সুন্দরবন – ৫| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

846

ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের একটি রুট হলো ঢাকা – পটুয়াখালী। এই রুটে চলাচল করে সুন্দরবন – ৫ লঞ্চটি। এই লঞ্চটি ২০০০ ইং সালে তৈরী করা হয়। এই কোম্পানীর সর্বমোট ৮ টি লঞ্চ রয়েছে। তন্মধ্যে ৫ টি লঞ্চ যাত্রীবাহী এবং বাকী ৩ টি মালবাহী কাজে নিয়োজিত।

 

প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা ও ফোন নাম্বার

  • এই লঞ্চ কোম্পানির প্রধান কার্যালয় বরিশালে অবস্থিত। এটি বরিশাল শহরের উদয়ন স্কুলের গেইটের বিপরীত পাশে অবস্থিত। এছাড়া সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে যোগাযোগ করা যায়।
  • যোগাযোগের নাম্বার :+৮৮-০১৭১১-৩৫৮৮৩৮ ও  ০১৭১৪-০১৭২৭২

 

কোম্পানীর লঞ্চগুলোর নাম ও যোগাযোগ নাম্বার

সুন্দরবন – ২ ০১৭২৪-৯৫৫৬০০
সুন্দরবন – ৩ ০১৭১৪-৬৬৮৯০০
সুন্দরবন – ৪ ০১৭১১-৪৪১০২৪
সুন্দরবন – ৫ ০১৭৩৪-০০১৭২২
সুন্দরবন – ৬ ০১৭১১-৩৫৮৮১০

 

 

গন্তব্য ও ছাড়ার সময়

এই কোম্পানীর লঞ্চগুলো সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের ৬ নাম্বার পল্টুন থেকে পটুয়াখালী, বগা, বরিশাল, ঝালকাঠির উদ্দেশ্যে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬:৩০ টায় ছেড়ে যায়। আর উপরোক্ত জেলাসমূহ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে প্রতিদিন সকাল ৬:৩০ টায়। সাপ্তাহিক কোন বন্ধ নেই।

 

 

ধারণক্ষমতা ও আয়তন

তিনতলা বিশিষ্ট এই লঞ্চটির আয়তন ২,৫০০ বর্গমিটার। মোট যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৫০০ জন এবং মালামাল ধারণ ক্ষমতা ১ টন।

 

 

আসন সমূহ ও সুবিধা

এই লঞ্চটিতে তিন ধরনের আসন ব্যবস্থা বিদ্যমান। (১) ভি.আই.পি  (২) ২য় শ্রেণী ও (৩) ৩য় শ্রেণী। ভি.আই.পি আসনের কেবিনগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত, ডাবল বেড, এ্যাটার্চ বাথরুম, পরিপাটি সজ্জা, টেলিভিশন, ফ্রিজ রয়েছে। ২য় শ্রেণীর সিঙ্গেল ও ডাবল কেবিনগুলোতে পরিপাটি সজ্জা, টেলিভিশন, সাউন্ড সিষ্টেম, চেয়ার-টেবিল। আর ৩য় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য রয়েছে সুপরিসর ডেক ব্যবস্থা। এই শ্রেণীর যাত্রীরা ডেকে বিছানা পেতে শুয়ে বসে নিজ নিজ গন্তব্যে গিয়ে থাকে। ডেকে বিনোদনের জন্য টেলিভিশন ব্যবস্থা রয়েছে।

 

 

টিকেট মূল্য

প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধার ভিত্তিতে টিকেটের মূল্য নির্ধারিত হয়ে থাকে।

শ্রেণী ভাড়া (টাকা)
ভি.আই.পি ৩,৫০০/-
ডাবল কেবিন ১৮০০/-
সিঙ্গেল কেবিন ১০০০/-
৩য় শ্রেণী (ডেক) ২০০/-
ডিলাক্স ২০০০/-

 

কেবিন সংখ্যা, বুকিং ও টিকেট

এই লঞ্চটিতে ভি.আই.পি, ডাবল ও সিঙ্গেল মিলিয়ে মোট ৩৫ টি কেবিন রয়েছে। অগ্রীম কেবিন বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ নাম্বার – ০১৭১৪-০১৭২৭২। বুকিং নিশ্চিত করার জন্য লঞ্চ ছাড়ার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে লঞ্চে উপস্থিত হতে হবে।

যাত্রাকালে লঞ্চেই টিকেট পাওয়া যায়। এছাড়া ফোনের মাধ্যমে অগ্রীম টিকেট বুকিং দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। যাত্রা বাতিল করতে চাইলে যাত্রার ১ ঘন্টা পূর্বে জানাতে হয়। উল্লেখ্য ১২ বছরের অনুর্ধ্ব শিশুদের টিকেট লাগে না।

 

