চাঁদপুর জেলা| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

1707

পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্হলে এ জেলা অবস্থিত। চাঁদপুরের মানুষ আতিথেয়তার জন্য বিখ্যাত। ইলিশ মাছের অন্যতম প্রজনন অঞ্চল হিসেবে চাঁদপুরকে “ইলিশের বাড়ি ” নামে ডাকা হয়। ১৯৮৪ সালের আগ পর্যন্ত এটি বৃহত্তর কুমিল্লার একটি অংশ ছিল।

নামকরনের ইতিহাস:-

১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ শাসনামলে ইংরেজ জরিপকারী মেজর জেমস রেনেল তৎকালনি বাংলার যেমানচিত্র অংকন করেছিলেন তাতে চাঁদপুর নামে এক অখ্যাত জনপদ ছিল। তখন চাঁদপুরের দক্ষিণেনরসিংহপুর নামক ( বর্তমানে যা নদীগর্ভে বিলীন) স্থানে চাঁদপুরের অফিস-আদালত ছিল। পদ্মা ও মেঘনারসঙ্গমস্থল ছিল বতৃমান স্থান থেকে পাওয়া প্রায় ৬০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে। মেঘনা নদীর ভাঙ্গাগড়ার খেলায়এ এলাকা বর্তমানে বিলীন। বার ভূঁইয়াদের আমলে চাঁদপুর অঞ্চল বিক্রমপুরের জমিদার চাঁদরায়ের দখলেছিল। ঐতিহাসিক জে.এম সেনগুপ্তের মতে চাঁদরায়ের নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কথিত আছেচাঁপুরের (কোড়ালিয়া) পুরিন্দপুর মহল্লার চাঁদ ফকিরের নামানুসারে এ অঞ্চলের নাম চাঁদপুর। কারো কারোমতে, শাহ আহমেদ চাঁদ নামে একজন প্রশাষক দিল্লী থেকে পঞ্চদশ শতকে এখানে এসে একটি নদী বন্দরস্থাপন করেছিলেন। তাঁর নামানুসারে চাঁদপুর। ১৮৭৮ সালে প্রথম চাঁদপুর মহকুমার সৃষ্টি হয়। ১৮৯৬সালের ১ অক্টোবর চাঁদপুর শহরকে পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১৫ ই ফেব্রুয়ারী চাঁদপুর জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।মড়

সীমানা:-

রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব প্রায় ৯৬ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদর থেকে প্রায় ২০৮ কিলোমিটার। এ জেলার দক্ষিণে লক্ষ্মীপুর জেলা ও নোয়াখালী জেলা; পূর্বে কুমিল্লা জেলা, উত্তরে কুমিল্লা জেলা, মেঘনা নদী ও মুন্সিগঞ্জ জেলা এবং পশ্চিমে মেঘনা নদী, মুন্সিগঞ্জ জেলা, শরিয়তপুর জেলা ও বরিশাল জেলা অবস্থিত। পদ্মা ও মেঘনা নদী দুটি চাঁদপুর শহরের কাছে এসে মিলেছে।

চাঁদপুর জেলায় মোট ৮টি উপজেলা:-

০১ কচুয়া

০২ চাঁদপুর সদর

০৩ ফরিদগঞ্জ

০৪ মতলব উত্তর

০৫ মতলব দক্ষিণ

০৬ শাহরাস্তি

০৭ হাইমচর

০৮ হাজীগঞ্জ

কৃতী ব্যক্তিত্ব:-

আ ন ম এহসানুল হক মিলন –– প্রাক্তন প্রতিমন্ত্রী।

আইউব আলী খান –– ভাষা সৈনিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ।

আজিজ আহমেদ –– সেনাপ্রধান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

আতিকুল ইসলাম –– সংগীত শিল্পী।

আমিন উল্লাহ শেখ –– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আবদুর রব মিঞা –– ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ।

আবদুল আউয়াল –– ভাষা সৈনিক, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের অগ্রসেনানী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ

আবদুল জব্বার পাটোয়ারী –– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আবদুল হাকিম –– বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আবদুল হালিম –– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আব্দুল্লাহ সরকার –– রাজনীতিবিদ।

আবু ওসমান চৌধুরী –– সেক্টর কমান্ডার, ৮নং সেক্টর, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ।

আবু তাহের –– বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আবুল কাশেম ভূঁইয়া –– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আবুল হোসেন –– বীর প্রতীক খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

আব্দুল করিম পাটওয়ারী –– মুক্তিযুদ্ধের সংগটক।

আমেনা বেগম –– রাজনীতিবিদ।

আলমগীর হায়দার –– প্রাক্তন সংসদ সদস্য।

আহমদ জামান চৌধুরী –– চলচ্চিত্র সাংবাদিক, চলচ্চিত্রের কাহিনী, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও গীতিকার।

ইসমাঈল হোসেন বেঙ্গল –– বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিবাহিনীর বেঙ্গল প্লাটুনের কমান্ডার এবং রাজনীতিবিদ।

এম এ ওয়াদুদ –– ভাষা সৈনিক এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগটক।

এম এ মাওলানা আবদুল মান্নান –– প্রাক্তন মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্য।

এম বি মানিক –– চিত্র পরিচালক, বিএফডিসি।

এলাহী বক্স পাটোয়ারী –– বীর বিক্রম খেতাব প্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

বিখ্যাত খাবার:-

ইলিশ

বিখ্যাত স্থান:-

শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দির

মনসামুড়া

দোয়াটি

সাহারপাড়ের দীঘি

উজানীতে বেহুলার পাটা

তুলাতলি মঠ

সাহেবগঞ্জ নীলকুঠি

লোহাগড় মঠ

রূপসা জমিদারবাড়ি

হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ

হজরত মাদ্দা খাঁ (রহ.) মসজিদ

বলাখাল জমিদারবাড়ি

নাসিরকোর্ট শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সমাধিস্থল

নাগরাজাদের বাড়ি

মঠ ও দীঘি

নাওড়া

শাহরাস্তির (রহ.) মাজার

তিন গম্বুজ মসজিদ ও প্রাচীন কবর

যোগাযোগ ব্যবস্থা:-

চাঁদপুর জেলায় যোগাযোগের প্রধান সড়ক হল ঢাকা-চাঁদপুর মহাসড়ক এবং চট্টগ্রাম-চাঁদপুর মহাসড়ক। সব ধরণের যানবাহনে যোগাযোগ করা যায়। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলা শহর থেকে নৌপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে।