চিম্বুক পাহাড়

2226

বাংলার দার্জিলিং নামে খ্যাত চিম্বুক পাহাড় বান্দরবানের সবচেয়ে পুরনো পর্যটন স্পট। চিম্বুক পাহাড় বান্দরবানের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র । পাহাড়ের পর পাহাড় এখানে মালা গাথে আপন মহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। বান্দরবানের অন্যতম দর্শনীয় স্থান  চিম্বুক পাহাড় যার অবস্থান জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে। চিম্বুক পাহাড়ের উচ্চতা সমুদ্র পৃষ্ট হতে  প্রায় ২৬০০ ফুট। এ পাহাড়ের পাশেই রয়েছে আদিবাসী ম্রো সম্প্রদায়ের বসবাস।  বান্দরবান জেলার সব উপজেলার সঙ্গে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষার জন্য এখানে বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ড একটি বেইজ স্টেশন ও টাওয়ার স্থাপন করেছে। পর্যটকদের দৃষ্টিতে যা খুবই আকর্ষণীয়। এছাড়া পাহাড়ের চূড়া থেকে চারদিকের সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য্য প্রকৃতিপ্রেমীদের টেনে আনে সহজেই।

পুরো বান্দারবান জেলাই প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরপুর। বান্দরবান থেকে পুরো রাস্তা আকাবাঁকা উচুনিচু। চারিপাশের সবুজ পাহাড় আর বনরাজি দেখে চোখ জুড়িয়ে যাবে।কোথাও সবুজ, কোথাও কালচে সবুজ আবার কোথাও কচি সবুজের ছড়াছড়ি। দীর্ঘকায় পাহাড়গুলো যেন মেঘের চাদরমুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে আকাশের কোলে। অসাধারন সে মিতালী। পাহাড়ের ফাঁকদিয়ে সূর্যের আলো গলে পড়ছে অন্য পাহাড়ে। মাঝে মাঝে পাহাড়ের ঢালে ছোট ছোট পাহাড়ী ঘর। নয়নাভিরাম সে দৃশ্য। চিম্বুক পাহাড় থেকে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের নিচ দিয়ে মেঘ ভেসে যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা যায়।এখান থেকে পার্শ্ববর্তী জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন উপজেলাগুলোকে দেখা যায়। বর্ষা মৌসুমে চিম্বুক পাহাড়ের পাশ দিয়ে ভেসে যাওয়া মেঘ দেখে মনে হয় মেঘের স্বর্গরাজ্য চিম্বুক। মেঘের হালকা হিম ছোঁয়া যেন মেঘ ছোয়ার অনুভূতি। এ পাহাড়কে  বাংলার দার্জিলিং বলা হয়। চিম্বুক পাহাড় থেকে সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের দৃশ্য যেকোনো পর্যটককে মুগ্ধ করবে।

যেভাবে যাবেন:-

চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী এবং পূর্বাণী নামক দুটি ডাইরেক্ট নন এসি বাস আছে ৩০ মিঃ পর পর বান্দরবানের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। বান্দরবন শহর থেকে চান্দেরগাড়ী কিংবা জীপগাড়ী করে যাওয়া যায় চিম্বুকে।