লঞ্চের বিভিন্ন স্তরে কর্মরত স্টাফদের নাম ও ফোন নাম্বার

সাধারন স্টাফ
মো: বাশার ০১৯৩৬-৫২৪৬৪৯
মো: সজিব ০১৯২৩-৩৭৫৩১৭
মো: কামাল ০১৬৭৪-১২২২১১
প্রথম শ্রেণী চেয়ার সার্ভিস বয়
মো: শিশির ০১৭২৪-৩৬১৭৭৬
মো: নাসির ০১৯২৩-৩৭৫৩১৭
মো: সাখাওয়াত ০১৭১৪-০১৭২৭২
কেবিন বয়
মো: মুজিবর ০১৭১৬-১০৩০৩৫
মো: ফয়সাল ০১৭২৪-৫২৪০১৫
মো: বাচ্চু ০১৯২৩-৫৩৪৪১১

 

লঞ্চ পরিচালনায়

নদীপথে লঞ্চ পরিচালনায় মোট ৪ জন ব্যক্তি নিয়োজিত আছেন।

বজলুর রহমান (চালক) ০১৭১২-৩৮৪০০১
নুরুল ইসলাম (মাস্টার ইনচার্জ) ০১৭৩৪-০০১৭২২
মুজিবর (মাস্টার) ০১৭১৬-১০৩০৩৫
মোস্তফা মিয়া (ড্রাইভার – ৩য় শ্রেণী)

 

ক্যান্টিন

লঞ্চের অভ্যন্তরে নিচতলায় একটি ক্যান্টিন রয়েছে। ক্যান্টিনে প্রাপ্ত পণ্য সমূহের মধ্যে রয়েছে – চিপস, আইসক্রীম, চকলেট, বিভিন্ন ধরনের কোমল পানীয়, মিনারেল ওয়াটার, সিঙ্গারা, সমুচা, চা ইত্যাদি।

চিপস ১৫/-
সিঙ্গারা ৬/-
সমুচা ৮/-
পুড়ি ৫/-

 

নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলা

লঞ্চে আরোহিত যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। তবে যাত্রী বীমা করণের কোন ব্যবস্থা নেই। এছাড়া যেকোন দুর্যোগে যাত্রীদের জীবন রক্ষার জন্য লাইফ জ্যাকেট না থাকলেও ১০৪ টি বয়া ও ১০ টি টায়ার রয়েছে। এগুলো প্রতি ফ্লোরের দুই দিকে ছাদের অংশে এবং কেবিনের পাশে সারিবদ্ধভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। প্রতিটি বয়া ৪ জন যাত্রী বহন করতে পারে।

 

 

মালামাল বহন ও খরচ

লঞ্চে আরোহন কারী প্রত্যেক যাত্রী বিনা মাশুলে ১০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বহন করতে পারবে। এর অতিরিক্ত প্রতি কেজির জন্য ৩ টাকা হারে চার্জ প্রদান করতে হবে। লঞ্চের মালামাল পরিবহনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির মোবাইল নাম্বার – ০১৭১৪-০১৫২৫২। ঘাটের কুলি চার্জ নিম্নরূপ –

কেজি সার্ভিস চার্জ
১০ কেজি ১০/-
২০ কেজি ২০/-
৪০ কেজি ৫০/-
৬০ কেজি ৫০/-
স্টীল বা কাঠের আলমারী ১০০/-
কাপড়ের গাইড ৫০/-

 

নামাজ আদায়

লঞ্চে আরোহনকারী যাত্রীদের জন্য আলাদা স্থানে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে। লঞ্চের ৩য় তলায় এই স্থানটি সংরক্ষিত যেখানে একসাথে ৩০ জন মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারেন।

 

টয়লেট

এই লঞ্চে মোট ১৫ টি টয়লেট রয়েছে। ভি.আই.পি শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট সুবিধা, ২য় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট এবং ৩য় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য পৃথক টয়লেট সুবিধা থাকলেও মহিলা/পুরুষদের জন্য আলাদা টয়লেট সুবিধা নেই।

 

 

বিবিধ

  • জরুরী প্রয়োজনে যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য ফার্স্ট এইড ব্যবস্থা রয়েছে।
  • লঞ্চ চড়ে আটকে গেলে অন্য লঞ্চ বা জাহাজের সাহায্য নেয়া হয়। ক্ষেত্রবিশেষে যাত্রীদের পানিতে নেমে ধাক্কা দিয়ে সহায়তা করতে হয়।
  • এই রুটের নিয়মিত চলাচলকারী লঞ্চ বিধায় এই লঞ্চটি রিজার্ভ ভাড়া নেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
  • সাধারণত ২ নম্বর সংকেত পর্যন্ত চলাচল করতে পারে। ৩ নম্বর সংকেত দেখা দিলে আর চলাচল করে না।
  • লঞ্চের পরিবেশ খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন।