মেহেরপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের খুলনা বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। মুক্তিযুদ্ধের সময় মেহেরপুরে পাকিস্তান বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সংঘটিত বেশ কিছু প্রাথমিক যুদ্ধের সাক্ষী। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের সর্বপ্রথম কমান্ড, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় কমান্ড গঠিত হয়েছিল। পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করে অস্থায়ী সরকার গঠন করে এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করে।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তান বাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর মধ্যে মেহেরপুরে সম্মুখ যুদ্ধের কথা নথিভুক্ত আছে। ।
নামকরনের ইতিহাস:-
মেহেরপুর নামকরণ সম্পর্কে এ পর্যন্ত দুটি অনুমান ভিত্তিক তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথমটি ইসলাম প্রচারক মরবেশ মেহের আলী নামীয় জনৈক ব্যক্তির নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেহেরপুর রাখা হয়। দ্বিতীয়টি বচনকার মিহির ও তাঁর পুত্রবধু খনা এই শহরে বাস করতেন বলে প্রচলিত আছে। মিহিরের নাম থেকে মিহিরপুর এবং পরবর্তীতে তা মেহেরপুর হয়। ১৯৮৪ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারী মেহেরপুর জেলার মর্যাদালাভ করে।
ভৌগোলিক সীমানা:-
মেহেরপুর জেলা বাংলাদেশের উচুতম জেলা গুলোর একটি হচ্ছে এ জেলার। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে এর গড় উচ্চতা ২১ মিটার। এটি বাংলাদেশের পশ্চিমাংশের সীমান্তবর্তী জেলা। এ জেলার উত্তরে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা ও পশ্চিমবঙ্গ (ভারত); দক্ষিণে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা , দামুড়হুদা উপজেলা ও পশ্চিমবঙ্গ (ভারত); পূর্বে কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলা , চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলা , পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। মেহেরপুরের পশ্চিমাঞ্চল জুড়ে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত প্রায় ৬০ কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্ত রয়েছে।
উপজেলা
মেহেরপুর সদর উপজেলা
মুজিবনগর
গাংনী
বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব:-
এম. এ. হান্নান – মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপত
শাহ আলম – ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদানের জন্য মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপত
ইমরুল কায়েস- ক্রিকেটার, বাংলাদেশ জাতীয় দল
মোঃ উজ্জল আহম্মেদ- দেবদাস দরগাপাড়া
ভবানন্দ মজুমদার – নদিয়া রাজপরিবার এর প্রতিষ্ঠাতা
দীনেন্দ্রকুমার রায় – লেখক
রাখী গুলজার – অভিনেত্রী
বলরাম হাড়ি – সমাজসংস্কারক, সাধক
জগদীশ্বর গুপ্ত – বৈষ্ণব পদকর্তা
কৃষ্ণকান্ত ভাদুড়ী – কবি
আব্দুল হামিদ কাব্যবিনোদ – সাহিত্যিক
মুন্সি শেখ জমিরউদ্দীন – ধর্মসংস্কার
রমণীমোহন মল্লিক – বৈষ্ণব পদকর্তা
কিরণ কুমার বোস – লেখক
ড. মোঃ মোজাম্মেল হক – পদার্থবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবি
নুরুল হক – শিক্ষাবিদ
প্রসেনজিৎ বোস বাবুয়া – সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
স্বামী নিগমানন্দ – ধর্মসংস্কারক আবদুল মোমিন – বাংলায় শ্রমিক আন্দোলনের নেতা
ওয়ালিল হোসেন – বীর প্রতীক খেতাব
বিখ্যাত খাবার:-
মিষ্টি সাবিত্রি ও রসকদম্ব
আমড়া
বিখ্যাত স্থান:-
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ও ঐতিহাসিক আম্রকানন
মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স
পৌর ঈদগাহ
মেহেরপুর পৌর কবরস্থান
মেহেরপুর পৌর হল
মেহেরপুর শহীদ স্মৃতিসৌধ
আমদহ গ্রামের স্থাপত্য নিদর্শন
সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দির
আমঝুপি নীলকুঠি
ভাটপাড়ার নীলকুঠি
সাহারবাটি
ভবানন্দপুর মন্দির
যেভাবে যাবেনঃ-
ঢাকা থেকে সরাসরি বাস কিংবা ট্রেইনে চেপে সরাসরি মেহেরপুর জেলা শহরে পৌঁছানো যায়। ঢাকার গাবতলি,সায়দাবাদ,মহাখালি বাস টার্মিনাল গুলো থেকে বাস পাওয়া যায়।কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেইন যাত্রা শুরু হয়।