নদীমাতৃক বাংলাদেশে লঞ্চ অন্যতম যোগাযোগ মাধ্যম। ঢাকা-মাদারীপুর রুটে এম ভি দ্বীপরাজ চলাচল করে। মেসার্স বেগম ট্রান্সপোর্টের মালিকানাধীন এই লঞ্চটি ২০০১ সালে নির্মাণ করা হয়।
যোগাযোগ
- ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। তাছাড়া মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যায়।
- যোগাযোগ নাম্বার: +৮৮-০১৭১৬-২১৭২৭৬।
যাত্রাপথে যে সকল স্থানে যাত্রী উঠা-নামা করা হয়
১. | মৃধার হাট |
২. | রামচর |
৩. | ছবিপুর |
৪. | অন্দারচর |
৫. | সাহেব রামপুর |
এই সকল লঞ্চে ধারণ ক্ষমতা ৩৬৯ থেকে ৭৯১ জন। লঞ্চগুলোর আয়তন ১৩০ ফুট × ২৯ ফুট। লঞ্চগুলো তিন তলা বিশিষ্ট।
শ্রেণী ও কেবিন ভাড়া নিম্নরূপ
শ্রেণী | ভাড়া | সুবিধা |
৩য় শ্রেণী | ১৬০/- | ফ্লোরিং |
কেবিন (সিঙ্গেল) | ৫০০/- | ফ্যান |
কেবিন (ডাবল) | ৮০০/- | ফ্যান |
এই লঞ্চে মোট ৩২ টি কেবিন আছে। সাধারণত ৩ থেকে ১২ বছরের নীচে বয়স্কদের টিকেট ফ্রি। যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তার দায়িত্বে ৪ জন আনসার থাকেন। তবে যাত্রী সাধারণের কোন বীমা করা নেই।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে ৪ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত আছেন। নৌ দূর্ঘটনা সহ অন্যান্য দূর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পেতে গৃহীত ব্যবস্থাসমূহ নিচে দেওয়া হল।
লাইফ বয়া | ৬০টি |
ফায়ার বাকেট | ১৩টি |
অগ্নি – নির্বাপক সিলিন্ডার | ৬টি |
বালির বালতি | ২টি |
হস্তচালিত পাম্প | ১টি |
উপরোক্ত যন্ত্রপাতি গুলো প্রতি তলায় ছাদের সাথে এক কোণায় রাখা আছে।
উক্ত লঞ্চটি ঢাকা থেকে ১ দিন পর পর যাতায়াত করে। অর্থাৎ একদিন ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় এবং তার পরের দিন মাদারীপুর থেকে ছেড়ে আসে।
ঢাকা থেকে মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে ছাড়ে | সন্ধ্যা ৭:৪৫ মি:। |
মাদারীপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে | দুপুর ২:০০ মি:। |
অন্যান্য
- লঞ্চের অভ্যন্তরে নামাজের ব্যবস্থা আছে। একসাথে ১৫ জনের মত লোক নামাজ পড়তে পারে।
- যাত্রী সাধারণের সুবিধার্থে ফাস্ট এইড বক্সও মজুত আছে।
- লঞ্চের অভ্যন্তরে ক্যান্টিন ও ফাস্ট ফুড শপ আছে।
- মালামাল পরিবহনে সরকার নির্ধারিত চার্জ নেওয়া হয়।
- কোন প্রকার অগ্রীম টিকেট প্রদান করা হয় না। যাত্রার সময় লঞ্চের অভ্যন্তরেই টিকেট পাওয়া যায়।