বান্দরবান শহরের প্রবেশদ্বার বান্দরবান কেরাণীহাট সড়কের পাশেই পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স অবস্থিত। পাহাড়ের খাদে বাধঁ নির্মান করে কৃত্রিম হ্রদের সৃষ্টি করা হয়েছে । বান্দরবান শহর থেকে এর দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। বেড়াতে আসা পর্যটকদের চিত্ত বিনোদনের জন্য এখানে রয়েছে শিশুপার্ক, সাফারি পার্ক, চিড়িয়াখানা, প্যাডেল বোট, ক্যাবল কার, উন্মুক্ত মঞ্চ, চা বাগান, এবং সাময়িক অবস্থানের জন্য একটি রেষ্ট হাউজ যা জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়। এছাড়া আকর্ষণীয় একটি চিড়িয়াখানা এ কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে বহুগুন। বান্দরবান শহরের প্রবেশদ্বার বান্দরবান-কেরানীহাট সড়কের পার্শ্বেই অবস্থিত এই রিসোর্টে রয়েছে পাহাড়বেষ্টিত স্বচ্ছ জলের মনোরম আঁকাবাকা লেক। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে সারা দেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক বেড়াতে আসেন। নিরিবিলিতে স্বপরিবারে বেড়ানোর জন্য একটি আদর্শ জায়গা মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র।
এই পর্যটন কেন্দ্রের নাম মেঘলা হলেও মেঘের সাথে মেঘলা পর্যটন স্পটের কোন সর্ম্পক নেই। এ যেন ভুমিতেই বিছানো হয়েছে সুন্দরের গালিচা বান্দরবান জেলা শহরে প্রবেশের ৫ কি:মি: আগে মেঘলা পর্যটন এলাকাটি অবস্থিত। এটি সুন্দর কিছু উঁচু নিচু পাহাড় বেষ্টিত একটি লেককে ঘিরে গড়ে উঠেছে। ঘন সবুজ গাছ আর লেকের স্বচ্ছ পানি পর্যটককে প্রকৃতির কাছাকাছি টেনে নেয় প্রতিনিয়ত। বৈচিত্র্যপিয়াসী মানুষের আত্মিক ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারণের অপূর্ব স্থান মেঘলা । লেকের উপরে রয়েছে আকর্ষণীয় দুটি ঝুলন্ত ব্রিজ যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। চিত্তবিনোদনের অন্যান্য নানা উপকরণের মধ্যে রয়েছে শিশুপার্ক , সাফারি পার্ক, চিড়িয়াখানা, প্যাডেল বোট, ক্যাবল কার, উন্মুক্ত মঞ্চ, চা বাগান, এখানে সবুজ প্রকৃতি, লেকের স্বচ্ছ পানি আর পাহাড়ের চুঁড়ায় চড়ে দেখতে পাবেন ঢেউ খেলানো পাহাড়ী বান্দরবানের নয়নাভিরাম দৃশ্য।
যেভাবে যাবেনঃ-
ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী এবং পূর্বাণী নামক দুটি ডাইরেক্ট নন এসি বাস আছে ৩০ মিঃ পর পর বান্দরবানের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়। বান্দরবন শহর থেকে চান্দেরগাড়ী কিংবা ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা করে যাওয়া যায় মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রে।