ঢাকার বাস টার্মিনাল| ট্র্যাভেল নিউজ বাংলাদেশ

1686

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ঢাকার তিনটি বাস টার্মিনাল হল সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, গাবতলী বাস টার্মিনাল ও মহাখালী বাস টার্মিনাল। গুলিস্তানের দক্ষিন-পশ্চিমে অবস্থিত ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালটি বিআরটিসির তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়।

সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল
ঢাকা শহরের প্রধান কয়েকটি আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালের অন্যতম সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল। ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে যেকোন পরিবহনে চড়ে খুব সহজেই সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে পৌঁছানো সম্ভব। এসব পরিবহনের মধ্যে রয়েছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, প্রাইভেট কার, লোকাল বাস এবং সিটি সার্ভিস বাস। লোকাল বাসগুলোর মধ্যে উত্তরা-মহাখালি এলাকা থেকে মগবাজার হয়ে সায়েদাবাদ পৌছানোর গাড়িগুলো হল- ৩/বি, বলাকা, হিমালয়। উত্তরা, বাড্ডা, রামপুরা হয়ে সায়েদাবাদ পৌছানোর লোকাল বাস হচ্ছে তুরাগ ও পিপলস তুরাগ। এছাড়া গাবতলী, ফার্মগেট, শাহবাগ হয়ে সায়েদাবাদ পোঁছানোর বাস হচ্ছে ৮ নং, ২১ নং, ২২ নং, ১২ নং ও মিরপুর হয়ে সায়েদাবাদ পোঁছানোর গাড়ি সিল্ক সিটি, চয়েজ, শিকড়, শিখর, ট্রান্স সিলভা বাস। মোহাম্মদপুর- ধানমন্ডি (শংকর)- জিগাতলা-আজিমপুর হয়ে সায়েদাবাদ পৌছানোর গাড়ি ১৩ নং গাড়ি, এছাড়া গুলিস্তান থেকে অন্যান্য স্থান থেকে সায়েদাবাদ রুটে প্রচুর গাড়ি রয়েছে। সায়েদাবাদ আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল থেকে সাধারণত সিলেট, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, চাঁদপুর, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ফেনী, নোয়াখালী, হবিগঞ্জ, ব্রাক্ষ্মণ বাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর, বরিশাল জেলার উদ্দ্যেশ্যে গাড়ি ছেড়ে যায়।

এই বাস টার্মিনালটি প্রায় ১০ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। এটি ডেমরা পুলিশ স্টেশনের অধীনে যাত্রাবাড়ীর পশ্চিমে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ১৯০০ (প্রায়) টি বাস রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।

গাবতলী বাস টার্মিনাল:
রাজধানীর ব্যস্ততম আন্ত:জেলা বাস টার্মিনালগুলোর একটি হচ্ছে গাবতলী বাস টার্মিনাল। গাবতলী বাস টার্মিনাল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৫ সালে। এই টার্মিনালের আয়তন প্রায় ৮০০ বর্গ মিঃ। এখান থেকে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের সকল জেলার বাস ছেড়ে যায়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বাসের মাধ্যমে খুব সহজেই গাবতলী বাস টার্মিনালে পোঁছানো যায়। এসব যানের মধ্যে রয়েছে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ভাড়ায় চালিত ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রো কার, প্রাইভেট কার, লোকাল ও সিটি সার্ভিস বাস। কাঁচপুর ব্রীজ থেকে যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ, মতিঝিল, শাহবাগ, ফার্মগেট হয়ে গাবতলী যেতে রয়েছে ২২/এ নং, সিটি সার্ভিস (সাবেক ৭ নং)। এছাড়াও মহাখালি, বনানী সহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো থেকে গাবতলী পৌঁছার জন্য রয়েছে বিভিন্ন বাস সার্ভিস। গাবতলী আন্ত:জেলায় গেটলক (লাক্সারিয়াস চেয়ার কোচ) বাসগুলো ছেড়ে যায় সেগুলো হল- ফরিদপুর, পটুয়াখালি, মাদারীপুর, বরিশাল, রাজবাড়ি, পাবনা, রাজশাহী, চাপাইনবানগঞ্জ, বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, রংপুর, লাল মনিরহাট, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, চুয়াডাঙ্গা, নীলফামারী, নড়াইল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ।

গাবতলী বাস টার্মিনালটি ৫.৫ একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। এটি মিরপুর থানার অধীনে অবস্থিত। এই বাস টার্মিনালে প্রায় ১৪০০ বাস রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।

মহাখালী বাস টার্মিনাল
রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল হচ্ছে মহাখালি বাস টার্মিনাল। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের অধীনে এই বাস টার্মিনালটি ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, ভাড়ায় চালিত ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রো কার, প্রাইভেট কার, লোকাল ও সিটি সার্ভিস বাসের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে খুব সহজেই মহাখালি বাস টার্মিনালে পৌঁছানো যায়।

মহাখালীর ফ্লাইওভারের দক্ষিণে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় মহাখালী বাস টার্মিনালের অবস্থান। এটিও গাবতলীর সমান জায়গা নিয়ে অর্থাৎ ৫.৫ একর জমির একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। এখানে ৭০০ (প্রায়) টি বাস রাখার ব্যবস্থা রয়েছে।

মহাখালি আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল থেকে যেসব জেলায় বাস ছেড়ে যায় সেগুলো হল:
• ময়মনসিংহ
• টাঙ্গাইল
• নেত্রকোণা
• শেরপুর
• বি-বাড়িয়া
• বগুড়া
• সিরাজগঞ্জ
• নওগা
• জামালপুর
• কিশোরগঞ্জ