসার রেজিষ্ট্রেশন এবং ট্রেড লাইসেন্সের কপি,
- হোটেল বুকিং এর কাগজ পত্রের কপি।
অন্যান্য তথ্য:
আমাদের ভিসা প্রসেসিং ফি ১৮০০টকা (অর্থ প্রদানের জন্য এখানে ক্লিক করুন)
সকল কাগজপত্রের মূলকপি ও ফটোকপি জমা দিতে হবে, আর সব কাগজপত্র অবশ্যই বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিতে হবে।
প্রস্তুতি:
ফ্রান্সে যাওয়ার আগে ফ্রান্সের ভাষা এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে জেনে নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় দূতাবাস থেকে। এজন্য অলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ধানমন্ডি, বারিধারা বা উত্তরা শাখায় যোগাযোগ করা যেতে পারে। এখানে ফরাসী চলচ্চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন ধরনের প্রদর্শনী ও কনসার্ট আয়োজন করা হয়। ওয়েবসাইট: www.afdhaka.org
যেকোনো দেশের এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, হেলিকপ্টার সার্ভিস, টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এবং প্যাকেজ ট্যুর করে থাকি। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নিচের ঠিকানায়।
zooFamily (community of aviation & travel)