পারাবত ১১ লঞ্চটি ঢাকা বরিশাল রুটে চলাচল করে। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে পুরো লঞ্চটি রিজার্ভও করা যায়।
যোগাযোগ
সদরঘাট অফিস বা বরিশাল অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে যেকোন তথ্যের জন্য। যোগাযোগের ফোন নম্বর: +৮৮-০১৭১১-৩৩০৬৪২।
যাত্রার সময়
রাত ৮:৪০ মিনিটে ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চটি বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে বরিশাল যাওয়া আসার সময় দীর্ঘ হওয়ার কারণে প্রতি তিন দিনে একটি যাত্রা সম্পন্ন করে থাকে লঞ্চটি।
ভাড়ার তালিকা
শ্রেণী | ধারনক্ষমতা | ভাড়া | ঈদের সময় ভাড়া |
ডেক | – | ২০০/- | ২৪০/- |
সিংগেল কেবিন | ০১ | ৮৫০/- | ৯৫০/- |
ডাবল কেবিন | ০২ | ১৬০০/- | ১৯০০/- |
ফ্যামিলি কেবিন | ০২ | ১৮০০/- | ২৫০০/- |
ভিআইপি কেবিন | ০২ | ৪০০০/- | ৫০০০/- |
০২ | ৫০০০/- | ৫৫০০/- | |
ডিলাক্স |
০২ | ১২০০/- | ১৬০০/- |
কেবিন সংখ্যা,বুকিং ও টিকেট
- এই লঞ্চটিতে ভি.আই.পি কেবিন রয়েছে ২ টি।
- দ্বিতীয় শ্রেণীর ডাবল ও সিঙ্গেল মিলিয়ে মোট ৩০ টি কেবিন রয়েছে।
- অগ্রীম কেবিন বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ নাম্বার – ০১৭১১-৩৪৪৭৪৫।
- বুকিং নিশ্চিত করার জন্য লঞ্চ ছাড়ার কমপক্ষে ১.০০ ঘন্টা আগে লঞ্চে উপস্থিত হতে হবে।
- যাত্রাকালে লঞ্চেই টিকেট পাওয়া যায়।
- এছাড়া ফোনের মাধ্যমে অগ্রীম টিকেট বুকিং দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
- যাত্রা বাতিল করতে চাইলে যাত্রার ২ ঘন্টা পূর্বে জানাতে হয়।
- ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের কোন টিকেট লাগে না।
নামাজ আদায়
লঞ্চে আরোহনকারী যাত্রীদের জন্য আলাদা স্থানে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে। লঞ্চের ৩য় তলায় এই স্থানটি সংরক্ষিত যেখানে একসাথে ২০ জন মুসল্লী নামাজ আদায় করতে পারেন। নামাজের বিছানা লঞ্চের ৩য় তলায় মাস্টার ব্রীজে সংরক্ষিত রয়েছে।
নিরাপত্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলা
লঞ্চে আরোহিত যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে নিজস্ব নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। যেকোন দুর্যোগে যাত্রীদের জীবন রক্ষার জন্য ৮০ টি বয়া ও ১০ টি টায়ার ও অগ্নি নিরাপত্তায় ৪ টি ফায়ার বাকেট রয়েছে। এগুলো প্রতি ফ্লোরের দুই দিকে ছাদের অংশে এবং কেবিনের পাশে সারিবদ্ধভাবে সংরক্ষিত রয়েছে। প্রতিটি বয়া ৪ জন যাত্রী বহন করতে পারে।
জরুরী প্রয়োজনে যাত্রীদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য ফার্স্ট এইড ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণত ২ নম্বর সংকেত পর্যন্ত চলাচল করতে পারে। ৩ নম্বর সংকেত দেখা দিলে আর চলাচল করে না।
টয়লেট
- এই লঞ্চে মোট ১৬ টি টয়লেট রয়েছে।
- ভি.আই.পি শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য প্রতিটি কেবিনে ১ টি করে টয়লেট রয়েছে।
- ২য় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য মহিলা ও পুরুষ পৃথক ২ টি করে ৪ টি করে টয়লেট প্রতি ফ্লোরে রয়েছে।
- ৩য় শ্রেণীর যাত্রীদের জন্য লঞ্চের নিচতলার শেষ প্রান্তে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক ৩ টি করে ৬ টি টয়লেট রয়েছে।
সঙ্গে নেওয়া পণ্য সামগ্রীর তালিকা ও কুলির মজুরি
ক্রমিক নং | বিবরণ | মালামালের পরিমাণ | মজুরী হার টাকায় |
১ | বিভিন্ন ধরনের লাগেজ / ব্যাগেজ
রাস্তা থেকে লঞ্চ/ স্টিমার পর্যন্ত অথবা লঞ্চ/স্টিমার থেকে রাস্তা পর্যন্ত পিঠে/মাথায়/হাতে বহযোগ্য। (একজনা কুলির ক্ষেত্রে) |
অনাধিক ১০ কেজি (১টি ব্যাগ) | ১০/- |
অনাধিক ২০ কেজি (১টি ব্যাগ) | ২০/- | ||
অনাধিক ৩০ কেজি (২টি ব্যাগ) | ৩০/- | ||
অনাধিক ৪০ কেজি (১টি ব্যাগ) | ৩০/- | ||
অনাধিক ৪০ কেজি (২টি ব্যাগ) | ৪০/- | ||
অনাধিক ৬০ কেজি (১টি ব্যাগ) | ৪০/- | ||
অনাধিক ৪০ কেজি (২টি ব্যাগ) | ৫০- | ||
২ | স্টীল/কাঠের আলমারী
(একাধিক শ্রমিকের ক্ষেত্রে) |
প্রতিটি (সর্বোচ্চ ওজন ১০০ কে,জি পর্যন্ত) | ১০০/- |
৩ | কাপড়ের গাইট
(একাধিক শ্রমিকের ক্ষেত্রে) (ভ্যান বা মাথায়) |
প্রতিটি (৫০ কে.জি পর্যন্ত) | ৫০/- |
৫০ কেজির ঊধ্বে প্রতি ২০ কেজির জন্য | ১০/- | ||
৪ | কাঠের/স্টীলের খাট সাকুল্যে | প্রতিটি | ১০০/- |
৫ | কাঠের /স্টীলের/বেতের টেবিল/চেয়ার | প্রতিটি | ২০/- |
৬ | ফ্রিজ (সকল আয়তনের) | প্রতিটি | ৫০/- |
৭ | টেলিভিশন (সকল ধরনের) | প্রতিটি | ২০/- |
৮ | হার্ডওয়্যার মালামাল/ অন্যান্য মালামাল
(কার্টুন/প্যাকেট/ঝুড়ি ইত্যাদি) |
৫০ কে.জি পর্যন্ত প্রতিটি | ৪০/- |
৯ | মোটর সাইকেল | প্রতিটি | ২৫/- |
১০ | বাইসাইকেল | প্রতিটি | ২০/- |
১১ | সিলিং ফ্যান/টেবিল ফ্যান/ অন্যান্য তৈজস পত্র | প্রতিটি | ২০/- |
বিবিধ
- জরুরি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা থাকে।
- লঞ্চ চরে আটকে গেলে অনেক সময় অন্য লঞ্চের সাহায্য নেয়া হয়। অনেক সময় লঞ্চ উদ্ধারের জন্য যাত্রীদেরও এগিয়ে আসতে হয়।
- দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণত ২ নম্বর সতর্ক সংকেত পর্যন্ত লঞ্চ চলাচল করতে পারে। ৩ নম্বর সংকেত দেখানো হলে আর চলাচল করে না।