বাগেরহাট দক্ষিণ পশ্চিম বাংলাদেশের একটি জেলা। এটি খুলনা বিভাগ এর অন্তর্গত।বাগেরহাটে প্রথম বসতি স্থাপন করে অনার্য শ্রেণীর মানুষ। এদের মধ্যে রয়েছে ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চল হতে আসা অস্ট্রিক ও দ্রাবিড় এবং মঙ্গোলীয় আলপাইন প্রভৃতি। এ অঞ্চলে অনার্য প্রভাবের বড় নিদর্শন হল পৌন্ড্রক্ষত্রিয় সম্প্রদায়। এ জেলার বিভিন্ন স্থানে বিশেষ করে রামপাল উপজেলায় এ সম্প্রদায়ের লোক বেশি বাস করে।
নামকরনের ইতিহাস:-
সুন্দরবনে বাঘের বাস
দাড়টানা ভৈরব পাশ
সবুজ শ্যামলে ভরা
নদী বাঁকে বসতো যে হাট
তার নাম বাগের হাট।
এক সময় বাগেরহাটের নাম ছিল খলিফাতাবাদ বা প্রতিনিধির শহর। খানজাহান আলী (রঃ) গৌড়েরসুলতানদের প্রতিনিধি হিসেবে এ অঞ্চল শাসন করতেন। কেউ কেউ মনে করেন, বরিশালের শাসক আঘাবাকের এর নামানুসারে বাগেরহাট হয়েছে। কেউবা বলেন, পাঠান জায়গীদার বাকির খাঁ এর নামানুসারেবাগেরহাট হয়েছে। আবার কারো মতে, বাঘ শব্দ হতে বাগেরহাট নাম হয়েছে। জনশ্রুতি আছে খানজাহানআলী (রঃ) এর একটি বাগ(বাগান, ফার্সী শব্দ) বা বাগিচা ছিল। এ বাগ শব্দ হতে বাগেরহাট। কাো মতে,নদীর বাঁকে হাট বসতো বিধায় বাঁকেরহাট। বাঁকেরহাট হহতে বাগেরহাট।
অবস্থান ও আয়তন:-
বাগেরহাট জেলার উত্তরে গোপালগঞ্জ ও নড়াইল জেলা, পশ্চিমে খুলনা জেলা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পূর্বে পিরোজপুর ও বরগুনা জেলা। এ জেলার আয়তন ৫৮৮২.১৮ বর্গকিলোমিটার; তারমধ্যে ১৮৩৪.৭৪ বর্গকিলোমিটার বনাঞ্চল, ৪০৫.৩ বর্গকিলোমিটার জলাশয় এবং অবশিষ্টাংশ নিম্ন-সমভূমি। বাগেরহাট জেলা সদরের অধিকাংশ ভৈরব নদীর পশ্চিম তীরে এবং শহরের বর্ধিত অংশ ভৈরবের দক্ষিণ প্রবাহ দড়াটানার পশ্চিম তীরে অবস্থিত।
বাগেরহাট মোট ৯ টি উপজেলা
কচুয়া
চিতলমার
ফকিরহাট
বাগেরহাট সদর মোংলা
মোড়েলগঞ্জ
মোল্লাহা
রামপাল শরণখোলা
কৃতী ব্যক্তিত্ব:_
কবি ও সাহিত্যিক মতিউর রহমান মল্লিক ৷
অধ্যাপক ও সাহিত্যিক ডঃ হালিমা খাতুন ৷
রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ, কবি ৷
রুবেল হোসেন ক্রিকেট খেলোয়াড় ৷ ড. নীলিমা ইব্রাহিম, সাহিত্যিক।
বিখ্যাত খাবার:-
চিংড়ি
সুপারি
বিখ্যাত স্থান:-
ষাট গম্বুজ মসজিদ
খানজাহান আলীর (রহ.) মাজার
সিঙ্গাইর মসজিদ
বিবি বেগনী মসজিদ
চুনখোলা মসজিদ
পীর আলী মুহাম্মদ তাহেরের সমাধি
এক গম্বুজ মসজিদ
নয় গম্বুজ মসজিদ
সাবেক ডাঙ্গা পুরাকীর্তি
রণবিজয়পুর মসজিদ
জিন্দাপীর মসজিদ
রেজা খোদা মসজিদ
খানজাহানের বসতভিটাঢিবি
কোদলা মঠ
ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী শহীদ কৃষক রহিমুল্লাহর বাড়ি
মোরেলের স্মৃতিসৌধ
১৮৬৩ সালে তৎকালীন এসডিও মংলা পোর্ট
চিলা চার্চ
কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধি
প্রফুল্ল ঘোষের বসতবাড়ি
নীলসরোবর
জমিদার ক্ষিতিষ চন্দ্রের বসতবাড়ির ধ্বংসাবশেষ
শাহ আউলিয়াবাগ মাজার
হজরত খানজাহান আলীর (রহ.) সহচর পীর শাহ আউলিয়ার মাজার
নাটমন্দির
রামজয় দত্তের কাছারিবাড়ি
ব্রিটিশ সেনাদের পর্যবেক্ষণ টাওয়ার
কৃষ্ণমূর্তি
গোপাল জিউর মন্দির
লাউপালা
যাত্রাপুর
দুবলার চর
কটকা
কচিখালি
সুন্দরবন
যেভাবে যাবেনঃ-
ঢাকা থেকে সরাসরি বাস কিংবা ট্রেইনে চেপে সরাসরি বাগেরহাট জেলা শহরে পৌঁছানো যায়। ঢাকার গাবতলি,সায়দাবাদ,মহাখালি বাস টার্মিনাল গুলো থেকে বাস পাওয়া যায়।কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেইন যাত্রা শুরু হয়। তবে রেল সংযোগ খুলনা পর্যন্ত। খুলানা থেকে বাসে করে যেতে হয়।