এম. ভি সৈকত – ১| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

741

ঢাকা থেকে নদীপথে দক্ষিণাঞ্চলের একটি রুট হল ঢাকা টু পটুয়াখালী। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে এই রুটে যাতায়াত করে  এম. ভি সৈকত – ১।

 

যোগাযোগ

সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। আবার ফোনের মাধ্যমেও যোগাযোগ করা যায়।

মোবাইল:+৮৮- ০১৭১২-০২৩১০০

 

গন্তব্য ও ছাড়ার সময়

এই লঞ্চটি ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বিকাল ৫.৪৫ মিনিটে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

 

ধারণক্ষমতা

তিনতলা বিশিষ্ট এই লঞ্চটি সর্বমোট ৫১৯ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন।

 

আসন সমূহ ও সুবিধা

এই লঞ্চটিতে দুই ধরনের আসন ব্যবস্থা বিদ্যমান। প্রথম শ্রেণীর আসন ব্যবস্থা হিসেবে রয়েছে ডাবল ও সিঙ্গেল কেবিন। কেবিনগুলোতে রয়েছে পরিপাটি বিছানা, ফ্যান, লাইট, চেয়ার-টেবিল। ২য় শ্রেণীর আসন ব্যবস্থা হিসেবে রয়েছে সুবিস্তৃত ডেক ও বেঞ্চ। ডেকে যাত্রীরা বিছানা পেতে শুয়ে বসে যাতায়াত করে।

 

টিকেট মূল্য

শ্রেণী ভাড়া (টাকা)
ডাবল কেবিন ১৮০০/-
সিঙ্গেল কেবিন ১০০০/-
ডেক ২০০/-

 

 

কেবিন সংখ্যা,বুকিং ও টিকেট

এই লঞ্চটিতে ডাবল ও সিঙ্গেল মিলিয়ে মোট ১৮ টি কেবিন রয়েছে। অগ্রীম কেবিন বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ নাম্বার – ০১৭১২-০২৩১০০। বুকিং নিশ্চিত করার জন্য লঞ্চ ছাড়ার কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে লঞ্চে উপস্থিত হতে হবে।  এছাড়া যাত্রাকালে লঞ্চেই টিকেট পাওয়া যায়। যাত্রা বাতিল করতে চাইলে যাত্রার ২ ঘন্টা পূর্বে জানাতে হয়। ১২ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের যাত্রার জন্য কোন টিকেট লাগে না।

 

 

মালামালের ভাড়া

মালামালের বিবরণ পরিমাণ লঞ্চের চার্জ কুলির মজুরি
বিভিন্ন ধরনের লাগেজ, ব্যাগ রাস্তা থেকে স্টিমার বা লঞ্চ পর্যন্ত (একজন শ্রমিক) অনাধিক ১০ কেজি (১ টি ব্যাগ)

অনাধিক ২০ কেজি (১ টি ব্যাগ)

অনাধিক ৩০ কেজি (২ টি ব্যাগ)

অনাধিক ৪০ কেজি (১ টি ব্যাগ)

অনাধিক ৪০ কেজি (২ টি ব্যাগ)

অনাধিক ৬০ কেজি (২ টি ব্যাগ)

দরকার পড়ে না ১০ টাকা

২০ টাকা

৩০ টাকা

৩০ টাকা

৪০ টাকা

৫০ টাকা

ষ্টীল বা কাঠের আলমারি (একাধিক শ্রমিকের ক্ষেত্রে) প্রতিটি সর্বোচ্চ ওজন ১০০ কেজি ৩০০ টাকা ১০০ টাকা
কাপড়ের গাইড (একাধিক শ্রমিক) প্রতিটি ৫০ কেজি। ৫০ কেজির বেশি হলে ২০ কেজির জন্য ১৫০ টাকা ৫০ টাকা

১০ টাকা

কাঠের বা ষ্টীলের খাট প্রতিটি ৩০০ টাকা ১০০ টাকা
কাঠের, ষ্টিলের, বেতের চেয়ার, টেবিল প্রতিটি ১৫০ টাকা ২০ টাকা
ফ্রিজ সকল আয়তনের প্রতিটি ২৫০ টাকা ৫০ টাকা
টেলিভিশন সকল ধরনের প্রতিটি ১০০ টাকা ২০ টাকা
হাডওয়ার/ অন্যান্য মালামাল/ কার্টুন/ ফ্যান/ ঝুড়ি ৫০ কেজি প্রতিটি ২০০ টাকা ৪০ টাকা
মোটর সাইকেল (প্রতিটি) প্রতিটি ১০০ টাকা ২৫০ টাকা
সিলিং ফ্যান, টেবিলফ্যান প্রতিটি দরকার পড়ে না ২০ টাকা

 

 

নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলা  

লঞ্চে আরোহিত যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আনসার বাহিনীর সদস্য ও নিজস্ব কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। যেকোন দুর্যোগে যাত্রীদের জীবন রক্ষার জন্য ১২০ টি বয়া রয়েছে। এগুলো প্রতি ফ্লোরের দুই দিকে ছাদের অংশে এবং কেবিনের পাশে সারিবদ্ধভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। প্রতিটি বয়া ৪ জন যাত্রী বহন করতে পারে।

 

 

ক্যান্টিন

লঞ্চে আরোহিত যাত্রীদের খাবার সুবিধার্থে লঞ্চের নিচতলায় একটি ক্যান্টিন রয়েছে। ক্যান্টিনে সাধারণ চা-বিস্কুটের পাশাপাশি ভাত-তরকারীও পাওয়া যায়। ক্যান্টিনে রুম সার্ভিস ব্যবস্থা বিদ্যমান।

চা (প্রতি কাপ) ৬/-
বিস্কুট (প্রতি পিস) ৪/-
কেক (প্রতি পিস) ১০/-
ভাত (প্রতি প্লেট) ১৫/-
সিদ্ধ ডিম ২০/-
ইলিশ মাছ (প্রতি পিস) ৯০/-
গরুর মাংস ভুনা (হাফ) ১২০/-
মুরগীর মাংস ১৬০/-
মিনারেল ওয়াটার (১ লিটার) ৩০/-
কোমল পানীয় (১ লিটার) ৭০/-
চিপস ১৫/-

 

 

নামাজ আদায়

লঞ্চে আরোহনকারী যাত্রীদের জন্য আলাদা স্থানে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে। লঞ্চের ৩য় তলায় এই স্থানটি সংরক্ষিত যেখানে একসাথে ১০ জন মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারেন। নামাজের বিছানা লঞ্চের ৩য় তলায় মাস্টার ব্রীজ – এ সংরক্ষিত থাকে।

 

 

টয়লেট

এই লঞ্চে মোট ৬ টি টয়লেট রয়েছে। কেবিন যাত্রীদের জন্য প্রতি ফ্লোরে ১ টি করে ২ টি টয়লেট রয়েছে এবং ডেক যাত্রীদের জন্য নিচতলায় মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা ২ টি করে ৪ টি টয়লেট রয়েছে।

 

বিবিধ

  • জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা থাকে।
  • লঞ্চ চরে আটকে গেলে অনেক সময় অন্য লঞ্চের সাহায্য নেয়া হয়। অনেক সময় লঞ্চ উদ্ধারের জন্য যাত্রীদেরও এগিয়ে আসতে হয়।
  • দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ২ নম্বর সতর্ক সংকেত পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করতে পারে। ৩ নম্বর সংকেত দেখানো হলে আর চলাচল করে না।