দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য

2520

 

দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য

বাংলাদেশী নাগরিকদেরকে দক্ষিণ কোরিয়া স্টুডেন্ট ভিসা, ভিসিট ভিসা, বিজনেস ভিসা, জব ভিসা দিয়ে থাকে। ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সময়মত ব্যবস্থা করতে না পারলে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। তথ্যগুলো আগে থেকে জেনে নেওয়াই ভাল। কোরিয়ান ভিসা সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য বাংলা টেলিগ্রাফের পাঠকদের জন্য দেওয়া হলো।দক্ষিণ কোরিয়ার ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য

সকল ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ—

– ভিসার জন্য নির্ধারিত আবেদনপত্র (বড় হাতের অক্ষরে পূরণ করতে হবে)

-সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি

– পাসপোর্ট (ন্যূনতম ছয়মাস মেয়াদ থাকতে হবে)

-বৈধ পাসপোর্টের প্রথম পাঁচ পাতার ফটোকপি (বর্তমানে এমআরপি পাসপোর্টে আবেদন করাই ভালো/ইপিএস ভিসার ক্ষেত্রে এমআরপি বাধ্যতামূলক)

-কনস্যুলার বরাবর আবেদনপত্র

– ব্যাংক স্টেটমেন্ট (ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট সহ)

– এয়ার টিকেট বুকিং স্লিপ

বি দ্রঃ সকল বাংলা কাগজপত্রের ইংরেজী অনুবাদ জমা দিতে হবে।

স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আরো যা লাগবেঃ

– ১৫ মাসের মেয়াদ সহ পাসপোর্ট ও পাসপোর্টের প্রথম পাঁচ পাতার ফটোকপি
– সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজ ছবি (এই ছবি আবেদন ফরমের নির্ধারিত জায়গায় লাগাতে হবে)
– ভিসার জন্য আবেদনকারীর নিজ হাতে লেখা আবেদন পত্র

– ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত ভর্তির সার্টিফিকেট (মূল কপি ও ফটোকপি)
– আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মূলকপি ও ফটোকপি

-আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন (বার্থ সার্টিফিকেট) এর মূল কপি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্বাক্ষরিত সত্যায়িত ফটোকপি

বি দ্রঃ অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় এইটা নিয়ে। সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউন্টারে কোন বার্থ সার্টিফিকেট জমা নেয়না। এইজন্য আগে থেকেই অন্যকোন ভাবে কাউন্টার পাস নিয়ে ভিতরে গিয়ে সত্যায়িত করতে হয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই সাথে নোটারী কপি সাথে নিয়ে যাবেন।

– সিটি কর্পোরেশন (সমমান) থেকে দেয়া ফ্যামিলি রিলেশন সার্টিফিকেট

– একাডেমিক ও অন্যান্য খরচ বহন করা হবে এই মর্মে কোন সার্টিফিকেট (সাধারণত স্কলারশীপ দাতা প্রতিষ্টান বা প্রফেসররা এইটা দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন স্কলারশীপ হলে কতৃপক্ষ ভর্তির সার্টিফিকেটের সাথেই এই সার্টিফিকেট পাঠিয়ে থাকে।অন্যথায় একাডেমিক ও থাকা খাওয়ার খরচ বহনের জন্য আবেদনকারীর নিজের অথবা তার অভিভাবকের অর্থনৈতিক সামর্থের প্রমানপত্র দিতে হবে)
– মাতাপিতার সম্মতিপত্র (সাধারণত ৫০ টাকার স্ট্যাম্পে)

-মাতাপিতার বাংলাদেশী পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের ফটোকপি

– পুলিশ ভেরিফিকেশন যা অবশ্যই স্বরাষ্ট্র অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে (এটি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গেলে খুব সহজেই সত্যায়িত করা যায়)

– শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদের মূলকপি ও ফটোকপির নোটারী করাতে হবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে (এটি প্রথমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সত্যায়িত কপি নিয়ে আবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়ে সত্যায়িত করতে হবে)

বি দ্রঃ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়ার আগে সকল সার্টিফিকেট সংশিষ্ট বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সত্যায়িত করে নিতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাউন্টারে (সচিবালয়ের ৯ নং কাউন্টার) সকালে জমা দিলে বিকেলে পাওয়া যায়। কিন্তু বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ে সত্যায়িত করার জন্য সময় লাগবে।

বিজনেস ভিসার জন্য আরো যা লাগবেঃ

-আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর বিজনেস রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট (কোরিয়ার ট্যাক্স অফিস থেকে ইস্যু করা হয়)

– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর আমন্ত্রণপত্র ও কোরিয়া থাকা অবস্থায় সকল সাপোর্ট দিবে এমন একটি সার্টিফিকেট
– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর সাথে ব্যবসায়িক সম্পর্ক (এলসি, আমদানী চুক্তি ইত্যাদি-যদি থাকে)
– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর অফিশিয়াল প্যাডে ভিসা রিকোয়েস্টিং লেটার

– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর কর্পোরেট সার্টিফিকেট অথবা ট্রেড লাইসেন্স সার্টিফিকেট
– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট

– আমন্ত্রণকৃত কোম্পানীর ব্যাংক স্টেটমেন্ট ও যিনি আবেদন করবেন তার ব্যক্তিগত ব্যাংক স্টেটম্যান্ট (সর্বশেষ ৬ মাস)

ট্যুরিস্ট ভিসার জন্য আরো যা লাগবেঃ

– ভিসা রিকোয়েস্টিং লেটার

– কোরিয়ার ভ্রমণ পরিকল্পনা

-বিমান টিকেটের বুকিং স্লিপ

– হোটেল বুকিং স্লিপ/ যেখানে থাকবেন তার ঠিকানা এবং ওখানে যে থাকবেন তার প্রমাণপত্র
– ব্যক্তিগত অথবা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (সর্বশেষ ছয় মাস)

-আবেদনকারীর প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক সনদপত্র অথবা ট্রেড লাইসেন্স (যদি থাকে)

-আবেদনকারীর ইনকাম ট্যাক্স সার্টিফিকেট (যদি থাকে)

-আবেদনকারীর প্রতিষ্ঠান থেকে কাজে নিয়োগের ইপ্লয়মেন্ট সার্টিফিকেট

-আমন্ত্রণপত্র এবং কোরিয়ায় সাপোর্ট সার্টিফিকেট (যদি থাকে)

ইপিএস ভিসাঃ

ইপিএস ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বোয়েসেল সরবরাহ করবে এবং বোয়েসেল পুরো বিষয়টি তদারকি করে। সেক্ষেত্রে ইপিএস ভিসার আবেদনকারীগণ বোয়েসেলের নির্দেশনা মেনে চললেই হবে।কোরিয়ান দূতাবাসের সময়সূচিঃ 

কর্মদিবসঃ রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার

আবেদনপত্র গ্রহণঃ ৯টা-সাড়ে ১২টা

ডেলিভারি প্রদানঃ ৯টা-সাড়ে ১২টা এবং ২টা-৫টা

সাধারণত সাত দিনেই ভিসা প্রসেসিং সম্পন্ন হয়। তবে বিভিন্ন কারণে দেরিও হতে পারে। ভিসা

সেকশন থেকে ডেলিভারী নেওয়ার জন্য ফোন করা হয়।

ভিসা ফিঃ   সিংগেল (৯০ দিন পর্যন্ত) – ৩০ ডলারের সমপরিমাণ টাকা

সিংগেল (৯০ দিনের বেশি) – ৫০ ডলারের সমপরিমাণ টাকা

মাল্টিপল – ৮০ ডলারের সমপরিমাণ টাকা

কোরিয়ান দূতাবাসে ফোন/ইমেইল করে জেনে নিতে পারেন বিস্তারিতঃ

ঠিকানাঃ বাসা নং ৪, মাদানী এভিনিউ, বারিধারা, ঢাকা। (আমেরিকান দূতাবাসের উত্তর পশ্চিম কোণে)
ফোন : (০২)৮৮১২০৮৮-৯০
ফ্যাক্স : (০২)৮৮২৩৮৭১
ইমেইল : embdhaka@mofat.go.kr
consuldhaka@mofat.go.kr (ভিসা সেকশন )
ওয়েবসাইটঃ http://bgd.mofat.go.kr/english/as/bgd/main/index.jsp

 আমাদের ভিসা প্রসেসিং ফি  ১৮০০টকা (অর্থ প্রদানের জন্য এখানে ক্লিক করুন)

 ভিসা আবেদন প্রোসেস সংক্রান্ত:

যোগাযোগ করুন আমাদের ভিসা সহায়ক ব্যবাস্হাপক এর সাথে

মোবাইল:(+88) 01978569293)

ওয়েবসাইট:  www.airwaysoffice.com
ই-মেইল: myvisaapplicationinfo@gmail.com

 

কোরিয়ান আকর্ষণীয় জায়গাগুলির সংখ্যা এত বেশি যে আপনার নিজের দ্বারা কোনও ছুটির অনুষ্ঠান আঁকানো কেবল অসম্ভব, বিশেষত যদি কোনও ভ্রমণকারীদের এই দেশে থাকার অভিজ্ঞতা না থাকে। সুতরাং এয়ারওয়েজ অফিস নিম্নলিখিত ধরণের ট্যুর তৈরি করে।

  1. সারা বছর ভ্রমণ;
  2. Holidays ছুটির জন্য বুকিং;
  3. এয়ার টিকেটিং
  4. হোটেল বুকিং
  5. পেকেজ ট্যুর
  6. হেলিকপটার সার্ভিস
  7. টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং

 

যেকোনো দেশের এয়ার টিকেট, হোটেল বুকিং, হেলিকপ্টার সার্ভিস, টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং এবং প্যাকেজ ট্যুর করে থাকি। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন নিচের ঠিকানায়।

zooFamily (community of aviation & travel)

রোড ৩, হোল্ডিং ৩, সুইট ৩৪,হ্যাপি আর্কদিয়া শপিং মল,ধানমণ্ডি,ঢাকা ১২০৫, বাংলাদেশ। মোবাইল নাম্বার: ০১৭৬৮২৩২৩১১